পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের তালিকা

উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ

রাজকীয় সুয়েডীয় বিজ্ঞান একাডেমি প্রতি বছর একবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (সুয়েডীয় ভাষায়: Nobelpriset i fysik) প্রদান করে। বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল-এর উইল অনুযায়ী পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, শান্তি এবং সাহিত্য এই পাঁচটি বিভাগে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছিল ১৯০১ সালে। নোবেল ১৮৮৫ সালে এই পাঁচটি বিষয়ের ব্যাপারে উইল করে গিয়েছিলেন। প্রথম পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন জার্মান বিজ্ঞানী ভিলহেল্ম কনরাড র‌ন্টগেন। এক্স-রশ্মিসহ এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রশ্মি আবিষ্কারের মাধ্যমে বিজ্ঞানের জগতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে সেবার পুরস্কার দেয়া হয়। নোবেল ফাউন্ডেশন কর্তৃক এই পুরস্কার প্রশাসিত হয় এবং পদার্থবিজ্ঞানের সব পুরস্কারের মধ্যে একে সবচেয়ে মর্যাদাকর বিবেচনা করা হয়। প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০১৬ সালে পদার্থের টপোগাণিতিক দশা এবং এর টপোগাণিতিক দশা রূপান্তরের উপর তাত্ত্বিক গবেষণার জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন ডেভিড জে. থলেস, ডানকান হল্ডেন এবং মাইকেল কস্টারলিৎজ। তারা প্রত্যেকে ১০,০০০,০০০ সুইডিশ ক্রোনা বা প্রায় ১৪ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ পেয়েছেন।

ভিলহেল্ম কনরাড র‌ন্টগেন, পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী

পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা

২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট ২০৬জন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে ১৯০১ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত পুরস্কারপ্রাপ্তদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেয়া হল।[১]

