এইচআইভি/এইডস

এইচ.আই.ভি. (HIV) human immunodeficiency virus)নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট একটি ব্যাধি

এইডস (ইংরেজি:[AIDS]; পূর্ণরূপ: Acquired Immuno Deficiency Syndrome) বা "((অর্জিত প্রতিরক্ষার অভাবজনিত রোগলক্ষণসমষ্টি))" হচ্ছে এইচ.আই.ভি. (HIV; পূর্ণরূপ: "((Human Immunodeficiency Virus) তথা "মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস" নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট একটি রোগলক্ষণসমষ্টি,[১][২][৩] যা মানুষের দেহে রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বা প্রতিরক্ষা তথা অনাক্রম্যতা হ্রাস করে। এর ফলে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটাতে পারে।

লাল ফিতা, যা এইচ.আই.ভি. ভাইরাস (মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস) দ্বারা সংক্রামিত ব্যক্তি ও এইডস রোগে আক্রান্তদের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশের প্রতীক।

এইচ.আই.ভি. (মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস) সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই সর্বদা এইডস হয়না। শুরুতে ক্ষেত্রবিশেষে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় উপসর্গ দেখা যেতে পারে।[৪] এরপর বহুদিন কোনও উপসর্গ দেখা যায় না।[৫] এইচ.আই.ভি. ভাইরাসের আক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে দেহের প্রতিরক্ষাতন্ত্র বা অনাক্রম্যতন্ত্র দুর্বল হতে থাকে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণ সংক্রামক ব্যাধি যেমন যক্ষ্মায় যেমন আক্রান্ত হতে পারেন, তেমনই সুযোগসন্ধানী সংক্রামক ব্যাধি এবং অর্বুদ বা টিউমারের শিকার হতে পারেন, যেগুলি কেবলমাত্র সেসব লোকেরই হয়, যাদের দেহের অনাক্রম্যতন্ত্র (বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) কাজ করে না। এইচ.আই.ভি. সংক্রমণের এই পর্যায়টিকেই এইডস বলা হয়।[৫] এই পর্যায়ে প্রায়শই রোগীর অনিচ্ছাকৃতভাবে ও অত্যধিক পরিমাণে ওজন হ্রাস পায়।[৫]

যেহেতু একবার সংক্রামক এইচ.আই.ভি. (মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস) শরীরে ঢুকলে তাকে পুরোপুরি দূর করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি, তাই এইচ.আই.ভি. সংক্রমণ হলে এইডস প্রায় অনিবার্য। তবে বিনা চিকিৎসায় এইডস পর্যায়ে পৌঁছতে যদি লাগে গড়ে দশ বছর, তবে চিকিৎসার দ্বারা তাকে আরো কিছু বছর পিছিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু "হার্ট" (HAART) নামে এইডস-এর যে সমন্বিত ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, তা অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ।

২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে প্রায় ৩ কোটি ৬৭ লক্ষ লোক এইচআইভি (মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস) দ্বারা আক্রান্ত ছিল এবং ঐ বছর এইডসের কারণে ১০ লক্ষ লোকের মৃত্যু হয়।[৬] তবে ২০১৬ সালে ২০১৫ সালের তুলনায় নতুন এইচআইভি সংক্রমণের সংখ্যা ৩ লক্ষ কম ছিল।[৭] বেশির ভাগ এইডস আক্রান্ত রোগীই সাহারা-নিম্ন আফ্রিকাতে বাস করে।[৪] ১৯৮০-র দশকের শুরুতে রোগটি চিহ্নিত করার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বব্যাপী এইডস রোগে মোট আনুমানিক ৩ কোটি ৫০ লক্ষ লোক মারা গেছে।[৮] এইডসকে বর্তমানে একটি মহামারী ব্যাধি হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বিশ্বের বিশাল এক আয়তন জুড়ে বিদ্যমান এবং যা সক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।[৯] এইচআইভি ভাইরাসটি সম্ভবত ১৯শ শতকের শেষভাগে বা ২০শ শতকের শুরুর দিকে পশ্চিম-মধ্য আফ্রিকাতে উৎপত্তিলাভ করে।[১০] ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি সর্বপ্রথম রোগটি শনাক্ত করে এবং তার পরে ১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকে এই রোগের কারণ হিসেবে এইচআইভি ভাইরাসকে শনাক্ত করা হয়।[১১] সিডিসি'র (রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র, যুক্তরাষ্ট্র সরকার) ২০১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে এইচ.আই.ভি. আক্রান্তের ৭০ শতাংশই সমকামী এবং উভকামী পুরুষ।[১২]

