তিরামিসু

ইতালিয়ান মিষ্টান্ন

তিরামিসু (ইতালীয় ভাষায়:Tiramisù; [tiɾamiˈsu]), আক্ষরিক অর্থে “পিক মি আপ”, হলো একটি ইতালীয় পিঠাজাতীয় মিষ্টি (কেক)। এটির দইও পাওয়া যায়। এটি কফিতে এক ধরনের বিস্কুট - লেডিফিঙ্গারকে (ইতালীয় ভাষায়: সাভোইয়ারদি, যা হালকা এবং মিষ্টি স্পঞ্জ একটি বৃহৎ আঙুলের মত মোটামুটি আকৃতির দেখতে) চুবানো হয়, পরে ইতালীয় পনির – মাস্কারপোনে (এক জাতীয় পনির) ও ডিমের কুসুমের সাথে ফেটানোর পর একে আস্তরীকৃত করা হয়ে থাকে। এর পর এতে স্বাদ আনতে ফ্লেভার হিসেবে লিকিউর ও কোকোয়া যুক্ত করা হয়।[১] অন্যান্য পুডিং, কেক (পিঠা), ও ডেসার্ট (এক ধরনের দই) তৈরিতে একই ধরনের রেসিপি কাজে লাগানো হয়।

ইতালিতে তিরামিসু পরিসেবাশন

ইতিহাস

প্রকৃত উৎপত্তি নিয়ে কিছুটা তর্ক থাকলেও ঝুপ্পা ইংলেজে (আস্তরিকৃত দই) থেকে এর উৎপত্তি হিসেবে ধরা হয়।[১]

জোভান্নি কাপনিস্ট, নামের ব্যক্তিটি প্রথম এই উপকরণটি ১৯৮৩ সালে প্রয়োগ করেন, তা উল্লেখ করেন । তার রান্নার রেসিপি বই যার নাম “দোলচি দেল ভেনেতো”,[২] যদিও মেরিয়াম-ওয়েবস্টার'স অনলাইন অভিধানে ১৯৮২ সালে প্রথম উল্লেখিত ডেসার্ট হিসেবে রয়েছে।[৩] কতিপয় আরো কিছু উৎস (ভিন ভেনেতো, ১৯৮১ সাল, ইতালীয় একাডেমী অব জোসেফ মাফফিওলি এবং বিভিন্ন রান্নার ওয়েবসাইটে) দাবি করে, তিরামিসু তৈরি করা হয় ত্রেভিজো শহরের “লে বেক্কেরিয়ে” নামের রেস্তোরায় ধর্ম-কন্যা এবং ময়রা শিক্ষানবিস রবের্তো লিঙ্গুয়ানোত্ত, ফ্রান্সেসকা ভালোরি, যার কুমারী নাম ছিলো “তিরামিসু”। এটি বলা হয় যে, লিঙ্গুয়ানোত্তে, ফ্রান্সেসকা'র সম্মানে রন্ধনশৈলীর দক্ষতার জন্য এই উপকরণটির তার নামে নামকরণ করেন।

অন্যান্য উৎস[কে?] থেকে বলা হয় যে, এই কেকটির উৎপত্তি ইতালীর তুস্কানা প্রদেশের সিয়েনা শহরে। কোনো কোনো ময়রাগণ বলে থাকেন, কোসিমো III শহরে আগমনের অংশ হিসেবে এটি তৈরি করা হয়। ব্যতিক্রমে, কারমিনান্তোনিও ইন্নাক্কোনে'র[৪] দ্য ওয়াশিংটন পোষ্ট[৫] এ লিখিত বিশ্লেষণে উল্লেখ করেন যে তিরামিসু ১৯৬৯ সালের ২৪শে ডিসেম্বরে ভেনিসের কাছাকাছি ভিয়া সত্তত্রেভিসো'তে এক রেস্তোরায় প্রধান সেফ থাকাকালীন সময় তৈরি করেন। যা হোক, দ্য নিউ ইউর্কার তিরামিসু'র উপকরণগুলো “ইতালীর সব রেস্তোরা” হিসেবে তালিকাবদ্ধ করে।

প্রস্তুতপ্রণালী

তিরামিসু একটি আস্তরিকৃত ডেসার্ট, কফিতে ভেজানো বিচ্ছিন্ন কতিপয় (সাভোইয়ার্দি) বিস্কুট এবং মাস্কারপোনে পনিরে আস্তরীকৃত মিষ্টি ডিম, এবং চিনির মিশ্রণ। ডিম, চিনি ও মার্সালা মদ্য দিয়ে ঝাবাইয়োনে তৈরি করা হয়। প্রথমে কোকোয়া পাউডার উপরে (কোনো কোনো সময় বিস্কুটের মাঝে) টালা করা হয় যাতে একই সাথে তিক্ততাকে মিষ্টায়িত পনির মিশ্রণ দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।[৬] বিস্কুটের আস্তর (সাভোইয়ার্দি) তৈরি করতে, সাধারণত স্ট্রং কফি বা স্বাদযুক্ত লিকিউর হিসেবে মার্সালা মদ্য বা ডার্ক রামে চুবানো হয়।

মাস্কারপোনে লেয়ার তৈরিতে প্রথমে ডিমের কুসুম ও চিনির মিশ্রণ তৈরি করা হয়। ডিমের কুসুম চিনির সাথে মিশ্রিত করে একটি ঘন, মোটা ক্রিম তৈরি করা হয়, যেখানে পরে মাস্কারপোনে যুক্ত করা হয়। তারপর এই মিশ্রণটি কফি ভেজানো বিস্কুটের উপর ছড়িয়ে দেয়া হয়। সর্বপরি কোকোয়া পাউডার দেয়া হয় এবং উপরে আরো অন্য অনেক মিশ্রণ দেয়া হয়। তিরামিসুতে ক্রমাগত অসংখ্য পরিবর্তন আনা যায়। কোনো কোনো রাঁধুনি অন্য ধরনের কেক বা মিষ্টি, ইষ্টযুক্ত রুটি যেমন – পানেত্তোনে, লেডিফিঙ্গারের স্থলে ব্যবহার করে থাকেন।[৭] অন্যান্য পনির মিশ্রণও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কোনো কোনোটি কাঁচা ডিম ধারণ করে এবং অন্য কোনটি ডিম-ই ধারণ করে না। অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী লিকিউর হিসেবে মার্সালা মদ্য কফি ও পনির মিশ্রণ, ডার্ক রামযুক্ত, মাদেইরা, পোর্ট, ব্র্যান্ডি এবং কগণাক থাকে।

আরও দেখুন

  • চীজ কেক
  • ইতালীয় রান্না
  • Profiterole
  • Trifle

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