১৯০১-১৯৯৯

বছরআলোকচিত্রনোবেল বিজয়ী[ক]দেশ / নাগরিকত্ব[খ]অবদান[গ]
১৯০১ ভিলহেল্ম কনরাড র‌ন্টগেন  জার্মান সাম্রাজ্য"এক্স রশ্মি তথা রঞ্জন রশ্মি আবিষ্কার এবং এবং এ ধরনের রশ্মির যথোপযুক্ত ব্যবহারিক প্রয়োগে সফলতা অর্জন।"
১৯০২ হেন্ড্রিক আন্টোন লোরেন্‌ৎস  নেদারল্যান্ডস"বিকিরণের উপর চুম্বকত্বের প্রভাবের উপর অসাধারণ গবেষণা।"
পিটার জেমান
১৯০৩ অঁতোয়ান অঁরি বেক্যরেল  ফ্রান্স"স্বতস্ফূর্ত তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার"
পিয়ের কুরি"অধ্যাপক হেনরি বেকেরেল আবিষ্কৃত বিকিরণের উপর সফল যৌথ গবেষণা"
মারিয়া স্ক্লদভ্‌স্কা ক্যুরি  পোল্যান্ড
 ফ্রান্স
১৯০৪ জন উইলিয়াম স্ট্রাট, ৩য় ব্যারন রেলি  যুক্তরাজ্য"সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসসমূহের ঘনত্বে নির্ণয় এবং এ থেকে আর্গন নামক গ্যাস আবিষ্কার"
১৯০৫ ফিলিপ এডুয়ার্ড আন্টন ফন লেনার্ড  অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি
 জার্মান সাম্রাজ্য
"ক্যাথোড রশ্মির উপর গবেষণা"
১৯০৬ জোসেফ জন টমসন  যুক্তরাজ্য"গ্যাসের মধ্য দিয়ে তড়িৎ পরিবাহিতার উপর ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক গবেষণা"
১৯০৭ আলবার্ট আব্রাহাম মিকেলসন  যুক্তরাষ্ট্রবর্ণালীবিক্ষণ ও আবহবিদ্যার উপর সফল পরীক্ষণ। দেখুন: মাইকেলসন-মর্লি পরীক্ষা
১৯০৮ গাব্রিয়েল লিপমান  ফ্রান্সব্যতিচারের ঘটনার উপর ভিত্তি করে ছবিতে রঙের পুনরুৎপাদন প্রকিয়া উদ্ভাবন
১৯০৯ গুলিয়েলমো মার্কোনি  ইতালির রাজত্ববেতার যোগাযোগের পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা
কার্ল ফের্ডিনান্ড ব্রাউন  জার্মান সাম্রাজ্য
১৯১০ ইয়োহানেস ডিডেরিক ফান ডার ভাল্‌স  নেদারল্যান্ডসগ্যাস এবং তরলের অবস্থার সমীকরণ প্রতিপাদন। দেখুন: ফান ডার ভাল্‌স বল
১৯১১ ভিলহেল্ম ভিন  জার্মান সাম্রাজ্যতাপীয় বিকিরণ সংক্রান্ত মৌলিক নীতি আবিষ্কার
১৯১২ নিল্‌স গুস্তাফ দালেন  সুইডেনবাতিঘর থেকে প্রেরিত উপকূলীয় আলোক সংকেত এবং আলোক বয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রক উদ্ভাবন যা গ্যাসীয় সঞ্চয়ী তড়িৎকোষের সাথে সংযুক্তভাবে হয়ে করে
১৯১৩ হেইকে কামারলিং ওনেস  নেদারল্যান্ডসনিম্ন তাপমাত্রায় পদার্থের ধর্ম বিষয়ে গবেষণা এবং এর মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় তরল হিলিয়াম প্রস্তুতকরণ
১৯১৪ মাক্স ফন লাউয়ে  জার্মান সাম্রাজ্যকেলাসের মাধ্যমে রঞ্জন রশ্মির বিক্ষেপণ পরীক্ষণ
১৯১৫ উইলিয়াম হেনরি ব্র্যাগ  যুক্তরাজ্যরঞ্জন রশ্মির মাধ্যমে কেলাস গঠন পর্যালোচনা
উইলিয়াম লরেন্স ব্র্যাগ  অস্ট্রেলিয়া
 যুক্তরাজ্য
১৯১৬ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারনে পুরস্কার দেওয়া হয়নি
১৯১৭ চার্লস গ্লোভার বার্কলা  যুক্তরাজ্যমৌলিক পদার্থসমূহের বৈশিষ্ট্যমূলক রঞ্জনরশ্মি বিকিরণ পর্যবেক্ষণ
১৯১৮ মাক্স প্লাংক  জার্মান সাম্রাজ্যমৌলিক শক্তি কোয়ান্টা আবিষ্কারের মাধ্যমে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান
১৯১৯ ইয়োহানেস ষ্টার্ক  ভাইমার প্রজাতন্ত্রধনাত্মক আয়ন তথা ক্যানাল রশ্মিতে ডপলার ক্রিয়া পরীক্ষণ এবং তড়িৎ ক্ষেত্রে বর্ণালী রেখার বিভাজন আবিষ্কার
১৯২০ শার্ল এদুয়ার গিয়্যোম   সুইজারল্যান্ডধাতুর সংকরসমূহে (বিশেষত নিকেল-ইস্পাত সংকরে) বিশৃংখলা আবিষ্কার এবং এর মাধ্যমে পদার্থবিজ্ঞানে সূক্ষ্ম পরিমাপণ পদ্ধতিতে বিশেষ অবদান
১৯২১ আলবার্ট আইনস্টাইন  ভাইমার প্রজাতন্ত্র
  সুইজারল্যান্ড
তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণা, আলোক তড়িৎ ক্রিয়া আবিষ্কার
১৯২২ নিল্‌স হেনরিক ডেভিড বোর  ডেনমার্কপরমাণুর গঠন বিষয়ে মডেল প্রণয়ন এবং এ থেকে নিঃসারিত বিকিরণ বিষয়ে মৌলিক তত্ত্ব প্রদান