এইচ.আই.ভি. (মানব প্রতিরক্ষা অভাব সৃষ্টিকারী ভাইরাস) কীভাবে ছড়ায়

  • এইচ.আই.ভি. ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে, বা তার ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সূঁচ ব্যবহার করলে।
  • এইচ.আই.ভি. ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের শিশুরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা গর্ভধারণের শেষদিকে বা প্রসবের সময় হতে পারে। তবে জিডোভুডিন ওষুধ ব্যবহার করে এই সম্ভাবনা কিছুটা কমিয়ে আনা যায়, এবং তা করলে মায়ের বুকের দুধও বাচ্চাকে দেওয়া যেতে পারে (কারণ মায়ের বুকের দুধ না পেলে গরিব ঘরে জন্মানো বাচ্চার মৃত্যুসম্ভাবনা আরো বেশি)
  • এইচ.আই.ভি. ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কারো সাথে অরক্ষিত (কনডম ব্যবহার না করে) যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে।

আসলে দেহজাত অধিকাংশ তরল ক্ষরণে এইচ.আই.ভি. নিষ্কৃত হয়। তবে স্নেহপদার্থের আবরণ (envelop) থাকায় এইচ.আই.ভি. অত্যন্ত ভঙ্গুর। তাই এইচ.আই.ভি. শরীরের বাইরে বেশিক্ষণ বাঁচেনা। এই কারণে সরাসরি রক্ত বা যৌন নিঃসরণ শরীরে প্রবেশ না করলে এইচ.আই.ভি. সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব কম। শুধুমাত্র স্পর্শ, একসাথে খাওয়া, এমনকি একই জামাকাপড় পরা, বা মশার কামড়ে কখনো এইচ.আই.ভি. ছড়ায়না। তাই এইচ.আই.ভি. সংক্রমণ ছোঁয়াচে নয় (not contageous)

এইডস একটি ভয়ানক ব্যাধি। ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি (Center of Disease Control and Prevention) তথা রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এই রোগ প্রথম শনাক্ত করে। নিউমোসিস্টিন কারিনি (Pneumocystis carinii) এবং কাপোসি-র সার্কোমা (Kaposi's sarcoma) নামে দুটি বিরল রোগের সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেলে CDC সতর্ক হয়ে ওঠে। অবশেষে ১৯৮৪ সালে ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এই মহামারী রোগের ভাইরাস শনাক্ত করেন। ফরাসি বৈজ্ঞানিকেরা এর নাম দেন লিম্ফাডেনোপ্যাথি-অ্যাসোসিয়েটেড ভাইরাস (Lymphadenopathy-associated virus, LAV) অর্থাত "লসিকাগ্রন্থির রোগ-সংশ্লিষ্ট ভাইরাস"। আর মার্কিনীরা এর নাম দেয় Human T-cell Lymphotropic virus, strain III (HTLV III) অর্থাৎ "মানব টি-কোষ লসিকাগ্রন্থি-অভিমুখী ভাইরাস"। ১৯৮৬ সালে এই ভাইরাসের পুনঃনামকরণ করা হয় Human ImmunoDeficiency Virus (HIV) অর্থাাই "মানব প্রতিরক্ষা অভাব সৃষ্টিকারী ভাইরাস"। এইচ আই ভি ভাইরাস মানুষের শরীরের টি-সহায়ক কোষগুলিকে (T-helper cell) আক্রমণ করে যেগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্যে অতীব প্রয়োজনীয়।

