অ্যাসিটোন

রাসায়নিক যৌগ

অ্যাসিটোন বা প্রোপানন একটি জৈব যৌগ, যার রাসায়নিক সংকেত (CH3)2CO।[১৫] এটি ক্ষুদ্রতম ও সরলতম কিটোন। এটি বর্ণহীন, অত্যন্ত উদ্বায়ী, দাহ্য এবং তীব্র গন্ধযুক্ত পদার্থ।

অ্যাসিটোন[১]
Full structural formula of acetone with dimensions
Full structural formula of acetone with dimensions
Skeletal formula of acetone
Skeletal formula of acetone
Ball-and-stick model of acetone
Ball-and-stick model of acetone
Space-filling model of acetone
Space-filling model of acetone
Sample of acetone
নামসমূহ
ইউপ্যাক নাম
Acetone[৬]
পছন্দসই ইউপ্যাক নাম
Propan-2-one[৭]
অন্যান্য নাম
শনাক্তকারী
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
থ্রিডিমেট
বেইলস্টেইন রেফারেন্স635680
সিএইচইবিআই
সিএইচইএমবিএল
কেমস্পাইডার
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড১০০.০০০.৬০২
ইসি-নম্বর
  • 200-662-2
মেলিন রেফারেন্স1466
কেইজিজি
এমইএসএইচAcetone
আরটিইসিএস নম্বর
  • AL3150000
ইউএনআইআই
ইউএন নম্বর1090
  • InChI=1S/C3H6O/c1-3(2)4/h1-2H3 YesY
    চাবি: CSCPPACGZOOCGX-UHFFFAOYSA-N YesY
  • InChI=1/C3H6O/c1-3(2)4/h1-2H3
    চাবি: CSCPPACGZOOCGX-UHFFFAOYAF
এসএমআইএলইএস
  • CC(=O)C
বৈশিষ্ট্য
C3H6O
আণবিক ভর৫৮.০৮ g·mol−১
বর্ণColourless liquid
গন্ধPungent, irritating, floral, cucumber like
ঘনত্ব0.7845 g/cm3 (25 °C)
গলনাঙ্ক −৯৪.৭ °সে (−১৩৮.৫ °ফা; ১৭৮.৫ K)[১২]
স্ফুটনাঙ্ক ৫৬.০৫ °সে (১৩২.৮৯ °ফা; ৩২৯.২০ K)[১২]
পানিতে দ্রাব্যতা
Miscible
দ্রাব্যতাMiscible in benzene, diethyl ether, methanol, chloroform, ethanol[৮]
লগ পি−0.16[৯]
বাষ্প চাপ
  • 9.39 kPa (0 °C)
  • 30.6 kPa (25 °C)
  • 374 kPa (100 °C)
  • 2.8 MPa (200 °C)[২]
অম্লতা (pKa)
চৌম্বকক্ষেত্রের প্রতি সংবেদনশীলতা (χ)
−33.78·10−6 cm3/mol
প্রতিসরাঙ্ক (nD)1.3588 (VD = 54.46)
সান্দ্রতা0.295 mPa·s (25 °C)[৮]
গঠন
Coordination
geometry
Trigonal planar at C2
আণবিক আকৃতিDihedral at C2
ডায়াপল মুহূর্ত2.91 D
তাপ রসায়নবিদ্যা
তাপ ধারকত্ব, C125.45 J/(mol·K)
স্ট্যন্ডার্ড মোলার
এন্ট্রোফি এস২৯৮
200.4 J/(mol·K)
গঠনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন ΔfHo২৯৮(−250.03)  (−248.77) kJ/mol
দহনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন ΔcHo298−1.772 MJ/mol
ঝুঁকি প্রবণতা
জিএইচএস চিত্রলিপিThe flame pictogram in the Globally Harmonized System of Classification and Labelling of Chemicals (GHS) The exclamation-mark pictogram in the Globally Harmonized System of Classification and Labelling of Chemicals (GHS)
জিএইচএস সাংকেতিক শব্দবিপদজনক
জিএইচএস বিপত্তি বিবৃতিH225, H319, H336, H373
জিএইচএস সতর্কতামূলক বিবৃতিP210, P235, P260, P305+351+338
এনএফপিএ ৭০৪
এনএফপিএ ৭০৪ চার রঙের হীরকHealth code 1: Exposure would cause irritation but only minor residual injury. E.g., turpentineFlammability code 3: Liquids and solids that can be ignited under almost all ambient temperature conditions. Flash point between 23 and 38 °C (73 and 100 °F). E.g., gasoline)Reactivity (yellow): no hazard codeSpecial hazards (white): no code
ফ্ল্যাশ পয়েন্ট −২০ °সে (−৪ °ফা; ২৫৩ K)
অটোইগনিশন
তাপমাত্রা
৪৬৫ °সে (৮৬৯ °ফা; ৭৩৮ K)
বিস্ফোরক সীমা2.6–12.8%[১৩]
Threshold Limit Value1185 mg/m3 (TWA), 2375 mg/m3 (STEL)
প্রাণঘাতী ডোজ বা একাগ্রতা (LD, LC):
LD৫০ (মধ্যমা ডোজ)
  • 5800 mg/kg (rat, oral)
  • 3000 mg/kg (mouse, oral)
  • 5340 mg/kg (rabbit, oral)[১৪]
LC৫০ (মধ্যমা একাগ্রতা)
20,702 ppm (rat, 8 h)[১৪]
LCLo (সর্বনিম্ন প্রকাশিত)
45,455 ppm (mouse, 1 h)[১৪]
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য অনাবৃতকরণ সীমা (NIOSH):
PEL (অনুমোদনযোগ্য)
1000 ppm (2400 mg/m3)[৫]
REL (সুপারিশকৃত)
TWA 250 ppm (590 mg/m3)[৫]
IDLH (তাৎক্ষণিক বিপদ
2500 ppm[৫]
সম্পর্কিত যৌগ
সম্পর্কিত যৌগ
  • Butanone
  • Isopropyl alcohol
  • Formaldehyde
  • Urea
  • Carbonic acid
  • Carbonyl fluoride
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে।
YesY যাচাই করুন (এটি কি YesY☒না ?)
তথ্যছক তথ্যসূত্র