১৯২৩ রবার্ট অ্যান্ড্রুজ মিলিকান  যুক্তরাষ্ট্রমৌলিক তড়িৎ আধান এবং আলোক তড়িৎ ক্রিয়া বিষয়ে গবেষণা
১৯২৪ কার্ল মান্নে ইয়রি সিগবান  সুইডেনরঞ্জন-রশ্মি বর্ণালীবিক্ষণ বিষয়ে গবেষণা
১৯২৫ জেমস ফ্রাংক  ভাইমার প্রজাতন্ত্রপরমাণুর উপর একটি ইলেক্ট্রনের প্রভাব সৃষ্টিকারী মৌলিক নীতি আবিষ্কার
গুস্টাভ লুডভিগ হের্‌ৎস
১৯২৬ জঁ-বাতিস্ত পেরাঁ  ফ্রান্সপদার্থের বিচ্ছিন্ন গঠন বিষয়ে গবেষণা এবং বিশেষত থিতানো ভারসাম্য আবিষ্কার
১৯২৭ আর্থার হোলি কম্পটন  যুক্তরাষ্ট্রবিক্ষিপ্ত এক্স রশ্মিতে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তন আবিষ্কার যা কম্পটন ক্রিয়া নামে পরিচিত।
চার্লস টমসন রিস উইলসন  যুক্তরাজ্যবাষ্পকে ঘনীভূত করার মাধ্যমে তড়িতাহিত বস্তুকণার গতিপথকে দৃশ্যমান করার পদ্ধতি আবিষ্কার। দেখুন: মেঘ চেম্বার
১৯২৮ ওয়েন উইলিয়ানস রিচার্ডসন  যুক্তরাজ্যউত্তপ্ত ধাতু থেকে ইলেক্ট্রন নিঃসরণের উপর গবেষণা যা থার্মিয়নিক ঘটনা নামে পরিচিত। এছাড়া তার নামে নামাঙ্কিত একটি তত্ত্ব আবিষ্কার যা থার্মিয়নিক নিঃসরণ নামে পরিচিত।
১৯২৯ লুই ভিক্তর পিয়ের রেমোঁ দ্য ব্রোয়ি  ফ্রান্সইলেক্ট্রনের তরঙ্গ ধর্ম আবিষ্কার। দেখুন: দ্য ব্রোয়ি প্রকল্প
১৯৩০ চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন  ভারতআলোক বিক্ষেপণ বিষয়ে গবেষণা এবং রমন ক্রিয়া আবিষ্কার
১৯৩১ পুরস্কার দেওয়া হয়নি
১৯৩২ ভের্নার কার্ল হাইজেনবের্গ  ভাইমার প্রজাতন্ত্রকোয়ান্টাম বলবিদ্যার প্রবর্তন। এই বলবিদ্যার মাধ্যমেই হাইড্রোজেনের বহুরুপতা ধর্ম এবং অন্যান্য রূপগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে।
১৯৩৩ এরভিন শ্র্যোডিঙার  অস্ট্রিয়াকোয়ান্টাম বলবিদ্যায় তরঙ্গ সমীকরণের অবতারণা যা পারমাণবিক তত্ত্বে একটি উল্লেখযোগ্য ধারণার জন্ম দিয়েছে।[২]
পল ডির‍াক  যুক্তরাজ্য
১৯৩৪ পুরস্কার দেওয়া হয়নি
১৯৩৫ জেমস চ্যাডউইক  যুক্তরাজ্যনিউট্রন আবিষ্কার
১৯৩৬ ভিক্টর ফ্রান্ৎস হেস  অস্ট্রিয়ামহাজাগতিক বিকিরণ আবিষ্কার
কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসন  যুক্তরাষ্ট্রপজিট্রন আবিষ্কার
১৯৩৭ ক্লিনটন জোসেফ ডেভিসন  যুক্তরাষ্ট্রকেলাসের সাহায্যে ইলেকট্রন বিক্ষেপণ প্রক্রিয়ার পরীক্ষামূলক আবিষ্কার।[৩]
জর্জ প্যাজেট টমসন  যুক্তরাজ্য
১৯৩৮ এনরিকো ফের্মি  ইতালিনিউট্রনের রশ্মিপাতের ফলে সৃষ্ট নতুন তেজস্ক্রিয় পদার্থের অস্তিত্বের প্রমাণ হিসেবে একটি পরীক্ষা প্রদর্শন। এছাড়া ধীরগতির নিউট্রনের মাধ্যমে সংঘটিত নিউক্লিয় বিক্রিয়া বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার।[৪]
১৯৩৯ আর্নেস্ট অরল্যান্ডো লরেন্স  যুক্তরাষ্ট্রসাইক্লোট্রন উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন, এর মাধ্যমে বিভিন্ন ফলাফল লাভ। বিশেষত কৃত্রিম তেজস্ক্রিয় পদার্থ সম্পর্কে একটি ফল লাভ।[৫]
১৯৪০ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে পুরস্কার দেওয়া হয়নি
১৯৪১ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে পুরস্কার দেওয়া হয়নি
১৯৪২ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে পুরস্কার দেওয়া হয়নি
১৯৪৩ অটো ষ্টের্ন  যুক্তরাষ্ট্র
 ভাইমার প্রজাতন্ত্র
আণবিক রশ্মি পদ্ধতির উন্নয়নে বিশেষ অবদান এবং প্রোটনের চৌম্বক ভ্রামক আবিষ্কার।[৬]
১৯৪৪ ইসিদোর ইজাক রাবি  যুক্তরাষ্ট্র
 পোল্যান্ড
পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চৌম্বক ধর্ম রেকর্ড করার জন্য অনুরণন (রেজোন্যান্স) পদ্ধতি উদ্ভাবন।[৭]
১৯৪৫ ভোল্‌ফগাং পাউলি  অস্ট্রিয়াবর্জন নীতি আবিষ্কার যা সাধারণত পাউলির বর্জন নীতি নামে পরিচিত।
১৯৪৬ পার্সি উইলিয়ামস ব্রিজম্যান  যুক্তরাষ্ট্রঅতি উচ্চ চাপ সৃষ্টির যন্ত্র উদ্ভাবন এবং এর মাধ্যমে উচ্চ চাপ পদার্থবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন আবিষ্কার[৮]