এইডস এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০৭ সালের গণনা অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৩ কোটি ৩২ লক্ষ মানুষ এইডস-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে যাদের মধ্যে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ছিলো শিশু। এর তিন-চতুর্থাংশেরই মৃত্যু ঘটেছে আফ্রিকার সাহারা-নিম্ন ও অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর অঞ্চলে।

এইচ আই ভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই কোন লক্ষণ ছাড়া এই রোগ বহন করে। তবে কখনো কখনো এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ পরে কিছু অনির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন জ্বর, গলা ব্যাথা, মাথা ব্যথা, ফুলে ওঠা লসিকা গ্রন্থি (enlarged lymph node), ইত্যাদি। এইসব লক্ষণ কোনও রকম চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়, যার কারণে রোগী এ ভাইরাস সম্পর্কে অবগত হয়না। এইচ আই ভি ভাইরাস কোনরকম লক্ষণ ছাড়াই সর্বোচ্চ ১০ বছর মানুষের শরীরে নিরবে বাস করতে পারে।

এইডস রোগের কোন চিকিৎসা এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গবেষকরা এ পর্যন্ত অনেক ঔষধ আবিষ্কার করেছেন। প্রথম শ্রেণীর ঔষধের নাম নিউক্লিওসাইড রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ ইনহিবিটর (Nucleoside reverse transcriptase inhibitors), যা এইচ আই ভি ভাইরাসের সংক্রমণকে বিলম্বিত করে। দ্বিতীয় শ্রেণীর ঔষধের নাম প্রোটিয়েজ ইনহিবিটর (Protease inhibitors) যা এইচ আই ভি ভাইরাসের পুনর্বৃত্তিতে (replication) বাধা সৃষ্টি করে। যেহেতু শুধু যে কোনও একটি শ্রেণীর ঔষুধ এককভাবে শরীরে কার্যকর হয় না, তাই সমন্বিত ঔষধ দেয়া হয়। এই চর্চাকে বলা হয় হার্ট বা হাইলি অ্যাকটিভ অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (HAART, Highly Active Antiretroviral Therapy) অর্থাৎ অতি সক্রিয় রেট্রোভাইরাস প্রতিরোধী চিকিৎসা। যদিও হার্ট (HAART) এইডস উপশম করে না, এটি এইডস রোগীর মৃত্যুসংখ্যা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

উৎপত্তি

এইচআইভি-১ এবং এইচআইভি -২ উভয় ধরনের ভাইরাসই পশ্চিম-মধ্য আফ্রিকার অ-মানব প্রজাতির প্রাণী থেকে উৎপত্তি বলে ধারণা করা হয়, যেগুলি ২০শ শতকের প্রথম দিকে মানুষের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। এইচআইভি-১ ভাইরাসটি দক্ষিণ ক্যামেরুনে সিআইভি (সিপিজি) নামক ভাইরাসের বিবর্তনের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়েছে বলে মনে করা হয়। সিআইভি হল সিমিয়ান ইমিউনোডফেসিসিস ভাইরাস (সিআইভি) তথা "বানরজাতীয় প্রাণীর প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস", যা বন্য শিম্পাঞ্জিকে সংক্রামিত করে (এইচআইভি-১ শিম্পাঞ্জির উপপ্রজাতি প্যান ট্রগলডাইজ ট্রগলোডাইটে সিআইপিপিএস ডেনডিক্স থেকে উৎপত্তি হয়)। এইচআইভি-২ এর নিকটতম আত্মীয় SIV (smm), সোটি ম্যাগাজি (সেরোকসবুস এটিস এটিস) এর একটি ভাইরাস, উপকূলীয় পশ্চিম আফ্রিকায় বসবাসকারী একটি পুরানো বিশ্বের বানর (দক্ষিণ সেনেগাল থেকে কোত দিভোয়ারের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত)। নতুন বিশ্বের বানর যেমন আওল বানর এইচআইভি-১ সংক্রমণ প্রতিরোধী, সম্ভবত দুটি ভাইরাস প্রতিরোধক জিনের একটি জেনোমিক সংযোজক তাদের দেহে বিদ্যমান। মনে করা হয় এইচআইভি-১ ভাইরাস অন্ততপক্ষে তিনটি পৃথক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে এম, এন এবং ও-এর তিন গ্রুপের ভাইরাসকে উৎসাহিত করে ।

