আরব বসন্ত

আরব বসন্ত হল শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে প্রান্তিক জনগণের গণবিক্ষোভ।

২০১০ সালের শুরু থেকে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বয়ে যাওয়া গণবিপ্লবের ঝড়কে পশ্চিমা সাংবাদিকরা আরব বসন্ত হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। গণবিক্ষোভের শুরু তিউনিসিয়ায় [২]এরপর তা মিশরে, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন সহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যায়। প্রথমে মিশরে প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের পতন হয়। পরে লিবিয়ায় মুয়াম্মর আল-গাদ্দাফি জমানার অবসান হয়। আরব বিশ্বের এই গণ অভ্যুত্থান সংঘটনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর ইউরোপীয় ন্যাটোভুক্ত সহচর রাষ্ট্রগুলো অস্ত্র সরবরাহ করে এবং সরাসরি আঘাত হেনে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রনায়কের পতন ঘটায়।

আরব বসন্ত
الربيع العربي
তিউনিসিয়ায় আরব বসন্ত
তারিখ১৭ ডিসেম্বর ২০১০-২০১২
অবস্থান
কারণ
  • জনতাত্ত্বিক সংগঠনমূলক পূরক[১](অধ্যায় দেখুন টেমপ্লেট:Sectionlink)
  • স্বেচ্ছাচার
  • কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র
  • চরম দারিদ্রতা
  • সরকারী দুর্নীতি
  • মানবাধিকার লঙ্ঘন
  • স্ফীতি
  • দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সঙ্গে সরকার
  • সাম্প্রদায়িকতা
  • বেকারত্ব
লক্ষ্যসমূহ
প্রক্রিয়াসমূহ
  • আইন অমান্য
  • বেসামরিক প্রতিরোধ
  • প্রদর্শন
  • অনলাইন সক্রিয়তা
  • প্রতিবাদ শিবির
  • দ্রোহ
  • বিপ্লব
  • আত্মবলিদান
  • ধর্মঘট কারি
  • বিদ্রোহ
  • শহুরে যুদ্ধ
অবস্থাস্থায়ী (১ ডিসেম্বর ২০১১ (2011-12-01)-এর হিসাব অনুযায়ী)

ক্ষয়ক্ষতি
নিহত৩০,৬৩৪–৩৭,২২৮+ (আন্তর্জাতিক আনুমানিক; নিচে টেবিল দেখুন)

এক হিসাবে বলা হয় আরব বসন্তের ফলে মাত্র পৌনে দুই বছরে লিবিয়া, সিরিয়া, মিশর, তিউনিসিয়া, বাহরাইন ও ইয়েমেনের গণ-আন্দোলনের ফলে মোট দেশজ উৎপাদনের ক্ষতি হয়েছে দুই হাজার ৫৬ কোটি ডলার।[৩] ডিসেম্বর ২০১০ থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় যে গণ বিদ্রোহ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন হচ্ছে তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ পর্যন্ত আলজেরিয়া, ইয়েমেন, বাহরাইন, মিশর, ইরান, জর্ডান, লিবিয়া, মরক্কো, তিউনিসিয়ায় বড় ধরনের বিদ্রোহ হয়েছে এবং ইরাক, কুয়েত, মৌরিতানিয়া, ওমান, সৌদি আরব, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়াতে ছোট আকারের ঘটনা ঘটেছে।

এসব বিদ্রোহে প্রতিবাদের ভাষারূপে গণবিদ্রোহের অংশ হিসেবে হরতাল, বিক্ষোভ প্রদর্শন, জনসভা, র‍্যালি প্রভৃতি কর্মসূচি নেয়া হয়। দেশব্যাপী সাংগঠনিক কাজ, যোগাযোগ এবং রাষ্ট্রীয় প্রচারণার থেকে জনগণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে ফেসবুক, টুইটারের মত সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহৃত হয়। এরই মধ্যে তিউনিসিয়া, মিশরে বিদ্রোহের ফলে শাসকের পতন হয়েছে বলে এখানে তা বিপ্লব বলে অভিহিত । এর পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি এবং খরার প্রকোপও বড় কারণ।

১৮ ডিসেম্বর তিউনিসিয়ায় মোহাম্মদ বোয়াজিজি নামে এক ফল বিক্রেতার পুলিশে দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতির মাধ্যমে বিদ্রোহ শুরু হয়। তিউনিসিয়ার বিপ্লব সফল হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও আত্মাহুতির কারণে অস্থিরতা শুরু হয়। যার ফলে আলজেরিয়া, জর্ডান, মিশর ও ইয়েমেনে বিদ্রোহ শুরু হয়।

