কাতার জাতীয় ফুটবল দল
কাতার জাতীয় ফুটবল দল (আরবি: منتخب قطر لكرة القدم, ইংরেজি: Qatar national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে কাতারের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম কাতারের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৭২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৭৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৭০ সালের ২৭শে মার্চ তারিখে, কাতার প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; বাহরাইনে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে কাতার বাহরাইনের কাছে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। কাতার হচ্ছে এএফসি এশিয়ান কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৯ সালে জাপানপকে ৩–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
ডাকনাম | আল-আনাবি (গাঢ় তাম্রবর্ণ) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | এএফসি (এশিয়া) | ||
প্রধান কোচ | ফেলিক্স সানচেস বাস | ||
অধিনায়ক | হাসান আল-হাইদুস | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | হাসান আল-হাইদুস (১৩৪) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | মুবারক মুস্তফা (৪১) | ||
মাঠ | বিভিন্ন | ||
ফিফা কোড | QAT | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৫৮ (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১] | ||
সর্বোচ্চ | ৫১ (আগস্ট ১৯৯৩, অক্টোবর ১৯৯৩) | ||
সর্বনিম্ন | ১১৩ (নভেম্বর ২০১০) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৭০ ২ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২] | ||
সর্বোচ্চ | ২৪ (ফেব্রুয়ারি ২০১৯) | ||
সর্বনিম্ন | ১৩৫ (এপ্রিল ১৯৭৫) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
বাহরাইন ২–১ কাতার (বাহরাইন; ২৭ মার্চ ১৯৭০) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
কাতার ১৫–০ ভুটান (দোহা, কাতার; ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
কুয়েত ৯–০ কাতার (কুয়েত; ৮ জানুয়ারি ১৯৭৩) | |||
বিশ্বকাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১ (২০২২-এ প্রথম) | ||
এএফসি এশিয়ান কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১১ (১৯৮০-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (২০১৯, ২০২৩) | ||
কোপা আমেরিকা | |||
অংশগ্রহণ | ১ (২০১৯-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব (২০১৯) | ||
কনকাকাফ গোল্ড কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১ (২০২১-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | অনির্ধারিত |
আল-আনাবি নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে।[৩] এই দলের প্রধান কার্যালয় কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ফেলিক্স সানচেস বাস এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন আল সাদের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হাসান আল-হাইদুস।
কাতার এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেনি, তারা ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপে কাতার অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১টি (২০১৯) শিরোপা জয়লাভ করেছে।