এমন প্রমাণ রয়েছে যে যারা বুশমিট কার্যক্রমে অংশগ্রহণকরে শিকারি বা বুশমিট বিক্রেতা হিসাবে তারাই সাধারণত এসআইভি গ্রহণ করে। যাইহোক, SIV একটি দুর্বল ভাইরাস যা সপ্তাহের সংক্রমণের মধ্যেই মানুষের ইমিউন সিস্টেম দ্বারা সাধারণত তাকে দমন করা হয়। এটা মনে করা হয় যে, দ্রুত এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণের মাধ্যমেই ভাইরাসটি এইচআইভিতে রূপান্তরিত হয়। উপরন্তু, তুলনামূলকভাবে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি-টু- ট্রান্সমিশন এর হার কম হবার কারণে SIV শুধুমাত্র এক বা একাধিক উচ্চ-ঝুঁকির সংক্রমণ চ্যানেলের উপস্থিতিতে সমগ্র জনসংখ্যার মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা বিংশ শতাব্দীর আগে আফ্রিকায় অনুপস্থিত ছিল বলে মনে করা হয়।নির্দিষ্ট প্রস্তাবিত উচ্চ ঝুঁকির জন্য ট্রান্সমিশন চ্যানেলগুলি ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে মানিয়ে নিতে এবং সমাজ জুড়ে ছড়িয়ে দিতে পারে, পশু-থেকে-মানুষের মধ্যে স্থানান্তরিত হতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের উপর নির্ভর করতে হয় । ভাইরাসটির জেনেটিক গবেষণায় দেখা গেছে যে এইচআইভি-1 এম গ্রুপের সাম্প্রতিক সাধারণ পূর্বপুরুষটির উৎপত্তি ১৯১০ সালের কাছাকাছি ছিল । এই ডেটিংয়ের সমর্থক উপনিবেশবাদ এবং বৃহৎ ঔপনিবেশিক আফ্রিকান শহরগুলির বৃদ্ধির সাথে এইচআইভি সংক্রামককে দায়ী করা হয়েছে, যা সামাজিক পরিবর্তনের একটি উচ্চতর ডিগ্রী যেমন পতিতাবৃত্তির বিস্তার এবং জনগোষ্ঠীর জরায়ুর আলসার রোগের সহিত উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি (যেমন- সাম্প্রতিক উপনিবেশিক শহরগুলির মধ্যে সিফিলিস এর কথা বলা যায়)। যদিও যৌনাঙ্গের সংক্রমণের সময় এইচআইভি সংক্রমণের হার নিয়মিত অবস্থার চেয়ে কম থাকে, তবে অংশীদারদের মধ্যে একজন যদি জেনিটাল আলসার জনিত যৌন রোখে সংক্রামিত হয় তাহলে এইচআইভি সংক্রমণের হার বেরে যাবে। 19২8 সালের আগে, পূর্ব কিনসাসার প্রায় ৪৫% মহিলা বাসিন্দা পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত ছিল এবং ১৯২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫% ছিল সিফিলিস রোগে আক্রান্ত । ১৯০০ সালের দিকে প্রথাগত পতিতাবৃত্তি এবং জেনেটিক আলসারের প্রভাবই ছিল ঐ সংক্রমণের প্রধান কারণ ।

একটি বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আফ্রিকার অনিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি যেমন জনসাধারণকে টিকাদান, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া চিকিৎসা প্রচারাভিযানের সময় একই সিরিঞ্জের পুনর্ব্যবহার করা হয়েছিল , এটি ছিল প্রাথমিক ভেক্টর যা ভাইরাসকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল ।