অ্যাসিটোন পানিতে সম্পূর্ণভাবে মিশে যায় এবং গুরুত্বপূর্ণ জৈব দ্রাবক বিবেচিত হয়। ২০১০ সালে ৬.৭ মিলিয়ন টন অ্যাসিটোন উৎপন্ন হয়েছিল। দ্রাবক হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও মিথাইল মেথিক্রিলেট ও বিসফেনল এ তৈরিতেও অ্যাসিটোন ব্যবহার করা হয়। [১৬] নেইলপলিশ দূরীকারক এবং তুলি পাতলাকারকেও অ্যাসিটোনের ব্যবহার বিদ্যমান।

স্বাভাবিক বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় মানবদেহেও অ্যাসিটোন উৎপন্ন হয়। রক্তমূত্রে এটি অধিক পরিমাণে উপস্থিত। বহুমূত্র রোগীদের দেহ বিপুল পরিমাণে অ্যাসিটোন তৈরি করে থাকে। প্রজননসংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে এটি খুব বেশি অসুবিধাজনক বিবেচিত হয় না। শিশুদের মৃগীরোগ প্রতিকারেও অ্যাসিটোন ব্যবহার করা হয়। [১৭]

ইতিহাস

১৬০৬ সালে সীসার(II) অ্যাসিটেট যৌগ হতে আন্দ্রিয়াস লিবাভিয়াস প্রথম অ্যাসিটোন উৎপাদন করেন। [১৮]