তিউনিসিয়ায় জেসমিন বিপ্লবের ফলে ১৪ জানুয়ারি শাসক জেন এল আবেদিন বেন আলির পতন ঘটে এবং তিনি সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ২৫ জানুয়ারি থেকে মিশরে বিদ্রোহ শুরু হয় এবং ১৮ দিনব্যাপী বিদ্রোহের পরে ৩০ বছর ধরে শাসন করা প্রেসিডেন্ট মুবারক ১১ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন। একই সাথে জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন;

ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি আলি আব্দুল্লাহ সালেহ ঘোষণা দেন যে তিনি ২০১৩ সালের পর আর রাষ্ট্রপতি থাকবেন না, যার ফলে তাঁর ৩৫ বছরের শাসনের ইতি হবে। ২০ অক্টোবর লড়াইয়ে নিহত হন লিবিয়ার শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি। অবসান ঘটে গাদ্দাফির ৪২ বছরের শাসনামলের।

এরূপ স্বতঃস্ফূর্ত গণবিক্ষোভ এবং এসব দেশের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে তা আজ গোটা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের কারণ।

'আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত স্বৈরাচারবিরোধী তথাকথিত গণ-অভ্যুত্থানের জোয়ার সিরিয়াতেও এসে লাগে ২০১১ সালে। ওই বছরের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছরে এই জোয়ারের সুফল না মিললেও এই সময়ে হতাহত হয়েছে বিরাটসংখ্যক জনগোষ্ঠী।

প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট করে আহত ব্যক্তির সংখ্যা বলা হয়েছে ১৯ লাখ। যুদ্ধ শুরুর আগে ২০১০ সালে সিরিয়ার মানুষের গড় আয়ু যেখানে ছিল ৭০ বছর, সেটাই ২০১৫ সালে নেমে দাঁড়ায় ৫৫ বছর ৪ মাসে। দেশটির অর্থনীতির সার্বিক ক্ষতির পরিমাণও নিতান্ত কম নয়, আনুমানিক ২৫ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার।

এসসিপিআরের মতে, নিহত ৪ লাখ ৭০ হাজার লোকের মধ্যে প্রায় ৪ লাখই মারা গেছে যুদ্ধের প্রত্যক্ষ সহিংসতার শিকার হয়ে। বাকি ৭০ হাজার মারা গেছে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধের ঘাটতিতে, সংক্রামক ব্যাধিতে, খাবার ও পানির অভাবে। পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থা ও নিরাপদ থাকার স্থানের অভাবও মৃত্যুর অন্যতম কারণ। আরব বসন্তে ৬৪৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়।যার অধিকাংশ এখন পূরণ হয়নি।

মিশরের গণবিক্ষোভ

আরব বিশ্বে গণবিক্ষোভের শুরু মিশরে। মাত্র ১৭ দিনে পতন হয় প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের ৩০ বছরের প্রতাপশালী শাসন। ২০১০ এর শুরুতে ২৫শে জানুয়ারি প্রথম গণবিক্ষোভ ছিল মিশরীয় জনগণের দীর্ঘকালের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহি:প্রকাশ। ১৭ দিন গণআন্দোলনের পর ১১ই ফেব্রুয়ারি হোসনি মোবারকের পতন হয়। ঐ দিন মিশরের সমস্ত মানুষ স্বৈরাচার হোসনি মোবারকের অপসারণের দাবিতে গণবিক্ষোভে ফেটে পড়লে নব নিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সোলাইমান টেলিভিশন ভাষণে হোসনি মোবারকের ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবার ঘোষণা দেন।

প্রেসিডেন্টের পদ থেকে হোসনি মোবারকের সরে দাঁড়ানোর খবরে মিশরবাসী উল্লাসে ফেটে পড়ে। ১৯৮১ সালে হোসনি মোবারক ক্ষমতায় আসার পর থেকে মিশরে কার্যত সেনাবাহিনী সমর্থিত একনায়কতন্ত্রের সূচনা হয়।

শুরু থেকেই হোসনি মোবারককে নি:শর্তভাবে সমর্থন দিয়ে আসা পশ্চিমা দেশগুলো ক্ষমতা থেকে মোবারকের সরে দাঁড়ানোর পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়। মোবারক ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সামরিক উচ্চ পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন তানতাভি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। মূলত মিশরীয় সেনাবাহিনী মোবারকের পক্ষ ত্যাগ করে জনগণের পক্ষাবলম্ববন করার সিদ্ধান্ত নিলে দ্রুত পট পরিবর্তন ঘটে।[৪]

তিউনিশিয়ায় গণঅভ্যূথান

মিশরে হোসনি মোবারকের পতনকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে হয়েছিল। কিন্তু ২০১১-এর শুরুতে আফ্রিকার অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতি তিউনিশিয়ার গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতাতেই যেন লিবিয়া, সিরিয়া, বাহরাইন প্রভৃতির গণঅভ্যুত্থান। তিউনিশিয়ায় গণঅভ্যুত্থানে ২৪ বছরের একচ্ছত্র রাজত্বের "জাইন-এল আবেদিন বেন আলীর" পতন ঘটে। তিনি সৌদী আরবে পালিয়ে গিয়ে জীবন রক্ষা করেন।

লিবিয়ায় গণবিক্ষোভ

লিবিয়ায় গণবিক্ষোভ চলে প্রায় ৯ মাস। ২০১১-এর ফেব্রুয়ারিতে গাদ্দাফিবিরোধী বিক্ষোভ ও লড়াই শুরু হয়। ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিতে গাদ্দাফিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বেনগাজিতে একটি থানার কাছে শত শত জনতা গাদ্দাফিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে। এতে সহিংসতায় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। এ দিনটিকে ‘দ্য ডে অব রিভোল্ট’ বলা হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি বেনগাজি শহর দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা। এতে গাদ্দাফির অণুগত বাহিনী ও বিরোধীদের লড়াইয়ে কয়েক'শ মানুষ নিহত হয়।

এর পরও গাদ্দাফির অণুগত বাহিনী বেনগাজি পুনরুদ্ধারে বেশ কয়েক সপ্তাহ লড়াই চালিয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মার্চের ১০ তারিখে, গাদ্দাফি বাহিনী ব্রেগা শহরে বোমাবর্ষণ শুরু করে। বিদ্রোহীদের কাছ থেকে জায়িয়াহ ও বিন জাওয়াদ শহর পুনরুদ্ধার করে গাদ্দাফির সেনারা। এরপর ব্রেগা ও আজদাবিয়াহ শহরে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই চলে।

১৯শে মার্চ তারিখে পশ্চিমা বিশ্ব গাদ্দাফি পতনের লক্ষ্যে জন্য আক্রমণ চালায়। প্রথমে লিবিয়ায় বোমা নিক্ষেপ শুরু করে সামরিক জোট ন্যাটো। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিতর্কের পর লিবিয়ায় নো ফ্লাই জোন কার্যকরের প্রস্তাব পাস হয়। ১৫ সদস্যের পরিষদে স্থায়ী দুই সদস্যরাষ্ট্র রাশিয়া, চীনসহ পাঁচটি সদস্যরাষ্ট্র ভোটের সময় অনুপস্থিত থাকে।

১৫ই মে তারিখে গাদ্দাফি সাগর তীরের শহর মিসরাতা থেকে তার বাহিনী প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে কয়েক সপ্তাহ শহরটি অবরোধ করে রাখা হয়। সেখানে যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকসহ উভয় পক্ষের বহু সেনা হতাহত হয়। ১৫ই আগস্টে বিদ্রোহীরা রাজধানী ত্রিপোলির দিকে অভিযান শুরু করে। দ্রুত ত্রিপোলির ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের ঘরান এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহীরা।

২১শে আগস্ট তারিখে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয় বিদ্রোহী বাহিনী। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে “গ্রিন স্কয়ারে” পৌঁছে বিদ্রোহীরা। তারা ওই স্কয়ারের নাম পরিবর্তন করে “শহীদ চত্বর” নাম দেয়। দুদিন পর ২৩শে আগস্ট গাদ্দাফির আবাসস্থল “বাব আল-আজিজিয়া”র পতন। তবে সেখানে গাদ্দাফি বা তাঁর পরিবারের কাউকে খুঁজে পায়নি বিদ্রোহীরা।

সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে নাইজার জানায়, গাদ্দাফির ছেলে "সাদি গাদ্দাফি" সে দেশে প্রবেশ করেছে। ১৬ই সেপ্টেম্বর তারিখে লিবিয়ার একমাত্র বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিদ্রোহীদের গঠিত “ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল”কে (এনটিসি) সমর্থন দেয় জাতিসংঘ। ১৭ই অক্টোবর গাদ্দাফির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত “বনি ওয়ালিদ” দখল করতে সক্ষম হয় বিদ্রোহী বাহিনী। পরদিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এক ঝটিকা সফরে লিবিয়ায় যান। তিনি বিদ্রোহীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। অক্টোবর ২০: সিরত শহরে লড়াইয়ে নিহত হন গাদ্দাফি।[৫]

Algeria
Libya
Egypt
Sudan
—Tunisia
Morocco
Western
Sahara
Saudi Arabia
Jordan
Lebanon—
Israeli border—
Syria
Iraq
—Kuwait
—Bahrain
Oman
Yemen
      সরকার নিপাতিত       টেকসই সুশীল ব্যাধি এবং সরকারি পরিবর্তন       প্রতিবাদ এবং সরকারি পরিবর্তন       মুখ্য বিক্ষোভ       ক্ষুদ্র বিক্ষোভ      আরব বিশ্বের বাইরে প্রতিবাদ

যেসব দেশে বিক্ষোভ চলছে

১.আলজেরিয়া২.বাহরাইন৩.জিবুতি৪.মিশর৫.ইরান৬.ইরাক৭.জর্ডান৮.কুয়েত৯.লিবিয়া১০.মৌরিতানিয়া১১.সিরিয়া১২.সোমালিয়া১৩.সুদান১৪.তিউনিসিয়া১৫.ইয়েমেন১৬.মরক্কো১৭.পশ্চিম সাহারা১৮.ওমান১৯.সৌদি আরব

আত্মাহুতি

মোহাম্মদ বোয়াজিজির আত্মাহুতির পরে আরব বিশ্বে আরো অনেকগুলো আত্মাহুতির ঘটনা ঘটে। আলজেরিয়ায় মহসিন বৌটারফিফ শহরের মেয়রের সাথে একটি আলোচনায় ব্যর্থ হবার পর ১৩ জানুয়ারি, ২০১১ আত্মাহুতি দেন এবং ২৪ জানুয়ারি, ২০১১ মারা যান। মিশরে আব্দোউ আব্দেল-মোনেম জাফর ১৭ জানুয়ারি মিশরের সংসদের সামনে আত্মাহুতি দেন। সৌদি আরবে একজন ৬৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত ব্যক্তি ২১ জানুয়ারি আত্মাহুতি দেন ও মারা যান ।

পটভূমি

কারণ

স্বৈরাচার বা চরম রাজতন্ত্র, মানবাধিকার লঙ্ঘন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ( উইকিলিকসের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া বিভিন্ন ফাইল ), দুর্বল অর্থনীতি, বেকারত্ব, চরম দারিদ্র্য ও শিক্ষিত হতাশাগ্রস্থ যুবসমাজ ইত্যাদি কারণে এইসব এলাকায় বিক্ষোভের সূচনা হয়। এছাড়াও এসব দেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হাতে থাকায় তারা কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় ছিল, সম্পদের সুষম বণ্টন হয় নি, খরা ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়।

ইন্টারনেট দিয়ে শুরু করা আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা অনেকেই পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত যেখানে স্বৈরতন্ত্র ও রাজতন্ত্রকে অচল বলে মনে করা হয়। এওসব দেশে সাম্প্রতিক কালে জীবনযাত্রার মান, শিক্ষার হার বৃদ্ধির কারণে মানব উন্নয়ন সূচক এর উন্নতি হয়েছে কিন্তু তার সাথে সাথে সরকারের সংস্কার হয় নি।

তিউনিসিয়া ও মিশরের অর্থনীতি তেলের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল ছিল না, যার ফলে সরকার বড় মাপের বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থ হয়।

নিউইয়র্কে 'আরব বসন্ত'

২০১১ সালের, সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'ওয়াল স্ট্রিট দখল করো' আন্দোলন শুরু হয়। নিউইয়র্ক শহরে শুরু হয়ে এই আন্দোলন শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক শহরেই নয়, ইউরোপের বিভিন্ন রাজধানী ও গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং বিশ্বের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়েছে। এই আন্দোলনের আওয়াজ হল, 'আমরাই ৯৯%', 'পুঁজিবাদ ধ্বংস হোক'। নিউ ইয়র্কের এই 'ওয়াল স্ট্রিট দখল করো' গণআন্দোলনকে নিউ ইয়র্কের আরব বসন্ত হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

লাইভ ব্লগস
স্থায়ী কাভারেজ
অন্যান্য
🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