মারলেনে ডিট্রিশ

মারলেনে ডিট্রিখ (জার্মান: Marlene Dietrich; আ-ধ্ব-ব: [maɐˈleːnə ˈdiːtrɪç]) (২৭শে ডিসেম্বর, ১৯০১ - ৬ই মে, ১৯৯২) একজন জার্মান অভিনেত্রী ও গায়িকা ছিলেন।[১] বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে একজন সাধারণ ক্যাবারে গায়িকা থেকে ক্যারিয়ার শুরু করে বছর বিশেকের মধ্যে হলিউডসহ ইউরোপের বিনোদন জগতে স্থায়ী আসন গেড়ে বসেন । জন্মসূত্রে জার্মান হলেও তিনি পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন। [২][৩][৪]

Marlene Dietrich
১৯৩৬ সালে ডিট্রিখ
জন্ম
ম্যারি মাগদালিন ডিট্রিখ
কর্মজীবন১৯১৯-১৯৮৪
দাম্পত্য সঙ্গীরুডলফ সিবার (১৯২৪-১৯৭৬)
ওয়েবসাইটhttp://www.marlene.com/

জীবনী

মারলেনে জার্মানির বার্লিন শোয়েনেবার্গ এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাতার নাম লুইস এরিখ অটো ডিট্রিখ ও ভিলহেলমিনা এলিজাবেথ ইওসেফাইন ফেলসিং। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নিভৃতচারী ছিলেন। তিনি রুডলফ ৎসিবার নামে একজন সহকারী পরিচালকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রুডলফ পরে ফ্রান্সে প্যারামাউন্ট পিকচারস -এর পরিচালক হন । রুডলফ দম্পতির একমাত্র সন্তান মারিয়া এলিযাবেথ যিবার ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। [৫]

ক্যারিয়ার

মারলেনে গত শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকের শুরুতে ক্যাবারেতে কোরাস গায়ক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি বিখ্যাত পরিচালক ও অভিনেতা মাক্স রাইনহার্ডট-এর থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেন। পরে ১৯৩০ দি ব্লু এনজেল নামে এক সিনেমার মধ্য দিয়ে রূপালী পর্দায় নিজের অভিষেক ঘটান। সেটি ছিলো জার্মানিতে তৈরি প্রথম সবাক চলচ্চিত্র।[৬]

ইউরোপের সিনেমা জগতে সফলতার সাথে অভিষেক হবার পর মারলেনে হলিউডে পাড়ি জমান । সেখানে প্যারামাউন্ট পিকচার্স-এর সাথে মরক্কো সিনেমাতে অভিনয়ের সুযোগ পান।[৭] পরে সে সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য তিনি অস্কার নমিনেশন পান। অভিনয়ের পাশাপাশি মারলেনে একজন অসাধারণ গায়িকা ছিলেন।[৮]

বর্তমান প্রজন্মে প্রভাব

মারলেনে ডিট্রিখ সম্ভবত জার্মানির সর্বাধিক সম্মানিত চিত্রনায়িকা। পুরো জার্মানি জুড়ে অসংখ্য থিয়েটার সড়ক শিক্ষালয় তার নাম বহন করছে।[৯]

অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র

১. লাভ ট্রাজেডী (১৯২৩)২. দি লিটল নেপোলিয়ন (১৯২৩)৩. দি ব্লু এনজেল (১৯৩০)৪. মরক্কো (১৯৩০)৫. এ ফরেইন এফেয়ার (১৯৪৮)৬. এ মনটে কারলো স্টোরী (১৯৫৬)৭. এ্যারাউন্ড দি ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ (১৯৫৬)

মৃত্যু

১৯৯২ সালের ৬ই মে, ৯০ বছর বয়েসে মারলেনে প্যারিসে নিজ আবাসে কিডনী জটিলতায় মারা যান। ব্যক্তিগতজীবনে তিনি ঈশ্বরে অবিশ্বাসী হলেও [১০] তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান একটি রোমান চার্চে অনুষ্ঠিত হয়। জার্মানি, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক রাষ্ট্রের দূত উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময় নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে তার অবস্থানের জন্য এবং যুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে সৈন্যের ন্যায় সামরিক মর্যাদা দেয়া হয়। [১১][১২] বার্লিন ওয়াল পতনের পর মারলেনের শেষ ইচ্ছানুসারে তার দেহ জন্মস্থানে স্থানান্তর করা হয়। [১৩]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