১৯৪৭ এডওয়ার্ড ভিক্টর অ্যাপলটন  যুক্তরাজ্যবায়ুমণ্ডলের উর্দ্ধাংশের পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে বিশেষ গবেষণা এবং অ্যাপ্‌লটন স্তর আবিষ্কার।[৯]
১৯৪৮ প্যাট্রিক মেইনার্ড স্টুয়ার্ট ব্ল্যাকেট  যুক্তরাজ্যউইলসন মেঘ কক্ষ উদ্ভাবন ও উন্নয়ন এবং এর মাধ্যমে নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞান ও মহাজাগতিক বিকিরণের ক্ষেত্রে বিশেষ গবেষণা[১০]
১৯৪৯ হিদেকি ইউকাওয়া  জাপাননিউক্লিয় বলসমূহের উপর তাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে মেসনের অস্তিত্বের ভবিষ্যদ্বাণী প্রদান। দেখুন: ইউকাওয়া বিভব[১১]
১৯৫০ সেসিল ফ্র্যাংক পাওয়েল  যুক্তরাজ্যনিউক্লীয় প্রক্রিয়াসমূহ অধ্যয়ন করার জন্য আলোকীয় পদ্ধতির উন্নয়ন এই পদ্ধতির মাধ্যমে মেসন-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার।[১২]
১৯৫১ জন ডগলাস কক্‌ক্রফ্‌ট  যুক্তরাজ্যকৃত্রিমভাবে ত্বরিত পারমাণবিক কণার মাধ্যমে পরমাণুর কেন্দ্রভাগের ট্রান্সমিউটেশন নিয়ে গবেষণা
আর্নেস্ট টমাস সিন্টন ওয়াল্টন  আয়ারল্যান্ড
১৯৫২ ফেলিক্স ব্লখ  যুক্তরাষ্ট্রনিউক্লিয় চৌম্বক ক্ষেত্রে সূক্ষ্ণ পরিমাপের জন্য নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আবিষ্কার
এডওয়ার্ড মিল্‌স পারসেল  যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৩ ফ্রিৎস জের্নিকে  নেদারল্যান্ডসফেজ কনট্রাস্ট পদ্ধতি প্রদর্শন এবং বিশেষত অণুবীক্ষণ যন্ত্রের ফেজ কনট্রাস্ট উদ্ভাবন।
১৯৫৪ মাক্স বর্ন  পশ্চিম জার্মানিকোয়ান্টাম বলবিদ্যার উপর মৌলিক গবেষণা এবং বিশেষত তরঙ্গ ফাংশনের পরিসাংখ্যনিক রুপ আবিষ্কার
ওয়াল্টার বোটে  পশ্চিম জার্মানিকোইনসিডেন্স প্রক্রিয়া এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আবিষ্কার
১৯৫৫ উইলিস ইউজিন ল্যাম্ব  যুক্তরাষ্ট্রহাইড্রোজেন বর্ণালীর সূক্ষ্ম গঠন আবিষ্কার। দেখুন: ল্যাম্ব শিফ্‌ট
পলিকার্প কুশ  যুক্তরাষ্ট্রইলেকট্রনের চৌম্বক ভ্রামকের অত্যন্ত সূক্ষ্ণ পরিমাপ
১৯৫৬ জন বারডিন  যুক্তরাষ্ট্র"অর্ধপরিবাহী পদার্থের উপর মৌলিক গবেষণা এবং ট্রানজিস্টর ক্রিয়া আবিষ্কার"
ওয়াল্টার হাউজার ব্র্যাটেইন
উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড শক্‌লি
১৯৫৭ সুং দাও লি  প্রজাতন্ত্রী চীন"তথাকথিত প্যারিটি নীতি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যয়ন যার কারণে পরবর্তীতে মৌলিক পদার্থ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে।"
চেন নিং ইয়াং
১৯৫৮ পাভেল আলেক্সেইয়েভিচ চেরেংকভ  সোভিয়েত ইউনিয়ন"চেরেংকভ-ভাভিলভ ক্রিয়া আবিষ্কার এবং এর বিভিন্ন রূপ নির্ণয়"
ইলিয়া মিখাইলোভিচ ফ্রাংক
ইগর ইয়েভ্‌গেনিয়েভিচ তাম
১৯৫৯ এমিলিও জিনো সেগরে  ইতালি
 যুক্তরাষ্ট্র
"প্রতিপ্রোটন আবিষ্কার"
ওয়েন চেম্বারলেইন  যুক্তরাষ্ট্র
১৯৬০ডোনাল্ড আর্থার গ্লেজার  যুক্তরাষ্ট্র"বাব্‌ল চেম্বার উদ্ভাবন করেন"
১৯৬১ রবার্ট হফষ্টাটার  যুক্তরাষ্ট্র"পরমাণুর কেন্দ্রে ইলেকট্রনের বিচ্ছুরণের উপর মৌলিক গবেষণা এবং এই গবেষণার মাধ্যমে নিউক্লিয়নসমূহের গঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক আবিষ্কার"
রুডল্‌ফ লুডভিগ ম্যোসবাউয়ার  পশ্চিম জার্মানি"গামা বিকিরণের রেজোন্যান্স বিশোষণ বিষয়ে গবেষণা এবং এর মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়া আবিষ্কার যার নাম তার নামে রাখা হয়েছে: ম্যোসবাউয়ার ক্রিয়া"
১৯৬২ ল্যেভ দাভিদোভিচ লান্দাউ  সোভিয়েত ইউনিয়ন"ঘনীভূত পদার্থের জন্য মৌলিক তত্ত্ব প্রণয়ন। বিশেষ করে তরল হিলিয়ামের জন্য"
১৯৬৩ ইউজিন পল উইগনার  হাঙ্গেরি
 যুক্তরাষ্ট্র
"পারমাণবিক কেন্দ্রীন ও মৌলিক কণাসমূহের তত্ত্ব বিষয়ে মৌলিক অবদান। বিশেষ করে মৌলিক প্রতিসাম্য নীতির আবিষ্কার এবং এর ব্যবহারিক প্রয়োগ নির্দেশন"