হাসান আল-হাইদুস, সেবাস্তিয়ান সোরিয়া, বিলাল মুহাম্মদ রজব, আলমুয়াইজ আলী এবং খলফান ইব্রাহিমের মতো খেলোয়াড়গণ কাতারের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
ইতিহাস
প্রাক ১৯৭০ সময়
১৯৪০ সালে কাতারে প্রথম ফুটবলের উত্থান হয়, যা দুখানে তেলের মজুদ আবিষ্কৃত হওয়ার সময়ের সাথে কাকতালীয় ভাবে মিলে যায়।[৪] ১৯৪৮ সালে খনিটির শ্রমিকরাই কাতারে প্রথম আনুষ্ঠানিক ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছে। ১৯৬০ সালে কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়; যা ১৯৭০ সালে ফিফার সদস্যপদ লাভ করে।[৫] সে সময় বাহরাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন একটি আঞ্চলিক ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা করছিল। জিসিসি ও কাতারের কর্মকর্তারা একে সমর্থন জানায়।[৬] এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৭০ সালের মার্চ মাসে সর্বপ্রথম আরব গালফ কাপ অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭০ থেকে ১৯৮০
কাতার জাতীয় ফুটবল দল তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৯৭০ সালের ২৭শে মার্চ তারিখে, স্বাগতিক বাহরাইন জাতীয় ফুটবল দলের বিরুদ্ধে। খেলায় কাতার ১–২ গোলে পরাজিত হয়। কাতারের হয়ে গোলটি করেন মুবারক ফারাজ।[৭]
গালফ কাপে নবগঠিত কাতার দল ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে অবস্থান করে। তারা সৌদি আরবের সাথে ১–১ ড্র করে পয়েন্টটি অর্জন করে।[৮] ১৯৭২ সালের গালফ কাপেও তারা টানা ৩টি ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে যায়।[৯] তবে পরের টুর্নামেন্টে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। ১৯৭৪ সালের এ টুর্নামেন্টে তারা ওমানকে ৪–০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে যায়। সেমিফাইনালে সৌদি আরবের কাছে হারলেও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে ৩য় স্থান অর্জন করে।[১০]
১৯৭৫ সালে তারা প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে অংশ নিলেও কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়। ১৯৭৬ সালের গালফ কাপে স্বাগতিক দল হিসেবে কাতার ৩য় স্থান অর্জন করে।[১১]
দলটি প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নেয় ১৯৭৭ সালে। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১১ই মার্চ তারিখে দলটির প্রথম ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও আমিরাত শেষ মুহূর্তে প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ায়। ফলে টুর্নামেন্টে কাতারের অভিষেক হয় দুই দিন পর; বাহরাইনকে ২–০ গোলে হারানোর মধ্যে দিয়ে।[১২]
১৯৮০ থেকে ১৯৯০
কোচ এভারিস্তো ডি ম্যাকেডো'র অধীনে ১৯৮০ সালে তারা প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপে উত্তীর্ণ হয়। অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে তারা এ যোগ্যতা অর্জন করে। কিন্তু মূল পর্বে তারা ভালো করতে পারেনি। ২ হার, ১ ড্র ও ১ জয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় তারা।[১৩]
১৯৮৪ সালের গালফ কাপের ফাইনালে ইরাকের কাছে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হয়ে রানার-আপ হয় কাতার।[১৪]
