ইন্টার মিলান
ফুটবল ক্লাব ইন্তেরনাৎসিওনালে মিলানো (সাধারণত ইন্তেরনাৎসিওনালে উচ্চারিত [ˌinternattsjoˈnaːle], ইন্টার মিলান অথবা শুধুমাত্র ইন্টার নামে পরিচিত) হচ্ছে মিলান ভিত্তিক একটি ইতালীয় পেশাদার ফুটবল ক্লাব।[৯][১০] এই ক্লাবটি বর্তমানে ইতালির শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ সেরিয়ে আ-এ খেলে। এই ক্লাবটি ১৯০৮ সালের ৯ই মার্চ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইন্টার মিলান তাদের সকল হোম ম্যাচ মিলানের সান সিরোতে খেলে থাকে; যার ধারণক্ষমতা হচ্ছে ৮০,০১৮। বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন আন্তোনিও কোন্তে এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন স্টিভেন ঝাং। স্লোভেনীয় গোলরক্ষক সামির হান্দানোভিচ এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
পূর্ণ নাম | ফুটবল ক্লাব ইন্তেরনাৎসিওনালে মিলানো এস.পি.এ.[১] | |||
---|---|---|---|---|
ডাকনাম |
| |||
সংক্ষিপ্ত নাম | ইন্টার, এফসিআইএম | |||
প্রতিষ্ঠিত | ৯ মার্চ ১৯০৮ | |||
মাঠ | সান সিরো | |||
ধারণক্ষমতা | ৮০,০১৮ | |||
মালিক | ||||
সভাপতি | স্টিভেন ঝাং[৭] | |||
প্রধান কোচ | সিমিওনে ইনজাঘি[৮] | |||
লিগ | সেরিয়ে আ | |||
২০১৯–২০ | ২য় | |||
ওয়েবসাইট | ক্লাব ওয়েবসাইট | |||
ইতিহাস
১৯০৮ সালে এসি মিলান ভেঙ্গে ইন্টার মিলান গঠিত হয়। প্রথম বছরেই তারা স্কুডেট্টো জিতে নেয়। এ দলের কোচ কাম অধিনায়ক ছিলেন ভার্জিলিও ফসেত্তি, যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ হারান। পরবর্তী শিরোপা জিততে ১০ বছর অপেক্ষা করতে হয়।
প্রথম কোপা ইতালিয়া শিরোপো জয় করে ১৯৩৮-৩৯ সালে। ১৯৪০ সালে দলটি জয় করে পঞ্চম স্কুডেট্টো। এ দলটির নেতৃত্বে ছিলেন গিওসেপে মিয়েজ্জা, যার নাম অনুসারে পরবর্তীকালে সান সিরো স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়।
খেলোয়াড়
১২ জুলাই ২০২২ অনুযায়ী[১১]
বর্তমান দল
টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।
|
|
ধারে অন্য দলে
টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।
|
|
চুক্তিবদ্ধ অন্যান্য খেলোয়াড়
টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।
|
|
সমর্থক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা
ইন্টার মিলান ইতালির সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। মোট সমর্থকদের শতকরা ৪১ ভাগ দলটিকে সমর্থন করে থাকেন।ঐতিহাসিকভাবে এসি মিলান দক্ষিণ ইতালীর শহরের শ্রমিক শ্রেণী সমর্থিত দল ছিল। পক্ষান্তরে অন্য বড় দল ইন্টার ছিল উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী সমর্থিত দল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দল দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক বলয়ে অবস্থান করছে, কেননা বর্তমানে মিলানের মালিক হচ্ছেন গণমাধ্যম ব্যবসায়ী ও রক্ষণশীল দল থেকে নির্বাচিত ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকনি, এবং ইন্টারের মালিক মধ্য-বামপন্থী তেল ব্যবসায়ী ম্যাসিমো মোরাত্তি। তবুও এসি মিলানের সমর্থকের এখনও সাধারণত বামপন্থী এবং ইন্টারের সমর্থকেরা ডানপন্থী হয়ে থাকেন