১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে কঙ্গোতে মানুষের মধ্যে এইচআইভির সংক্রমণ ছিল সর্বপ্রথম সুপ্রতিষ্ঠিত ঘটনা । ১৯৬৬ সালে নরওয়েতে AIDS এর সংক্রমণ ঘটেছিল । ১৯৬০ সালের জুলাই মাসে, জাতিসংঘ সারা বিশ্ব থেকে ফ্রাংকফোন বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদদের নিযুক্ত করেছিল বেলজিয়াম কর্তৃক ছেড়ে আশা প্রশাসনিক শূন্যতা পূরণ করতে , যারা আফ্রিকান অভিজাতদের দেশ চালানোর জন্য রেখে আসেননি। ১৯৬২ সালের মধ্যে, হাইতিরা দেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম সুশিক্ষিত বিশেষজ্ঞদের গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিল ( ৪৮ টি জাতীয় গোষ্ঠীর মধ্য থেকে নিয়োগকৃত ) যা দেশটির প্রায় ৪৫০০ জন । The Origins of AIDS এর লেখক ডাঃ জ্যাক পেপিন লিখেছেন যে, হাইতি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এইচআইভি সংক্রমণের একটি রূট এবং এগুলির মধ্যে একটিটি ১৯৬০-এর দশকে আটলান্টিক জুড়ে এইচআইভি বহন করে থাকতে পারে। যদিও, ১৯৬৬ সালের গোড়ার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসটি উপস্থিত হয়েছিল । উপ-সাহারান আফ্রিকার বাইরে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে) সংক্রমণের বেশিরভাগ সংখ্যার এক অজানা ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যেতে পারে যে এইচআইভি সংক্রমিত হয়েছিলেন হাইতিতে এবং তারপর ১৯৬৯ সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ নিয়ে আসে । মহামারী তখন দ্রুত উচ্চ ঝুঁকির গ্রুপগুলির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে (প্রাথমিকভাবে, পুরুষদের মধ্যে যারা পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল|

লক্ষণ ও উপসর্গ

তীব্র সংক্রমণ
এইচআইভি সংকোচনের পরে প্রাথমিক সময়টিকে তীব্র এইচআইভি, প্রাথমিক এইচআইভি বা তীব্র রেট্রোভাইরাল সিনড্রোম বলে ২৪ [২৫] অনেক ব্যক্তির ইনফ্লুয়েঞ্জা-জাতীয় অসুস্থতা বা মনোমনোক্লাইসিস-এর মতো অসুস্থতা প্রকাশের ২-৪ সপ্তাহ পরে বেড়ে যায় যখন অন্যের কোনও উল্লেখযোগ্য লক্ষণ থাকে না। [২ 26] লক্ষণগুলির মধ্যে 40-90% ক্ষেত্রে দেখা যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জ্বর, বড় টেন্ডার লিম্ফ নোডস, গলা প্রদাহ, ফুসকুড়ি, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি এবং / এবং মুখ এবং যৌনাঙ্গে ঘা অন্তর্ভুক্ত থাকে। [২৫] 20-50% ক্ষেত্রে দেখা যায় এমন ফুসকুড়িটি ট্রাঙ্কের মধ্যে উপস্থিত থাকে এবং ধ্রুপদী, ধ্রুপদী class কিছু লোকেরা এই পর্যায়ে সুবিধাবাদী সংক্রমণও বিকাশ করে 25 গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণগুলি, যেমন বমি বা ডায়রিয়া হতে পারে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বা গিলেন – ব্যারি সিন্ড্রোমের স্নায়বিক লক্ষণগুলিও দেখা দেয় লক্ষণগুলির সময়কাল পরিবর্তিত হয়, তবে সাধারণত এক বা দুই সপ্তাহ থাকে

তীব্র এইচআইভি সংক্রমণের প্রধান লক্ষণসমূহ

তাদের অনন্য চরিত্রের কারণে এই লক্ষণগুলি প্রায়শই এইচআইভি সংক্রমণের লক্ষণ হিসাবে স্বীকৃত হয় না। এমনকি পারিবারিক চিকিৎসক বা হাসপাতালের দ্বারা দেখা পাওয়া ক্ষেত্রেও ওভারল্যাপিং লক্ষণগুলির সাথে অনেকগুলি সাধারণ সংক্রামক রোগ হিসাবে সাধারণত ভুল রোগ নির্ণয় করা হয়। সুতরাং, এটি সুপারিশ করা হয় যে এইচআইভি এমন লোকদের মধ্যে বিবেচনা করা উচিত যা অব্যক্ত জ্বরে আক্রান্ত যাদের সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ কারণ থাকতে পারে। [২]