১৯৮২ ও ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্যর্থ হলেও ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালের এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণ করে। তবে কোনো বারই সেমিফাইনালে যেতে পারেনি।[১৫]
১৯৯০ থেকে ২০০০
১৯৯৩ সালের আগস্ট মাসে তারা র্যাঙ্কিং অনুসারে তাদের সেরা অবস্থানে ছিল।[১৬] ১৯৯০-এর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেও পরের রাউন্ড উৎরাতে ব্যর্থ হয়।
১৯৯০ সালের গালফ কাপে তারা আবারও রানার-আপ হয় (কুয়েত চ্যাম্পিয়ন)।[১৭] তবে দুই বছর পর ১৯৯২ সালে তারা প্রথমবারের মতো গালফ কাপের শিরোপা জেতে।[১৮] তারপর ১৯৯৬ এর গালফ কাপে রানার-আপ হয় কাতার।
১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এশিয়ান জোনের মূল পর্বে তারা চীন ও ইরানকে হারায়। পরের ম্যাচে সৌদিকে হারাতে পারলেই তারা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারত। কিন্তু সৌদি আরব ১-০ তে ম্যাচ জিতে নিজেরাই বিশ্বকাপে চলে যায়। ১৯৯৮ সালে কাতার গালফ কাপের আয়োজন করে। সেবার তারা রানার-আপ হয়।[১৯]
২০০০ থেকে ২০১০
২০০০ সালের এশিয়ান কাপে গ্রুপে ৩য় হওয়ার পরও কাতার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে চীনের কাছে হেরে যায়।[২০] ২০০১ সালে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে খেলে। কিন্তু এবারও চীনের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। বসনিয়ান কোচ জামালুদ্দিন মুসোভিচের অধীনে ২০০৪ সালে দলটি গালফ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং এশিয়ান গেমস ফুটবলে স্বর্ণ পদক জেতে। কিন্তু ২০০৭ এশিয়ান কাপে কাতার ৩ ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট পেলে জামালুদ্দিন বরখাস্ত হন। ২০১০ বিশ্বকাপে কাতারকে বাছাইপর্ব পার করানোর দায়িত্ব পান কোচ জর্জ ফোসাতি। কিন্তু পাকস্থলিতে অস্ত্রপোচারের কারণে তিনি শেষ পর্যন্ত দলের সাথে টিকতে পারেন নি।[২১] দলটিও শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে জায়গা পায়নি।
২০১০ থেকে বর্তমান
২০১০ সালের ডিসেম্বরে কাতারকে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[২২] ২০১১ সালে তারা এশিয়ান কাপের আয়োজন করে। এ বছর তারা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে। জাপানের কাছে ২–৩ গোলে হেরে বিদায় নেয়।
২০১৪ সালে দেশটি ডাব্লিউএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে। ফাইনালে জর্ডানকে ২-০ গোলে হারিয়ে তারা এ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়।[২৩] সে বছর গালফ কাপেও তারা সৌদি আরবকে ২–১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।[২৪] তবে ২০১৫ সালের এশিয়া কাপে তারা খারাপ ফল করে এবং গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। ২০১৭ তে কুয়েতে অনুষ্ঠিত গালফ কাপেও তারা গ্রুপ পর্ব পার হতে পারে নি।
২০১৯ সালে দলটি ঘুরে দাঁড়ায় এবং এশিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়।[২৫] তারা কোপা আমেরিকায় অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ পায়। কিন্তু সেখানে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় তাদের।[২৬]
পৃষ্ঠপোষক
কর্মকর্তা
জানুয়ারি ২০১৯ এ সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে[২৭]
কোচের তালিকা