মারিয়া গ্যোপের্ট-মায়ার  জার্মান সাম্রাজ্য
 যুক্তরাষ্ট্র
"নিউক্লিয় শক্তিস্তরের গঠন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার"
ইয়োহানেস হ্যান্স ডানিয়েল ইয়েনসেন  পশ্চিম জার্মানি
১৯৬৪ নিকোলাই গেন্নাদিয়েভিচ বাসভ  সোভিয়েত ইউনিয়ন"কোয়ান্টাম ইলেকট্রনিক্‌স বিষয়ে মৌলিক গবেষণা। এই গবেষণা থেকে উদ্ভূত মেজার-লেজার নীতির মাধ্যমেই পরবর্তীতে ওসিলেটর এবং অ্যামপ্লিফায়ার তৈরি করা সম্ভব হয়েছে"
আলেক্সান্দ্‌র প্রখরভ
চার্লস হার্ড টাউন্‌স  যুক্তরাষ্ট্র
১৯৬৫রিচার্ড ফিলিপ্‌স ফাইনম্যান  যুক্তরাষ্ট্র"কোয়ান্টাম তড়িৎগতিবিদ্যা বিষয়ে মৌলিক গবেষণা এবং মৌলিক কণাসমূহের পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল উপপাদন"
জুলিয়ান শুইঙার
সিন-ইতিরো তোমোনাগা  জাপান
১৯৬৬ আলফ্রেড কাস্টলার  ফ্রান্স"পরমাণুর হার্জিয়ান রেজোন্যান্স অধ্যয়ন করার জন্য আলোকীয় পদ্ধতি আবিষ্কার এবং উন্নয়ন"
১৯৬৭ হান্স আলব্রেশ্‌ট বেটে  যুক্তরাষ্ট্র"নিউক্লিয় বিক্রিয়া সম্বন্ধে বিভিন্ন তত্ত্ব প্রদান ও গবেষণা। বিশেষত তারার অভ্যন্তরে শক্তির উৎপাদন প্রক্রিয়া নির্ণয়"
১৯৬৮ লুইস ওয়াল্টার আলভারেজ  যুক্তরাষ্ট্র"মৌলিক কণা পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক আবিষ্কার। বিশেষত তার আবিষ্কারের ফরে অনেকগুলো রেজোন্যান্স অবস্থা আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি হাইড্রোজেন বাব্‌ল চেম্বার এবং উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই অবস্থা নির্ণয়ের পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন"
১৯৬৯ মারি গেল-মান  যুক্তরাষ্ট্র"মৌলিক কণাসমূহের শ্রেণিবিভাগ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার এবং তাদের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে গবেষণা। দেখুন: এইটফোল্ড ওয়ে"
১৯৭০ হানেস উলফ গোস্তা আল্‌ফভেন  সুইডেন"চৌম্বক-জলগতিবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণা ও আবিষ্কার এবং প্লাসমা পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন অংশে এই আবিষ্কারগুলোর সফল প্রয়োগ।"[১৩]
লুই ইউজিন ফেলিক্স নিল  ফ্রান্স"বিপরীত ফেরোচুম্বকত্ব এবং ফেরোচুম্বকত্ব নিয়ে মৌলিক গবেষণা ও আবিষ্কার যার মাধ্যমে কঠিন অবস্থা পদার্থবিজ্ঞানের প্রায়োগিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।"[১৩]
১৯৭১ ডেনেস গাবর  যুক্তরাজ্য"হলোগ্রাফি পদ্ধতি উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন"[১৪]
১৯৭২ জন বারডিন  যুক্তরাষ্ট্র"একসাথে আবিষ্কৃত অতিপরিবাহিতা তত্ত্ব যা সাধারণভাবে বিসিএস-তত্ত্ব নামে পরিচিত।"[১৫]
লিয়ন নেইল কুপার  যুক্তরাষ্ট্র
জন রবার্ট শ্রিফার  যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৩ লিও এসাকি  জাপান"অর্ধপরিবাহী এবং অতিপরিবাহী পদার্থের সুড়ঙ্গীভবন বা "টানেলিং" ঘটনা আবিষ্কার।"[১৬]
ইভার ইয়্যাভার  যুক্তরাষ্ট্র
 নরওয়ে
ব্রায়ান ডেভিড জোসেফসন  যুক্তরাজ্য"একটি টানেল বাঁধ দিয়ে প্রবহমান অতি তড়িৎ প্রবাহের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তাত্ত্বিক ভবিষ্যদ্বাণী। বিশেষত জোসেফসন ক্রিয়া নামে পরিচিত ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করার জন্য এই ভবিষ্যদ্বাণী গুরুত্বপূর্ণ ছিল।"[১৬]
১৯৭৪মার্টিন রাইল  যুক্তরাজ্য"বেতার জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অগ্রগামী গবেষণার জন্য। বিশেষত রাইল অ্যাপারচার সংশ্লেষণ কৌশল উদ্ভাবন এবং এ সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষণ আর হিউইশ পালসার আবিষ্কারে অবদানের জন্য।"[১৭]
অ্যান্টনি হিউইশ  যুক্তরাজ্য
১৯৭৫ অউ নিলস বোর

