ভোল্ট

ভোল্ট (ইংরেজি: Volt; সঙ্কেত: V) হল এসআই একক পদ্ধতিতে তড়িৎ বিভব প্রভেদ, তড়িচ্চালক বল, ভোল্টেজ, বৈদ্যুতিক বিভবের একক।[১][২]। এর নাম রাখা হয়েছে ইতালীয় বিজ্ঞানী আলেসান্দ্রো ভোল্টা'র (১৭৪৫–১৮২৭) নামানুসারে, যিনি সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক ব্যাটারি আবিষ্কার করেন।

ভোল্ট (V)
এনআইএসটি কর্তৃক আদর্শ ভোল্ট হিসাবে নির্মিত জোসেফসন জাংশান অ্যারে চিপ
এককের তথ্য
একক পদ্ধতিউৎপাদিত একক
যার এককতড়িৎ বিভব, তড়িচ্চালক বল
প্রতীকV
যার নামে নামকরণআলেসান্দ্রো ভোল্টা
In SI base units:কেজি·মি·সেকেন্ড−৩·অ্যাম্পিয়ার−১

সংজ্ঞা

এম্পিয়ার বিদ্যুৎ প্রবাহ কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যদি ১ ওয়াট কাজ সম্পন্ন করে, তাহলে ঐ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যকে ১ ভোল্ট বলে।[৩] এটি ১ মিটার দূরত্বের পাশাপাশি দুটি সমান্তরাল, অসীম সমতলের মধ্যের বিভব প্রভেদ যেটি ১ নিউটন প্রতি কুলম্ব এর একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করে। উপরন্তু, এটি দুটি পয়েন্টের মধ্যে বিভব প্রভেদ যা ১ জুলের শক্তি প্রতি কুলম্ব এর আধান প্রদান করবে যা এটির মধ্য দিয়ে যায়। এটি এসআই বেস ইউনিটগুলির (মি, কেজি, এস এবং পদে প্রকাশ করা যেতে পারে।

এটি আম্পিয়ার টাইম ওহম s (বর্তমান সময় প্রতিরোধের, ও‍’মের সূত্র, ওয়াটস প্রতি আম্পিয়ার (ক্ষমতা প্রীতি একক বিদ্যতে, জুলের সূত্র) হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে, বা জুলস প্রতি কুলম্ব (শক্তি প্রতি একক আধান ), যা ইলেক্ট্রনভোল্ট প্রতি প্রাথমিক আধান এর সমতুল্য: (ক্ষমতা প্রতি একক বিদ্যতে, জুলের সূত্র) হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে, বা জুলস প্রতি কুলম্ব (শক্তি প্রতি একক আধান ), যা ইলেক্ট্রনভোল্ট প্রতি প্রাথমিক আধান এর সমতুল্য:

১৯৯০ খ্রীস্টাব্দ হতে আন্তর্জাতিকভাবে ভোল্টকে সংজ্ঞায়িত করা হয় জোসেফসন ক্রিয়ার মাধ্যমে।

K{J-90} = 0.4835979 GHz/µV.

প্রচলিত ভোল্টেজ

১.৫ ভোল্ট সি-কোষ ব্যাটারী

বিভিন্ন পরিচিত উৎসে ব্যবহৃত ভোল্টের উদাহরণ হল:

  • স্নায়ু কোষের বিভব পার্থক্য: ৪০ মিলিভোল্ট
  • পূনরাহিতকরণযোগ্য ক্ষারীয় ব্যাটারী: ১.২ ভোল্ট
  • সাধারণ ব্যাটারী (উদাহরণস্বরূপ, এএএ, এএ, সি এবং ডি কোষসমূহ): ১.৫ ভোল্ট
  • লিথিয়াম পলিমার রিচার্জেবল ব্যাটারী: ৩.৭ ভোল্ট
  • ট্রানজিস্টর-ট্রানজিস্টর লজিক মাত্রা: ৫ ভোল্ট
  • মোটরগাড়ির বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা: ১২ ভোল্ট
  • গৃহস্থালী বিদ্যুৎ সরবরাহ: : ২৪০ ভোল্ট অস্ট্রেলিয়া, ১২০ ভোল্ট উত্তর আমেরিকা, ২৩০ ভোল্ট (ইউরোপ ), ২২০-২৩০ ভোল্ট (এশিয়া)
  • বজ্রপাত: বিভিন্ন রকম, প্রায় ১০০ মেগাভোল্ট।

ভোল্ট এককের ইতিহাস

গ্যালভানিক ক্রিয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে লুইজি গ্যালভানি'র সাথে মতপার্থক্যের কারণে আলেসান্দ্রো ভোল্টা ১৮০০ খ্রীস্টাব্দে আধুনিক ব্যাটারীর প্রাচীন সংস্করণ ভোল্টার স্তুপ তৈরি করেন।[৪] ভোল্টা আবিষ্কার করেন যে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ধাতু জোড় হচ্ছে দস্তারূপা। ১৮৮০ এর দশকে আন্তর্জাতিক বৈদ্যুতিক সম্মেলন (বর্তমানে আন্তর্জাতিক ইলেক্ট্রো-টেকনিকাল কমিশন - IEC) বৈদ্যুতিক বিভবের (শক্তির) একক হিসাবে ভোল্টকে অনুমোদন করে।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