ধর্ম এবং এইডস

গত ২০ বছরে ধর্ম ও এইডস বিষয়ক আলোচনা অত্যন্ত বিতর্কিত হয়ে উঠেছে, প্রাথমিকভাবে কিছু ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ কনডম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে । এইডস বিস্তার রোধের জন্য ধর্মীয় পদ্ধতির উপর গুরুত্ব দিয়ে কিছু ধর্মীয় সংগঠন দাবি করেছে যে প্রার্থনা এইচআইভি / এইডস প্রতিরোধ করতে পারে। ২০১১ সালে, BBC জানায় যে লন্ডনের কয়েকটি গির্জার দাবী করছে যে এই প্রার্থনা AIDS থেকে মুক্ত দিবে , এবং হ্যাকনি-ভিত্তিক কেন্দ্র the Study of Sexual Health and HIV রিপোর্ট করেছিল যে, বেশিরভাগ লোকই তাদের পাদ্রীর পরামর্শের উপর নির্ভর করে ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দেয় এর ফলে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছিল । সমস্ত জাতির সিনাগগ ও চার্চ ঈশ্বরের নিরাময় উন্নীত করার জন্য "anointing water" বিজ্ঞাপন প্রচার করেছিল , যদিও গ্রুপটি মানুষকে ঔষধ গ্রহণ বন্ধ করার পরামর্শ দেয়ার কথা অস্বীকার করেছিল ।

প্যাথোফিজিওলজি

ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পরে দ্রুত ভাইরাল প্রতিরূপের একটি সময়কাল থাকে, যার ফলে পেরিফেরিয়াল রক্তে প্রচুর পরিমাণে ভাইরাস থাকে। প্রাথমিক সংক্রমণের সময়, এইচআইভির স্তরটি প্রতি মিলিলিটার রক্তে কয়েক মিলিয়ন ভাইরাস কণায় পৌঁছতে পারে [[]৯] এই প্রতিক্রিয়াটি প্রচারিত সিডি 4 + টি কোষের সংখ্যায় একটি চিহ্নিত ড্রপ সহ আসে by তীব্র ভাইরামিয়া প্রায়শই সিডি 8 + টি কোষগুলির সক্রিয়করণের সাথে সম্পর্কিত, যা এইচআইভি সংক্রামিত কোষগুলিকে মেরে ফেলে এবং পরবর্তীকালে অ্যান্টিবডি উৎপাদন, বা সেরোকোনভার্সনের সাথে জড়িত। সিডি 8 + টি কোষের প্রতিক্রিয়াটি ভাইরাস স্তর নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়, সিডি 4 + টি কোষের পুনরুদ্ধার হওয়ার সাথে সাথে শীর্ষস্থানটি এবং এর পরে কমে যায়। একটি ভাল সিডি 8 + টি কোষের প্রতিক্রিয়া ধীর রোগের অগ্রগতি এবং আরও ভাল প্রাগনোসিসের সাথে যুক্ত হয়েছে যদিও এটি ভাইরাসকে দূর করে না। [98]