ইন্টার মিলান ইতালির সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। মোট সমর্থকদের শতকরা ৪১ ভাগ দলটিকে সমর্থন করে থাকেন। ঐতিহাসিকভাবে এসি মিলান দক্ষিণ ইতালীর শহরের শ্রমিক শ্রেণী সমর্থিত দল ছিল। পক্ষান্তরে অন্য বড় দল ইন্টার ছিল উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী সমর্থিত দল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দল দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক বলয়ে অবস্থান করছে, কেননা বর্তমানে মিলানের মালিক হচ্ছেন গণমাধ্যম ব্যবসায়ী ও রক্ষণশীল দল থেকে নির্বাচিত ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকনি, এবং ইন্টারের মালিক মধ্য-বামপন্থী তেল ব্যবসায়ী ম্যাসিমো মোরাত্তি। তবুও এসি মিলানের সমর্থকের এখনও সাধারণত বামপন্থী এবং ইন্টারের সমর্থকেরা ডানপন্থী হয়ে থাকেন।
এসি মিলানের সাথে ইন্টারের প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা ঐতিহাসিকভাবে চলে আসছে।দু'দলের সমর্থকদের মধ্যে হাঙ্গামা বেশ নিয়মিত ঘটনা।২০০৪-০৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগে দু'দলের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি সমর্থক গোলযোগের কারণে একবার পরিত্যক্ত হয়। জুভেন্টাসের সাথেও ইন্টারের রয়েছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা। এ দু'দলের ম্যাচকে 'ডার্বি-ডি-ইতালিয়া' বলা হয়
অর্জন
- স্কুডেট্টো (ইতালীয় চ্যাম্পিয়নশিপ)
- শিরোপা (১৮): ১৯০৯-১০; ১৯১৯-২০; ১৯২৯-৩০; ১৯৩৭-৩৮; ১৯৩৯-৪০; ১৯৫২-৫৩; ১৯৫৩-৫৪; ১৯৬২-৬৩; ১৯৬৪–৬৫; ১৯৬৫-৬৬; ১৯৭০-৭১; ১৯৭৯-৮০; ১৯৮৮-৮৯; ২০০৫-০৬; ২০০৬-৭ ; ২০০৭-০৮ ; ২০০৮-০৯;২০০৯-২০১০
- রানার্স-আপ (১৪): ১৯৩২–৩৩; ১৯৩৩–৩৪; ১৯৩৪–৩৫; ১৯৪০–৪১; ১৯৪৫–৪৬; ১৯৪৮–৪৯; ১৯৫০–৫১; ১৯৬১–৬২; ১৯৬৩–৬৪; ১৯৬৬–৬৭; ১৯৬৯–৭০; ১৯৯২–৯৩; ১৯৯৭–৯৮; ২০০২–০৩
- কোপা ইতালিয়া (ইতালীয় কাপ)
- শিরোপা (৫): ১৯৩৮-৩৯; ১৯৭৭-৭৮; ১৯৮১-৮২; ২০০৪-০৫; ২০০৫-০৬
- রানার্স-আপ (৬): ১৯৫৮-৫৯; ১৯৬৪-৬৫; ১৯৭৬-৭৭; ১৯৯৯-০০; ২০০৬-০৭; ২০০৭-০৮
- সুপার কোপা ডি লিগা (ইতালীয় সুপার কাপ)
- শিরোপা (৪): ১৯৮৮-৮৯; ২০০৫; ২০০৬; ২০০৮
- রানার্স-আপ (২): ২০০০-০১; ২০০৭-০৮
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ (সাবেক ইউরোপীয়ান কাপ)
- শিরোপা (৩): ১৯৬৩-৬৪; ১৯৬৪-৬৫;২০০৯-১০
- রানার্স-আপ (২):১৯৬৬-৬৭; ১৯৭১-৭২
- উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ
- কোয়ার্টার ফাইনাল (২): ১৯৭৮-৭৯, ১৯৮২-৮৩
- উয়েফা কাপ
- শিরোপা (৩): ১৯৯০-৯১; ১৯৯৩-৯৪; ১৯৯৭-৯৮
- রানার্স-আপ (১):১৯৯৬-৯৭
- মিত্রোপা কাপ
- রানার্স-আপ (১): ১৯৩২-৩৩
কোম্পানী হিসেবে ইন্তেরনাৎসিওনালে
২০০৫-০৬ সালে ধনী ক্লাবগুলোর কাতারে ইন্তেরনাৎসিওনালের অবস্থান ছিল ৭ম। দলটির আয়ের পরিমাণ ছিল ২০৬ মিলিয়ন ইউরো
সার্ট স্পন্সর এবং প্রস্তুতকারী
মেয়াদ | পোশাক প্রস্তুতকারী | সার্ট স্পন্সর |
---|---|---|
১৯৭৯-৮০ | পুমা | নেই |
১৯৮১-৮২ | ইনো-হিট | |
১৯৮২-৮৬ | মেক স্পোর্ট | মিসুরা |
১৯৮৬-৮৮ | লে কক স্পোর্টলিফ | |
১৯৮৮-৯১ | ইউনিস্পোর্ট | |
১৯৯১-৯২ | আমব্রো | ফিটজার |
১৯৯২-৯৫ | ফিরুচ্চি | |
১৯৯৫-৯৮ | পিরেল্লি | |
১৯৯৮– | নাইকি | পিরেল্লি |