১৮৩২ সালে ফ্রেঞ্চ রসায়নবিদ জঁ ব্যাপটিস্ট ডুমা ও জার্মান রসায়নবিদ জুস্টুস ফন লিবিগ অ্যাাসিটোনের স্থূল সংকেত নির্ণয় করেন। [১৯] ১৮৩৩ সালে ফ্রেঞ্চ রসায়নবিদ আতোয়াঁ বুসি অ্যাসিটিক অ্যাসিডের অ্যাসিটোর সাথে ওন প্রত্যয় যুক্ত করে যৌগটির নাম দেন "অ্যাসিটোন।"[২০]১৮৫২ সালের দিকে ইংরেজ রসায়নবিদ আলেকজান্ডার উইলিয়াম উইলিয়ামসন উপলব্ধি করতে পারেন, অ্যাসিটোন প্রকৃতপক্ষে মিথাইল অ্যাসিটাইল। [২১]পরের বছর ফ্রেঞ্চ রসায়নবিদ শার্ল ফ্রেডরিক গের্দত তার সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন। ১৮৬৫ সালে জার্মান বিজ্ঞানী অগাস্ট কেকুলে অ্যাসিটোনের আধুনিক গাঠনিক সংকেত নির্ণয় করেন। [২২] ইয়োহান ইয়োসেফ লোশমিট ১৮৬১ সালে অ্যাসিটোনের গঠন নির্ণয় করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বিজ্ঞানী চাইম ওয়েজম্যান অ্যাসিটোনের বাণিজ্যিক উৎপাদনের পদ্ধতি নির্ণয় করেন। [২৩]

উৎপাদন

২০১০ সালে বিশ্বজুড়ে ৬.৭ মিলিয়ন অ্যাসিটোন উৎপন্ন হয়েছিল।[১৬] যুক্তরাষ্ট্রে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পরিমাণ অ্যাসিটোন উৎপন্ন হয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ১.৫৬ মিলিয়ন টন।[২৪] তাইওয়ানচীন অ্যাসিটোন উৎপাদনে বিশ্বে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয়। অ্যাসিটোন উৎপাদনকারী সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান আইএনইওএস ফেনল। বিশ্বের ১৭% অ্যাসিটোন-ই এ প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করে থাকে। মিতসুই, সুনোকো ও শেল কোম্পানিও অ্যাসিটোন উৎপাদন করে। [১৬] বেলজিয়ামের বেভেরেন শহরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অ্যাসিটোন উৎপাদন কারখানা অবস্থিত। ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি টন অ্যাসিটোন ১১০০-১২৫০ ডলারে বিক্রি হয়।[২৫]

প্রোপিলিন থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অ্যাসিটোন উৎপাদন করা হয়। ক্যুমিন প্রক্রিয়ায় প্রায় ৮৩% অ্যাসিটোন প্রস্তুত করা হয়। [২৬] ফেনল-ও একই প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়। ক্যুমিন প্রক্রিয়ায় বেনজিনকে প্রোপিলিনের সাথে ক্ষারকায়িত করা হয়। অতঃপর একে বায়ুতে জারিত করে ফেনল ও অ্যাসিটোন উৎপাদন করা হয়। একে বিক্রিয়ার সাহায্যে নিম্নরূপে দেখানো হলো:

ওয়েকার-হোয়েস্ট প্রক্রিয়ায় সরাসরি জারণ করেও অ্যাসিটোন উৎপাদন করা সম্ভব হয়। এছাড়াও প্রোপিলিনে পানি সংযোজন করে ২-প্রোপানল উৎপাদন করা যায়, যাকে জারিত করে অ্যাসিটোন প্রস্তুত করা সম্ভব হয়।

ইতোপূর্বে অ্যাসিটোনসমূহের শুষ্ক পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ায় অ্যাসিটোন উৎপন্ন করা হতো। ক্যালসিয়াম অ্যাসিটেটের কিটোনিক ডিকার্বক্সিলেশন বিক্রিয়ায় পরিস্রাবণ এর অনন্য উদাহরণ:

Ca(CH3COO)2 → CaO(s) + CO2(g) + (CH3)2CO (v)

পরবর্তীতে Clostridium acetobutylicum থেকে অ্যাসিটোন-বিউটানল-ইথানল গাঁজন প্রক্রিয়ায় অ্যাসিটোন উৎপাদন করা হতো। চাইম ওয়াজম্যান (যিনি পরবর্তীতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি হন) ব্রিটিশদের যুদ্ধপ্রচেষ্টা বেগবান করার জন্য এ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেন।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