 ডেনমার্ক
 ডেনমার্ক
 যুক্তরাষ্ট্র
"পারমাণবিক কেন্দ্রীনে সমন্বিত গতি ও কণা গতির মধ্যে সংযোগ আবিষ্কার এবং এই সংযোগের উপর ভিত্তি করে পারমাণবিক কেন্দ্রীনের গঠন বিষয়ক তত্ত্ব আবিষ্কার।"[১৮]
বেন রয় মোটেলসন  ডেনমার্ক
লিও জেমস রেইনওয়াটার  যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৬ বার্টন রিখটার  যুক্তরাষ্ট্র"নতুন ধরনের ভারী মৌলিক কণা আবিষ্কার। অন্য কথায়, জে/Ψ কণা আবিষ্কার। বেরিয়নীয় পদার্থগুলো যে কোয়ার্ক দ্বারা গঠিত তা এই কণা আবিষ্কৃত হবার পর জানা যায়।"[১৯]
সামুয়েল ছাও ছুং থিং  যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৭ ফিলিপ ওয়ারেন এন্ডারসন  যুক্তরাষ্ট্র"চৌম্বক এবং বিশৃঙ্খল পদ্ধতির ইলেকট্রনিক গঠন বিষয়ে মৌলিক তাত্ত্বিক অনুসন্ধান।"[২০]
নেভিল ফ্রান্সিস মট  যুক্তরাজ্য
জন হ্যাসব্রাউক ভ্যান ভ্লেক  যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৮ পিয়োতর লিওনিদোভিচ কাপিৎসা  সোভিয়েত ইউনিয়ন"নিম্ন-তাপমাত্রার পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মৌলিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য"
আরনো এলান পেনজিয়াস  যুক্তরাষ্ট্র"মহাজাগতিক অতিক্ষুদ্রতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ আবিষ্কার"
রবার্ট উড্রো উইলসন
১৯৭৯ শেল্ডন লি গ্ল্যাশো  যুক্তরাষ্ট্র"মৌলিক কণাসমূহের মধ্যকার একীভূত দুর্বল এবং তড়িচ্চৌম্বক মিথস্ক্রিয়া বিষয়ক তত্ত্বে অবদানের জন্য। বিশষত ইন্টার এলিয়া তথা দুর্বল নিরপেক্ষ তড়িৎ প্রবাহ সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী।"
আবদুস সালাম  পাকিস্তান
স্টিভেন ওয়াইনবার্গ  যুক্তরাষ্ট্র
১৯৮০ জেমস ওয়াটসন ক্রোনিন  যুক্তরাষ্ট্র"নিরপেক্ষ কে-মেসন-এর ভাঙনের ক্ষেত্রে মৌলিক প্রতিসাম্য নীতির লঙ্ঘন আবিষ্কার। দেখুন: সিপি-লঙ্ঘন"
ভ্যাল লজ্‌স্‌ডন ফিচ
১৯৮১ নিকোলাস ব্লোমবের্গেন  নেদারল্যান্ডস
 যুক্তরাষ্ট্র
"লেজার বর্ণালিবীক্ষণ উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য"
আর্থার লিওনার্ড শলো  যুক্তরাষ্ট্র
কাই সিগবান  সুইডেন"উচ্চ বিভেদনক্ষমতার (রেজল্যুশনের) ইলেকট্রন বর্ণালিবীক্ষণ উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য"
১৯৮২ কেনেথ জি উইলসন  যুক্তরাষ্ট্র"দশা পরিবর্তন (ফেইজ ট্রানজিশন) বিষয়ক ক্রান্তীয় ঘটনার তত্ত্ব"
১৯৮৩ সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর  ভারত
 যুক্তরাষ্ট্র
"তারার বিবর্তন এবং গঠনের গুরুত্ব বিষয়ক ভৌত প্রক্রিয়া সম্বন্ধে তাত্ত্বিক গবেষণা। দেখুন: চন্দ্রশেখর সীমা"
উইলিয়াম আলফ্রেড ফাউলার  যুক্তরাষ্ট্র"মহাবিশ্বে রাসায়নিক মৌলের উৎপত্তি বোঝার ক্ষেত্রে নিউক্লীয় বিক্রিয়ার গুরুত্ব নিয়ে পরীক্ষণমূলক এবং তাত্ত্বিক গবেষণা"
১৯৮৪ কার্লো রুবিয়া  ইতালি"বৃহৎ প্রকল্পে বিশেষ অবদান রাখার জন্য। এই বৃহৎ প্রকল্পের মাধ্যমেই ডব্লিউ এবং জেড নামক ক্ষেত্র কণা আবিষ্কৃত হয়। এই কণা দুটি দুর্বল মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী হিসেবে কাজ করে"
সিমন ফান ডার মিয়ার  নেদারল্যান্ডস
১৯৮৫ ক্লাউস ফন ক্লিৎসিং  পশ্চিম জার্মানি"কোয়ান্টাম হল ক্রিয়া আবিষ্কার"
১৯৮৬ আর্নস্ট রুস্কা  পশ্চিম জার্মানি"ইলেকট্রন আলোকবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণা এবং প্রথম ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নকশা তৈরি করা"
গের্ড বিনিগ  পশ্চিম জার্মানি"স্ক্যানিং টানেলিং অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নকশা প্রস্তুতকরণ"
হাইনরিশ রোরার   সুইজারল্যান্ড
১৯৮৭ ইয়োহানেস গেয়র্গ বেন্ডনর্‌ৎস  পশ্চিম জার্মানি"সিরামিক পদার্থের মধ্যে অতিপরিবাহিতা বিষয়টি আবিষ্কার যা অতিপরিবাহিতা আবিষ্কারের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন"
কার্ল আলেকজান্ডার মুলার   সুইজারল্যান্ড
১৯৮৮ লিয়ন ম্যাক্স লেডারম্যান  যুক্তরাষ্ট্র"মিউওন নিউট্রিনো আবিষ্কারের মাধ্যমে লেপ্টনের ডাবলেট গঠন প্রদর্শন এবং নিউট্রিনো রশ্মি প্রক্রিয়া উদ্ভাবন"
মেলভিন শোয়ার্জ
জ্যাক স্টাইনবার্গার
১৯৮৯ নরম্যান ফস্টার র‌্যামজে  যুক্তরাষ্ট্র"পৃথকীকৃত কম্পমান ক্ষেত্রে পদ্ধতি উদ্ভাবন এবং হাইড্রোজেন মেজার ও অন্যান্য পারমাণবিক ঘড়িতে এর ব্যবহার"
হ্যান্স গেয়র্গ ডেমেল্ট  যুক্তরাষ্ট্র
 পশ্চিম জার্মানি
"আয়ন ফাঁদ কৌশল উন্নয়ন"
ভোল্‌ফগাং পাউল  পশ্চিম জার্মানি
১৯৯০ জেরোম আইজ্যাক ফ্রিডম্যান  যুক্তরাষ্ট্র"প্রোটন ও আবদ্ধ নিউট্রনের উপর ইলেকট্রনের গভীর অস্থিতিস্থাপক বিক্ষেপণ বিষয়ে অগ্রগামী অনুসন্ধান। কণা পদার্থবিজ্ঞানে কোয়ার্ক নকশা তৈরি করার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল"
হেনরি ওয়ে কেন্ডাল
রিচার্ড এডওয়ার্ড টেইলর  কানাডা
১৯৯১ পিয়ের জিল দ্য জেন  ফ্রান্স"সাধারণ ব্যবস্থায় অর্ডার ফেনোমেনা বিষয়ক গবেষণার জন্য যে পদ্ধতিগুলোর উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে সেগুলোকে পদার্থের জটিলতর রূপের গবেষণায় ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা সম্ভব, এটি আবিষ্কার। বিশেষত তরল কেলাস এবং পলিমারের জন্য"
১৯৯২ জর্জ চারপাক  ফ্রান্স
 পোল্যান্ড
"কণা নিরূপক যন্ত্র উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন, বিশেষত মাল্টিওয়্যার সমানুপাতিক চেম্বার উন্নয়ন"
১৯৯৩ রাসেল অ্যালান হাল্‌স  যুক্তরাষ্ট্র"নতুন ধরনের পালসার আবিষ্কার। এই আবিষ্কার মহাকর্ষ অধ্যয়নের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে"
জোসেফ হুটন টেইলর জুনিয়র
১৯৯৪ বারট্রাম ব্রকহাউস  কানাডা"নিউট্রন বর্ণালিবীক্ষণের উন্নয়ন এবং ঘনীভূত বস্তুর অধ্যয়নের জন্য নিউট্রন বিক্ষেপণ কৌশলের উন্নয়নে অবদান"
ক্লিফোর্ড গ্লেনউড শাল  যুক্তরাষ্ট্র"নিউট্রন অপবর্তন কৌশলের উন্নয়ন এবং ঘনীভূত বস্তুর অধ্যয়নের জন্য নিউট্রন বিক্ষেপণ কৌশলের উন্নয়নে অবদান"
১৯৯৫ মার্টিন লুইস পার্ল  যুক্তরাষ্ট্র"টাউ লেপটন আবিষ্কার এবং লেপটন পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অগ্রগামী পরীক্ষণমূলক অবদান"
ফ্রেডেরিক রাইনেস"নিউট্রিনো চিহ্নিতকরণ এবং লেপটন পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অগ্রগামী পরীক্ষণমূলক অবদান"
১৯৯৬ ডেভিড মরিস লী  যুক্তরাষ্ট্র"হিলিয়াম-৩-এর মধ্যে অতিপরিবাহিতা আবিষ্কার"
ডগলাস ডীন অশেররফ
রবার্ট কোলম্যান রিচার্ডসন
১৯৯৭ স্টিভেন চু  যুক্তরাষ্ট্র"লেজার আলোকরশ্মির সাহায্যে পরমাণু শীতলীকরণ এবং ফাঁদে ফেলার পদ্ধতি উন্নয়ন"
ক্লোদ কোয়েন-তানুজি  ফ্রান্স
উইলিয়াম ড্যানিয়েল ফিলিপস  যুক্তরাষ্ট্র
১৯৯৮ রবার্ট বি. লাফলিন  যুক্তরাষ্ট্র"আংশিক আয়নিত উত্তেজনাবিশিষ্ট নতুন অবস্থার কোয়ান্টাম প্রবাহী পদার্থ আবিষ্কার"
হর্স্ট লুডভিগ স্ট্যোরমার  জার্মানি
ড্যানিয়েল চি ৎসুই  প্রজাতন্ত্রী চীন
 যুক্তরাষ্ট্র
১৯৯৯ গেরার্টেট হোফ্‌ট  নেদারল্যান্ডস"পদার্থবিজ্ঞানে তড়িৎ-দুর্বল মিথস্ক্রিয়ার কোয়ান্টাম গঠনের বিচার-বিশ্লেষণ"
মার্টিনাস ভেল্টমান

