মহা শক্তি
মহা শক্তি হল একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র, যা বিশ্বব্যাপী তার প্রভাব প্রয়োগ করার ক্ষমতা ও দক্ষতার অধিকারী হিসাবে স্বীকৃত। মহা শক্তিসমূহ বৈশিষ্ট্যগতভাবে সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তির অধিকারী, সেইসাথে কূটনৈতিক ও নরম শক্তির প্রভাবের অধিকারী, যার কারণে মধ্য বা ছোট শক্তিসমূহকে তাদের নিজস্ব পদক্ষেপ নেওয়ার আগে মহা শক্তিসমূহ মতামত বিবেচনা করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তত্ত্ববিদরা মনে করেন যে মহা শক্তির অবস্থাকে শক্তির ক্ষমতা, স্থানিক দিক ও অবস্থার মাত্রার মধ্যে চিহ্নিত করা যেতে পারে।[২]
যদিও কিছু রাষ্ট্র ব্যাপকভাবে মহা শক্তি হিসাবে বিবেচিত হয়, তবে তাদের কোন নির্দিষ্ট তালিকা নেই। কখনও কখনও মহা শক্তির মর্যাদা আনুষ্ঠানিকভাবে ভিয়েনার কংগ্রেস[১][৩][৪] বা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মতো সম্মেলনে স্বীকৃত হয়।[১][৫][৬] তদনুসারে, গ্রুপ অব সেভেন (জি৭) এর মতো ফোরামগুলিতেও মহা শক্তির মর্যাদা আনুষ্ঠানিকভাবে ও অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে।[৭][৮][৯][১০]
"গ্রেট পাওয়ার বা মহা শক্তি" শব্দটি প্রথম নেপোলিয়ন-পরবর্তী যুগে ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তিকে উল্লেখ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। "মহা শক্তি"সমূহ "ইউরোপের কনসার্ট" গঠন করেছিল এবং যুদ্ধোত্তর চুক্তিসমূহের যৌথ প্রয়োগের অধিকার দাবি করে।[১১] ছোট শক্তি[১২] ও মহা শক্তির মধ্যে বিভাজনের আনুষ্ঠানিকতা ১৮১৪ সালে চাউমন্ট চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ঘটেছিল। তারপর থেকে, ক্ষমতার আন্তর্জাতিক ভারসাম্য বহুবার পরিবর্তিত হয়েছে, সবচেয়ে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ঘটে। সাহিত্যে, মহা শক্তির বিকল্প পরিভাষা হিসাবে প্রায়ই বিশ্বশক্তি[১৩] বা প্রধান শক্তি শব্দ বা শব্দসমূহ ব্যবহৃত হয়।[১৪]