শেষ পর্যন্ত, এইচআইভি সিডি 4 + টি কোষকে হ্রাস করে এইডস সৃষ্টি করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয় এবং সুবিধাবাদী সংক্রমণের অনুমতি দেয়। টি কোষগুলি প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য এবং সেগুলি ব্যতীত, দেহ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বা ক্যান্সারজনিত কোষগুলিকে হত্যা করতে পারে না। তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী পর্যায়ক্রমে সিডি 4 + টি কোষের হ্রাসের প্রক্রিয়া পৃথক। তীব্র পর্যায়ে, এইচআইভি-প্ররোচিত কোষের লিসিস এবং সিডি 8 + টি কোষ দ্বারা সংক্রামিত কোষগুলি হত্যার জন্য সিডি 4 + টি কোষের ক্ষয় হয়, যদিও এপোপটোসিসও একটি কারণ হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী পর্যায়ে, সাধারণ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয়করণের ফলাফল এবং নতুন টি কোষ তৈরির প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাসের সাথে সিডি 4 + টি কোষের সংখ্যার ধীরে ধীরে হ্রাস ঘটে বলে মনে হয়। [100]

যদিও এইডসের প্রতিরোধ ক্ষমতা ঘাটানোর লক্ষণগুলি একজন ব্যক্তি সংক্রামিত হওয়ার পরে বছর ধরে দেখা যায় না, তবে সংক্রমণের প্রথম সপ্তাহগুলিতে সিডি 4 + টি কোষের ক্ষয়ক্ষতির বেশিরভাগ অংশ দেখা যায়, বিশেষত অন্ত্রের মিউকোসায়, যা বেশিরভাগ লিম্ফোসাইটের আশ্রয় করে in দেহ। [101] মিউকোসাল সিডি 4 + টি কোষগুলির অগ্রাধিকার ক্ষতির কারণ হ'ল সর্বাধিক মিউচাল সিডি 4 + টি কোষগুলি সিসিআর 5 প্রোটিনকে প্রকাশ করে যা এইচআইভি কোষগুলিতে অ্যাক্সেস অর্জনের জন্য কো-রিসেপ্টর হিসাবে ব্যবহার করে, যেখানে কেবলমাত্র সিডি 4 + টি কোষের একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ রয়েছে রক্ত প্রবাহ এটি করুন। [১০২] উভয় ক্রোমোসোমে খুব কার্যকরভাবে উপস্থিত থাকাকালীন সিসিআর 5 প্রোটিনকে পরিবর্তিত করে এমন একটি নির্দিষ্ট জিনগত পরিবর্তন এইচআইভি -1 সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। [১০৩]

এইচআইভি তীব্র সংক্রমণের সময় সিডিআর 5 প্রকাশের সিডিআর 5 খুঁজে বের করে এবং ধ্বংস করে ১০৪ একটি জোরালো ইমিউন প্রতিক্রিয়া অবশেষে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্লিনিকভাবে সুপ্ত পর্ব শুরু করে। মিউকোসাল টিস্যুতে সিডি 4 + টি কোষগুলি বিশেষত প্রভাবিত থাকে ১০৪ ক্রমাগত এইচআইভি প্রতিলিপি দীর্ঘস্থায়ী পর্যায়ে স্থায়ী জেনারেটর ইমিউন অ্যাক্টিভেশন একটি রাষ্ট্রের কারণ হয়ে দাঁড়ায় 105 ইমিউন অ্যাক্টিভেশন, যা প্রতিরোধক কোষগুলির বর্ধিত অ্যাক্টিভেশন রাষ্ট্র এবং প্রদাহজনক সাইটোকাইনের মুক্তির দ্বারা প্রতিফলিত হয়, বেশ কয়েকটি এইচআইভি জিন পণ্যগুলির ক্রিয়াকলাপ এবং চলমান এইচআইভি প্রতিরক্ষার প্রতিরোধক প্রতিক্রিয়া থেকে প্রাপ্ত হয়। এটি রোগের তীব্র পর্যায়ে মিউকোসাল সিডি 4 + টি কোষের ক্ষয়জনিত কারণে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল মিউকোসাল বাধা প্রতিরোধের নজরদারি সিস্টেমের ভাঙ্গনের সাথেও যুক্ত। [106]