কাতার দলের কোচ হিসেবে এ পর্যন্ত যারা কাজ করেছেন তাদের অধিকাংশই বিদেশি। দলটিতে হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন:
- তহা তৌকি (১৯৬৯)[২৮]
- মোহাম্মদ হাসান খায়েরি (১৯৬৯ – ৭২)[২৮]
- হেলমি হুসেইন মাহমুদ (১৯৭৪)[২৮]
- ফ্র্যাঙ্ক উইগনাল (১৯৭৫–৭৭)[২৮]
- জন কার্ডন (১৯৭৭–৭৮)[২৮]
- হাসান ওসমান (১৯৭৯)[২৮]
- এভারিস্তো ডি ম্যাসেডো (১৯৭৯–৮৪)[২৮]
- রোনাল্ড ডি কারভালহো (১৯৮৪)[২৯]
- এভারিস্তো ডি ম্যাসেডো (১৯৮৪–৮৫)[২৮]
- দানিও সানি ও জুলিও এসপিনোসা (১৯৮৫–৮৬)[৩০][৩১][৩২][৩৩]
- প্রোকোপিও কার্দোসো (১৯৮৭–৮৮)[৩৪]
- অ্যানাটোলি প্রোকোপেনকো (১৯৮৮)[২৮]
- মোহাম্মদ দাহাম (১৯৮৮)[৩৫]
- কার্লোস রবার্তো ক্যাবারাল (1989)[৩৪]
- ডিনো সানি (১৯৮৯–৯০)[৩৪]
- উলি মাসলো (১৯৯০)[৩৬]
- ডিনো সানি (১৯৯০)[৩৪]
- লুইস ফার্নিন্দেজ (১৯৯২)[৩৪]
- এভারিস্তো ডি ম্যাকেডো (১৯৯২)[৩৪]
- ইভো ওর্টম্যান (১৯৯২)[৩৪]
- সেবাস্তিয়াও ল্যাপোলা (১৯৯২–৯৩)[৩৪]
- আব্দুল মাল্লালাহ (১৯৯৩)[২৮]
- সেবাস্তিয়াও ল্যাপোলা (১৯৯৩–৯৪)[৩৪][৩৭]
- এভারিস্তো ডি ম্যাকেডো (১৯৯৪)[৩৬]
- ডেভ ম্যাকে (১৯৯৪–৯৫)[২৮]
- ডরগেন ই লারসেন (১৯৯৫–৯৬)[৩৮]
- জো বনফ্রেরে (১৯৯৬–৯৭)[৩৮][৩৯]
- জেমাল হাজিআবদিক (১৯৯৭–৯৮)[৩৮]
- জে মারিও (১৯৯৮)[৩৮]
- লুইজ গনজাকা মিলিওলি (১৯৯৮)[৩৮]
- জো বনফ্রেঁতে (১৯৯৮–৯৯)[৩৮][৩৯]
- জেম্যাল হ্যাজিয়্যাবডিক (১৯৯৯–০১)[৩৮][৪০]
- পাওলো লুইজ ক্যামপোস (২০০১)[৪১]
- পিয়েরে লেকান্ত্রে (২০০২–০৩)[২৮]
- ফিলিপে ট্রোউসিয়ার (২০০৩–০৪)[২৮]
- সাঈদ আল মিসনাদ (২০০৪)[২৮]
- জেমালুদ্দিন মুসোভিচ (২০০৪–০৭)[২৮]
- জর্জ ফোসাতি (২০০৮–০৮)[২৮]
- ব্রুনো মেস্তু (২০০৮–১১)[২৮]
- মিলোভান রাজেভাক (২০১১)[২৮]
- সেবাস্তিও ল্যাজারোনি (২০১১–১২)[২৮]
- পাওলো অতোরি (২০১২–১৩)[২৮]
- ফাহাদ থানি (২০১৩–১৪)[২৮]
- জামেল বেলমাদি (২০১৪–15)[২৮]
- জোসে ড্যানিয়েল ক্যারেনো (২০১৫–১৬)[২৮]
- জর্জ ফোসাতি (২০১৬–১৭)[২৮]
- ফেলিক্স সানচেস বাস (২০১৭–)[৪২]
র্যাঙ্কিং
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৩ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে কাতার তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (৫১তম) অর্জন করে এবং ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১১৩তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে কাতারের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২৪ম (যা তারা ২০১৯ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৩৫। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
- বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৬৮ | ৪ | মন্টিনিগ্রো | ১৫৫০ |
৬৯ | ৭ | ঘানা | ১৫৪৪ |
৭০ | ২ | কাতার | ১৫৩৩ |
৭১ | ১৩ | হন্ডুরাস | ১৫৩২ |
৭২ | ৬ | নিউজিল্যান্ড | ১৫২৬ |
প্রতিযোগিতামূলক তথ্য
ফিফা বিশ্বকাপ
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ||
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | ||||||||||||||
১৯৩৪ | ||||||||||||||||
১৯৩৮ | ||||||||||||||||
১৯৫০ | ||||||||||||||||
১৯৫৪ | ||||||||||||||||
১৯৫৮ | ||||||||||||||||
১৯৬২ | ||||||||||||||||
১৯৬৬ | ||||||||||||||||
১৯৭০ | ||||||||||||||||
১৯৭৪ | প্রত্যাহার | প্রত্যাহার | ||||||||||||||
১৯৭৮ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ১ | ০ | ৩ | ৩ | ৯ | |||||||||