২০০০-২০৯৯

বছরনোবেল বিজয়ী[A]দেশ / নাগরিকত্ব[B]অবদান[C]
২০০০ঝোরেস ইভানোভিচ আল্ফারভ
হার্বার্ট ক্রোয়েমার
 রাশিয়া
 জার্মানি
উচ্চ-গতির আলোক-ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত অর্ধপরিবাহী হেটারোস্ট্রাকচারের উন্নয়ন ঘটানো।
জ্যাক সেন্ট ক্লেয়ার কিলবি  যুক্তরাষ্ট্রসমন্বিত বর্তনী উদ্ভাবনে বিশষ অবদান।
২০০১এরিক এলিন কর্নেল
ওলফগাং কেটার্ল
কার্ল এডুইন ওয়াইম্যান
 যুক্তরাষ্ট্র
 জার্মানি
 যুক্তরাষ্ট্র
ক্ষারীয় পরমাণুর গালকা গ্যাসে বসু-আইনস্টাইন ঘনীভবন অর্জন এবং ঘনীভবন ঘটায় এমন পদার্থগুলোর বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে প্রাথমিক গবেষণা।
২০০২রেইমন্ড ডেভিস জুনিয়র
মাসাতোশি কোশিবা
 যুক্তরাষ্ট্র
 জাপান
জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে সবিশেষ অবদান। বিশেষত মহাজাগতিক নিউট্রিনো চিহ্নিতকরণ
রিকার্ডো গিয়াকনি  যুক্তরাষ্ট্রজ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান যার মাধ্যমে মহাজাগতিক রঞ্জন রশ্মির উৎস আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।
২০০৩আলেক্সেই আলেক্সেভিচ আব্রিকোসোভ;
ভিতালি গিঞ্জবার্গ;
অ্যান্থনি জেমস লেগেট
 যুক্তরাষ্ট্র
 রাশিয়া
 যুক্তরাজ্য
অতিপরিবাহী এবং অতিপ্রবাহী পদার্থের তত্ত্ব বিষয়ে বিশেষ অবদান
২০০৪ডেভিড জোনাথন গ্রোস
হিউ ডেভিড পলিতজার
ফ্রাঙ্ক অ্যান্থনি উইলচেক
 যুক্তরাষ্ট্রসবল নিউক্লিয় বল (strong interaction) তত্ত্বের মধ্যে অসীমতক স্বাধীনতা (asymtotic freedom) আবিষ্কার।
২০০৫রয় জে গ্লোবার  যুক্তরাষ্ট্রআলোকীয় সংসক্ততার কোয়ান্টাম তত্ত্বের উপর বিশেষ অবদান
জন এল হল
থিওডোর ওলফগ্যাং হ্যানশ
 যুক্তরাষ্ট্র
 জার্মানি
লেসার-ভিত্তিক সূক্ষ্ণ বর্ণালীবীক্ষণ উন্নয়নে বিশেষ অবদান যার মধ্যে রয়েছে অপটিক্যাল ফ্রিকোয়েন্সি কম্ব প্রযুক্তিও রয়েছে
২০০৬জন সি ম্যাথার
জর্জ এফ স্মুট
 যুক্তরাষ্ট্রমহাজাগতিক ক্ষুদ্র তরঙ্গ পটভূমি বিকিরণের কৃষ্ণবস্তু রুপ এবং এনিসোট্রপি আবিষ্কার
২০০৭আলবার্ট ফার্ট
পিটার গ্রুনবার্গ
 ফ্রান্স
 জার্মানি
জায়ান্ট ম্যাগনেটোরেজিসটেন্স আবিষ্কারের জন্য।
২০০৮মাকোতা কোবায়াশি
তোশিহিদে মাসকাওয়া
 জাপান
 জাপান
প্রকৃতিতে যে কমপক্ষে তিন মিলিয়ন ক্ষুদ্র মৌল কণিকা বিদ্যমান, সেসম্পর্কিত তত্ত্ব আবিষ্কারের জন্য। [২১]
ইয়োইচিরো নাম্বু  যুক্তরাষ্ট্রস্বত্বস্ফূর্ত ভঙ্গুর প্রতিসমতার কৌশল আবিষ্কারের জন্য।[২২]
২০০৯চার্লস কে. কাও  হংকংঅপটিক্যাল ফাইবারের মধ্যে দিয়ে আলোক নির্গমনের তত্ত্ব আবিষ্কারের জন্য[২২]
উইলার্ড বয়েল
জর্জ ই. স্মিথ
 কানাডা
 যুক্তরাষ্ট্র
চার্জড কাপলড ডিভাইস নামক বিশেষ ধরনের অর্ধপরিবাহক বর্তনী আবিষ্কারের জন্য।[২২]
২০১০আন্দ্রেঁ গেইম
কনস্টানটিন নভোসেলভ
 নেদারল্যান্ডস
 যুক্তরাজ্য
 রাশিয়া
দ্বিমাত্রিক গঠনবিশিষ্ট পদার্থ গ্রাফিনের উপর তার অসাধারণ পরীক্ষার জন্য [২৩]
২০১১সল পার্লমাটার
ব্রায়ন পি. শেমিডিট
অ্যাডাম জি. রেইস
 যুক্তরাষ্ট্রসুপারনোভার সংকোচন প্রসারন সংক্রান্ত গবেষণার জন্য।
২০১২ সার্জ হ্যারোশফ্রান্স"for ground-breaking experimental methods that enable measuring and manipulation of individual quantum systems."[২৪]
ডেভিড জে ওয়াইনল্যান্ড  যুক্তরাষ্ট্র
২০১৩ পিটার হিগসযুক্তরাজ্য"হিগস মেকানিজমের তাত্ত্বিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে পদার্থে কেন ভর সৃষ্টি হয় তা গবেষণা করেছেন।[২৫]

[২৬]

ফ্রঁসোয়া অংল্যারবেলজিয়াম
২০১৪ইসামু আকাসাকিজাপান"উজ্জ্বল গ্যালিয়াম নাইট্রাইড(GaN) পি-এন জাংশন নীল এলইডি এবং তার কিছু সময় পরই অতি উজ্জ্বল GaN পি-এন জাংশন নীল এলইডি আবিষ্কারের জন্য"[২৭]
হিরোশি আমানোজাপান
সুজি নাকামুরাজাপান
যুক্তরাষ্ট্র
২০১৫ তাকাকি কাজিটাজাপাননিউট্রিনোর দোলন আবিষ্কারের জন্য যেটা প্রমাণ করে নিউট্রিনোর ভর আছে।[২৮]
আর্থার বি. ম্যাকডোনাল্ডকানাডা
২০১৬ডেভিড জে. থাউলেস  United Kingdom
 United States
পদার্থের টপোগাণিতিক দশা এবং এর টপোগাণিতিক দশা রূপান্তরের উপর তাত্ত্বিক গবেষণার জন্য।[২৯]
এফ. ডানকান এম. হল্ডেন  United Kingdom
 United States
মাইকেল কস্টারলিৎজ  United Kingdom
 United States
২০১৭ রাইনার ভাইস  জার্মানি
 যুক্তরাষ্ট্র
"মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণে অবদানের জন্য ।মহাকর্ষীয় তরঙ্গকে শনাক্ত করা এক যুগান্তকারী ঘটনা যা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একটি জানালাকে খুলে দিয়েছে। LIGO ডিটেক্টর এবং মহাকর্ষীয় তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ জন্য সিদ্ধান্তমূলক অবদান রেখেছেন।"[৩০]
কিপ থর্ন  যুক্তরাষ্ট্র
ব্যারি ব্যারিশ  যুক্তরাষ্ট্র
২০১৮ আর্থার অ্যাশকিন  যুক্তরাষ্ট্র"লেজার পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য", বিশেষত "অপটিক্যাল টুয়েজার এবং জৈবিক সিস্টেমে তাদের প্রয়োগের জন্য"
জেরার মুরু  ফ্রান্স"লেজার পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য", বিশেষত "উচ্চ-তীব্রতা, অতি-সংক্ষিপ্ত অপটিক্যাল পালস তৈরি করার তাদের পদ্ধতির জন্য"
ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড  কানাডা
২০১৯ জেমস পিবল্‌স  কানাডা
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
"ভৌত বিশ্বতত্ত্ব ক্ষেত্রে তাত্ত্বিক আবিষ্কারসমূহের জন্য"[৩১]
মিশেল মাইয়র   সুইজারল্যান্ড"সূর্য-সদৃশ একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তনকারী একটি বহির্গ্রহ আবিষ্কারের জন্য"
দিদিয়ে কেলোজ   সুইজারল্যান্ড
২০২০ রজার পেনরোজ  যুক্তরাজ্য"কৃষ্ণগহ্বর সংগঠন যে আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বের একটি বলিষ্ঠ ভবিষ্যদ্বাণী, তা আবিষ্কারের জন্য"[৩২]
রেইনহার্ড গেনজেল  জার্মানি"আমদের ছায়াপথের কেন্দ্রে একটি অতিভারী ঘন সন্নিবিষ্ট বস্তু আবিষ্কারের জন্য"
আন্দ্রেয়া এম ঘেজ  যুক্তরাষ্ট্র
২০২১ স্যুকুরো মানাবে  জাপান
 যুক্তরাষ্ট্র[৩৩]
"পৃথিবীর জলবায়ু পরিস্থিতির ফিজিক্যাল বা ভৌত মডেল তৈরি, পরবর্তনশীলতা পরিমাপ এবং নির্ভরযোগ্যভাবে বৈশ্বিক উষ্ণতার বিষয়টি অনুমানের জন্য"[৩৪]
ক্লাউস হ্যাসেলম্যান  জার্মানি
জর্জও পারিসি  ইতালি"পারমাণবিক ও গ্রহীয় পরিসরে ভৌত ব্যবস্থা বা ফিজিক্যাল সিস্টেমের বিশৃঙখলা ও ফ্লাকচুয়েশন পরস্পরের ওপর কী প্রভাব ফেলে, তা আবিষ্কারের জন্য"
২০২২ আলাঁ আস্পে  ফ্রান্স"বিজড়িত ফোটনসমূহ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে বেল অসমতাগুলির লঙ্ঘন প্রদর্শন করা ও কোয়ান্টাম তথ্যবিজ্ঞানের অগ্রপথিকসুলভ গবেষণাকর্মের জন্য"[৩৫][৩৬]
জন ক্লাউজার  যুক্তরাষ্ট্র
আন্টন সাইলিঙার  অস্ট্রিয়া
২০২৩পিয়ের আগোস্তিনি  ফ্রান্স"পদার্থের ইলেকট্রন গতিবিদ্যা অধ্যয়নের জন্য আলোর অ্যাটোসেকেন্ড স্পন্দন তৈরি করে, এমন পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জন্য"[৩৬]
ফেরেনৎস ক্রাউস  হাঙ্গেরি
আন লুইলিয়ে  ফ্রান্স

জাতীয়তা অনুযায়ী মর্যাদাক্রম

একটি জাতি একই বছরে কেবল একবার গণনার মধ্যে এসেছে। জার্মান উইকিপিডিয়া অনুসারে গণনা করা হয়েছে।

জাতিপুরস্কার সংখ্যা
 যুক্তরাষ্ট্র৫৪
 জার্মানি (পূর্ববর্তী অন্যান্য দেশসহ)২৬
 যুক্তরাজ্য১৯
 ফ্রান্স১১
 জাপান
 কানাডা
 নেদারল্যান্ডস
 রাশিয়া এবং  সোভিয়েত ইউনিয়ন
  সুইজারল্যান্ড
 সুইডেন
 অস্ট্রিয়া
 ইতালি
 ভারত
 ডেনমার্ক
 গণচীন
 আয়ারল্যান্ড
 পাকিস্তান

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

রচনাপঞ্জি

  • The politics of excellence, beyond the nobel prize, R. Friedman, 2002.
  • "Nobel Century: a biographical analysis of physics laureates", in Interdisciplinary Science Reviews, by Claus D. Hillebrand, June 2002, No 2. p. 87-93.

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