এইডস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণাসমূহ

এইচআইভি এবং এইডস সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে । সবচেয়ে সাধারণ তিনটি ভুল ধারণা হচ্ছে, যেমন, ১) এইডসগুলি স্বাভাবিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে যেতে পারে, ২) কোন কুমারীর সাথে যৌন সম্পর্ক করলে AIDS থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, ৩) এবং এইচআইভি দ্বারা শুধুমাত্র সমকামী পুরুষ ও মাদকদ্রব্য ব্যবহারকারীরা সংক্রমিত হতে পারে । ২০১৪ সালে, ব্রিটিশ জনসাধারণের মধ্যে কেউ কেউ ভুলভাবে মনে করেছিলেন যে, চুম্বন করলে (১৬%), গ্লাস শেয়ার করলে(৫%) থুতু ফেলা থেকে (১৬%), পাবলিক টয়লেটের সীট থেকে (৪%), এবং কাশি বা ছিপি থেকে (৫ %) AIDS সংক্রমণ হতে পারে। দুটি সমকামী পুরুষের মধ্যে এ্যানাল যৌন সম্পর্কের কারণে এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে এবং স্কুলে এইচআইভি ও সমকামিতার উপর উন্মুক্ত আলোচনার কারণে এইডসের হার বৃদ্ধি পাবে।

ব্যক্তিদের একটি ছোট গ্রুপ এইচআইভি এবং এইডস মধ্যে সংযোগ , এইচআইভি নিজের অস্তিত্ব, বা এইচআইভি পরীক্ষার এবং চিকিৎসা পদ্ধতি বৈধতা নিয়ে বিরোধ চালিয়ে আসতেছে । এই দাবিগুলি এইডসকে অস্বীকার করার সামিল মনে করা হচ্ছে , বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় দ্বারা পরীক্ষা করার পর তা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে । তবে, তাদের একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় সরকারি কর্মচারীরা এইডস এর অস্বীকার (১৯৯৯-২০০৫) দেশের এইডস মহামারীটির অকার্যকর প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়বদ্ধ ছিল এবং শত শত লক্ষ লক্ষ লোকের অতিক্রমযোগ্য মৃত্যু এবং এইচআইভি সংক্রমণের জন্য দায়ী মনে করা হয়।

অনেক ষড়যন্ত্র মূলক তত্ত্বগুলি ধারণা করে যে, এইচআইভি বিজ্ঞানীরা ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করেছে । অপারেশন ইনফেকশন বিশ্বব্যাপী সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বারা একটি সক্রিয় পদক্ষেপ ছিল যেখানে বলা হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এইচআইভি / এইডস সৃষ্টি করেছে । জরিপগুলি দেখায় যে এই ধরনের দাবিগুলিতে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনও বিশ্বাস করে - এবং বিশ্বাসে অব্যাহত থাকে । মেরিকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ম্যাথিউ হ্যানলি The Catholic Church and the Global AIDS Crisis শিরোনাম অনুযায়ী একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন । ঐখানে তিনি বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিশ্বস্ততা এবং এর বাইরে যৌন নিবিড়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। এর জন্য কিছু সাংস্কৃতিক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন ।

রোগ নির্ণয়

এইচআইভি / এইডস পরীক্ষাগার পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় এবং তারপরে নির্দিষ্ট লক্ষণ বা লক্ষণের উপস্থিতির ভিত্তিতে মঞ্চস্থ হয়। [25] সমস্ত গর্ভবতী মহিলা সহ 15 বছর থেকে 65 বছর বয়সের সমস্ত লোকের জন্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধমূলক পরিষেবাগুলি টাস্কফোর্স এইচআইভি স্ক্রিনিংয়ের পরামর্শ দিচ্ছে 108 অধিকন্তু, উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়, যার মধ্যে যৌন সংক্রমণে আক্রান্ত কেউ অন্তর্ভুক্ত includes [২৮] [১০৮] বিশ্বের অনেক ক্ষেত্রে এইচআইভি ক্যারিয়ারের এক তৃতীয়াংশই কেবল আবিষ্কার করেন যে তারা এই রোগের উন্নত পর্যায়ে সংক্রামিত হয়ে পড়েছেন যখন এইডস বা মারাত্মক অনাক্রম্যতা প্রকাশ পেয়েছে। [২৮]

তথ্যসূত্র


বহিঃসংযোগ

ICDDR'B HIV & STD Website[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