১৯৮২ | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৫ | ৩ | ||||||||||
১৯৮৬ | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৬ | ৩ | ||||||||||
১৯৯০ | ১১ | ৪ | ৬ | ১ | ১২ | ৮ | ||||||||||
১৯৯৪ | ৮ | ৫ | ১ | ২ | ২২ | ৮ | ||||||||||
১৯৯৮ | ১১ | ৬ | ১ | ৪ | ২১ | ১০ | ||||||||||
২০০২ | ১৪ | ৭ | ৪ | ৩ | ২৪ | ১৩ | ||||||||||
২০০৬ | ৬ | ৩ | ০ | ৩ | ১৬ | ৮ | ||||||||||
২০১০ | ১৬ | ৬ | ৪ | ৬ | ১৬ | ২০ | ||||||||||
২০১৪ | ১৪ | ৫ | ৫ | ৪ | ১৮ | ১৪ | ||||||||||
২০১৮ | ১৬ | ৯ | ১ | ৬ | ৩৫ | ১৪ | ||||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ | ||||||||||||||
মোট | ১/২২ | ১০৮ | ৫০ | ২২ | ৩৬ | ১৭৮ | ১১০ |
এশিয়ান কাপ
এএফসি এশিয়ান কাপ | এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | ফল | অবস্থান | খেলা | জয় | ড্র | হার | গোল প্রদান | গোল হজম | খেলা | জয় | ড্র | হার | গোল প্রদান | গোল হজম | ||
১৯৫৬ | অংশ নেয়নি | অংশ নেয়নি | ||||||||||||||
১৯৬০ | ||||||||||||||||
১৯৬৪ | ||||||||||||||||
১৯৬৮ | ||||||||||||||||
১৯৭২ | ||||||||||||||||
১৯৭৬ | কোয়ালিফাই করেনি | ৬ | ২ | ১ | ৩ | ৫ | ৮ | |||||||||
১৯৮০ | গ্রুপ পর্ব | ৮ম | ৪ | ১ | ১ | ২ | ৩ | ৮ | ৪ | ৩ | ১ | ০ | ১০ | ২ | ||
১৯৮৪ | গ্রুপ পর্ব | ৫ম | ৪ | ১ | ২ | ১ | ৩ | ৩ | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ১১ | ১ | ||
১৯৮৮ | গ্রুপ পর্ব | ৫ম | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৭ | ৬ | স্বাগতিক হিসেবে কোয়ালিফাই | |||||||
১৯৯২ | গ্রুপ পর্ব | ৬ষ্ঠ | ৩ | ০ | ২ | ১ | ৩ | ৪ | ২ | ২ | ০ | ০ | ৮ | ২ | ||
১৯৯৬ | কোয়ালিফাই করেনি | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৫ | ৪ | |||||||||
২০০০ | কোয়ার্টার ফাইনাল | ৮ম | ৪ | ০ | ৩ | ১ | ৩ | ৫ | ৪ | ৩ | ১ | ০ | ১১ | ৩ | ||
২০০৪ | গ্রুপ পর্ব | ১৪তম | ৩ | ০ | ১ | ২ | ২ | ৪ | ৬ | ৩ | ২ | ১ | ১০ | ৭ | ||
২০০৭ | গ্রুপ পর্ব | ১৪তম | ৩ | ০ | ২ | ১ | ৩ | ৪ | ৬ | ৫ | ০ | ১ | ১৪ | ৪ | ||
২০১১ | কোয়ার্টার ফাইনাল | ৭ম | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৭ | ৫ | স্বাগতিক হিসেবে কোয়ালিফাই | |||||||
২০১৫ | গ্রুপ পর্ব | ১৩তম | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ২ | ৭ | ৬ | ৪ | ১ | ১ | ১৩ | ২ | ||
২০১৯ | চ্যাম্পিয়ন | ১ম | ৭ | ৭ | ০ | ০ | ১৯ | ১ | ৮ | ৭ | ০ | ১ | ২৯ | ৪ | ||
২০২৩ | নির্ধারণ হয়নি | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৮ | ০ | |||||||||
মোট | সেরা: চ্যাম্পিয়ন | ১১/১৭ | ৩৯ | ১৩ | ১১ | ১৫ | ৫২ | ৪৭ | ৫৩ | ৩৬ | ৭ | ১০ | ১২৪ | ৩৬ |
এশিয়ান গেমসের ফুটবল ইভেন্ট
২০০০২ সাল থেকে এশিয়ান গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দলগুলোর মধ্যে ফুটবল খেলা হয়। এর আগে জাতীয় দলেগুলোই এ ইভেন্টে খেলত। তাই এখানে ২০০২ সালের আগের পরিসংখ্যান দেয়া হল:
অলিম্পিক গেমস
১৯৯২ সাল থেকে এ গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দল (সর্বোচ্চ ৩ জন ব্যতীত) অংশগ্রহণ করে। এর আগের পরিসংখ্যান নিম্নরূপ:
গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস পরিসংখ্যান | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
স্বাগতিক/সাল | ফল | অবস্থান | খেলা | জয় | ড্র | হার | গোল প্রদান | গোল হজম |
১৯৭২ | কোয়ালিফাই করেনি | |||||||
১৯৭৬ | ||||||||
১৯৮০ | ||||||||
১৯৮৪ | গ্রুপ পর্ব | ১৫ তম | ৩ | ০ | ১ | ২ | ২ | ৫ |
১৯৮৮ | কোয়ালিফাই করেনি | |||||||
১৯৯২ থেকে বর্তমান | অনূর্ধ্ব-২৩ দল অংশগ্রহণ করে | |||||||
মোট | গ্রুপ পর্ব | ১/১৭ | ৩ | ০ | ১ | ২ | ২ | ৫ |
গালফ কাপ
প্যান আরব গেমস
প্যান আরব গেমস পরিসংখ্যান | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | Round | পর্ব | খেলা | জয় | ড্র | হার | গোল প্রদান | গোল হজম | |
১৯৫৩ | অংশ নেয়নি | ||||||||
১৯৫৭ | |||||||||
১৯৬১ | |||||||||
১৯৬৫ | |||||||||
১৯৭৬ | |||||||||
১৯৮৫ | |||||||||
১৯৯৭ | |||||||||
১৯৯৯ | ১ম গ্রুপ পর্ব | ১০ম | ২ | ০ | ০ | ২ | ০ | ৪ | |
২০০৭ | অংশ নেয়নি | ||||||||
২০১১ | গ্রুপ পর্ব | ৬ষ্ঠ | ২ | ০ | ২ | ০ | ২ | ২ | |
মোট | ২/১০ | ৬ষ্ঠ | ৪ | ০ | ২ | ২ | ২ | ৬ |
ডাব্লিউএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ
ডাব্লিউএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | ফল | খেলা | জয় | ড্র | হার | গোল প্রদান | গোল হজম |
২০০০ | অংশ নেয়নি | ||||||
২০০২ | |||||||
২০০৪ | |||||||
২০০৭ | |||||||
২০০৮ | সেমিফাইনাল | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৯ |
২০১০ | অংশ নেয়নি | ||||||
২০১২ | |||||||
২০১৪ | চ্যাম্পিয়ন | ৪ | ৪ | ০ | ০ | ১০ | ১ |
২০১৯ | অংশ নেয়নি | ||||||
মোট | ২/৯ | ৭ | ৫ | ০ | ২ | ১২ | ১০ |
আরব ন্যাশনস কাপ
আরব ন্যাশনস কাপ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | ফলাফল | খেলা | জয় | ড্র | হার | গোল প্রদান | গোল হজম |
১৯৬৩ | অংশ নেয়নি | ||||||
১৯৬৪ | |||||||
১৯৬৬ | |||||||
১৯৮৫ | ৪র্থ | ৪ | ১ | ২ | ১ | ৩ | ২ |
১৯৮৮ | অংশ নেয়নি | ||||||
১৯৯২ | |||||||
১৯৯৮ | রানার্স-আপ | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ৭ | ৫ |
২০০২ | অংশ নেয়নি | ||||||
২০১২ | |||||||
মোট | ২/৯ | ৮ | ৪ | ২ | ২ | ১০ | ৭ |
কোপা আমেরিকা
কাতার আমেরিকার বাইরের ২য় দেশ হিসেবে কোপা আমেরিকায় খেলার সুযোগ পায়। ২০১৯ সালে আমন্ত্রিত দল হিসেবে তারা কোপা আমেরিকায় অংশগ্রহণ করে।
কোপা আমেরিকা পরিসংখ্যান | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
স্বাগতিক/সাল | ফলাফল | অবস্থান | খেলা | জয় | ড্র | হার | গোল প্রদান | গোল হজম |
২০১৯ | গ্রুপ পর্ব | ১০ম | ৩ | ০ | ১ | ২ | ২ | ৫ |
২০২০ | আমন্ত্রিত | |||||||
মোট | গ্রুপ পর্ব | ২/৪৭ | ৩ | ০ | ১ | ২ | ২ | ৫ |
কোপা আমেরিকা ইতিহাস | |||||
---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | তারিখ | প্রতিপক্ষ | ফলাফল | স্টেডিয়াম |
২০১৯ | গ্রুপ পর্ব | ১৬ জুন | প্যারাগুয়ে | ড্র (২–২) | এস্তাদিও ডো ম্যারাকানা, রিও ডি জেনেরিও |
১৯ জুন | কলম্বিয়া | হার (০–১) | এস্তাদিও ডো মোরুম্বি, সাও পাওলো | ||
২৩ জুন | আর্জেন্টিনা | হার (০–২) | অ্যারেনা ডো গ্রেমিও , পোর্টো অ্যালেগ্রে |
অর্জন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (আরবি) (ইংরেজি)
- ফিফা-এ কাতার জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে (ইংরেজি)
- এএফসি-এ কাতার জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি)