কাতার জাতীয় ফুটবল দল

কাতার জাতীয় ফুটবল দল (আরবি: منتخب قطر لكرة القدم, ইংরেজি: Qatar national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে কাতারের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম কাতারের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৭২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৭৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৭০ সালের ২৭শে মার্চ তারিখে, কাতার প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; বাহরাইনে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে কাতার বাহরাইনের কাছে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। কাতার হচ্ছে এএফসি এশিয়ান কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৯ সালে জাপানপকে ৩–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

কাতার
দলের লোগো
ডাকনামআল-আনাবি (গাঢ় তাম্রবর্ণ)
অ্যাসোসিয়েশনকাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনএএফসি (এশিয়া)
প্রধান কোচফেলিক্স সানচেস বাস
অধিনায়কহাসান আল-হাইদুস
সর্বাধিক ম্যাচহাসান আল-হাইদুস (১৩৪)
শীর্ষ গোলদাতামুবারক মুস্তফা (৪১)
মাঠবিভিন্ন
ফিফা কোডQAT
ওয়েবসাইটwww.qfa.qa
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৫৮ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ৫১ (আগস্ট ১৯৯৩, অক্টোবর ১৯৯৩)
সর্বনিম্ন১১৩ (নভেম্বর ২০১০)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৭০ হ্রাস ২ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২]
সর্বোচ্চ২৪ (ফেব্রুয়ারি ২০১৯)
সর্বনিম্ন১৩৫ (এপ্রিল ১৯৭৫)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 বাহরাইন ২–১ কাতার 
(বাহরাইন; ২৭ মার্চ ১৯৭০)
বৃহত্তম জয়
 কাতার ১৫–০ ভুটান 
(দোহা, কাতার; ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫)
বৃহত্তম পরাজয়
 কুয়েত ৯–০ কাতার 
(কুয়েত; ৮ জানুয়ারি ১৯৭৩)
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ১ (২০২২-এ প্রথম)
এএফসি এশিয়ান কাপ
অংশগ্রহণ১১ (১৯৮০-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (২০১৯, ২০২৩)
কোপা আমেরিকা
অংশগ্রহণ১ (২০১৯-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (২০১৯)
কনকাকাফ গোল্ড কাপ
অংশগ্রহণ১ (২০২১-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যঅনির্ধারিত

আল-আনাবি নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে।[৩] এই দলের প্রধান কার্যালয় কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ফেলিক্স সানচেস বাস এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন আল সাদের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হাসান আল-হাইদুস

কাতার এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেনি, তারা ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপে কাতার অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১টি (২০১৯) শিরোপা জয়লাভ করেছে।

হাসান আল-হাইদুস, সেবাস্তিয়ান সোরিয়া, বিলাল মুহাম্মদ রজব, আলমুয়াইজ আলী এবং খলফান ইব্রাহিমের মতো খেলোয়াড়গণ কাতারের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

ইতিহাস

প্রাক ১৯৭০ সময়

১৯৪০ সালে কাতারে প্রথম ফুটবলের উত্থান হয়, যা দুখানে তেলের মজুদ আবিষ্কৃত হওয়ার সময়ের সাথে কাকতালীয় ভাবে মিলে যায়।[৪] ১৯৪৮ সালে খনিটির শ্রমিকরাই কাতারে প্রথম আনুষ্ঠানিক ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছে। ১৯৬০ সালে কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়; যা ১৯৭০ সালে ফিফার সদস্যপদ লাভ করে।[৫] সে সময় বাহরাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন একটি আঞ্চলিক ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা করছিল। জিসিসি ও কাতারের কর্মকর্তারা একে সমর্থন জানায়।[৬] এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৭০ সালের মার্চ মাসে সর্বপ্রথম আরব গালফ কাপ অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৭০ থেকে ১৯৮০

কাতার জাতীয় ফুটবল দল তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৯৭০ সালের ২৭শে মার্চ তারিখে, স্বাগতিক বাহরাইন জাতীয় ফুটবল দলের বিরুদ্ধে। খেলায় কাতার ১–২ গোলে পরাজিত হয়। কাতারের হয়ে গোলটি করেন মুবারক ফারাজ।[৭]

গালফ কাপে নবগঠিত কাতার দল ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে অবস্থান করে। তারা সৌদি আরবের সাথে ১–১ ড্র করে পয়েন্টটি অর্জন করে।[৮] ১৯৭২ সালের গালফ কাপেও তারা টানা ৩টি ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে যায়।[৯] তবে পরের টুর্নামেন্টে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। ১৯৭৪ সালের এ টুর্নামেন্টে তারা ওমানকে ৪–০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে যায়। সেমিফাইনালে সৌদি আরবের কাছে হারলেও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে ৩য় স্থান অর্জন করে।[১০]

১৯৭৫ সালে তারা প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে অংশ নিলেও কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়। ১৯৭৬ সালের গালফ কাপে স্বাগতিক দল হিসেবে কাতার ৩য় স্থান অর্জন করে।[১১]

দলটি প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নেয় ১৯৭৭ সালে। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১১ই মার্চ তারিখে দলটির প্রথম ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও আমিরাত শেষ মুহূর্তে প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ায়। ফলে টুর্নামেন্টে কাতারের অভিষেক হয় দুই দিন পর; বাহরাইনকে ২–০ গোলে হারানোর মধ্যে দিয়ে।[১২]

১৯৮০ থেকে ১৯৯০

কোচ এভারিস্তো ডি ম্যাকেডো'র অধীনে ১৯৮০ সালে তারা প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপে উত্তীর্ণ হয়। অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ বাংলাদেশআফগানিস্তানকে হারিয়ে তারা এ যোগ্যতা অর্জন করে। কিন্তু মূল পর্বে তারা ভালো করতে পারেনি। ২ হার, ১ ড্র ও ১ জয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় তারা।[১৩]

১৯৮৪ সালের গালফ কাপের ফাইনালে ইরাকের কাছে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হয়ে রানার-আপ হয় কাতার।[১৪]

১৯৮২ ও ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্যর্থ হলেও ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালের এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণ করে। তবে কোনো বারই সেমিফাইনালে যেতে পারেনি।[১৫]

১৯৯০ থেকে ২০০০

১৯৯৩ সালের আগস্ট মাসে তারা র‌্যাঙ্কিং অনুসারে তাদের সেরা অবস্থানে ছিল।[১৬] ১৯৯০-এর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেও পরের রাউন্ড উৎরাতে ব্যর্থ হয়।

১৯৯০ সালের গালফ কাপে তারা আবারও রানার-আপ হয় (কুয়েত চ্যাম্পিয়ন)।[১৭] তবে দুই বছর পর ১৯৯২ সালে তারা প্রথমবারের মতো গালফ কাপের শিরোপা জেতে।[১৮] তারপর ১৯৯৬ এর গালফ কাপে রানার-আপ হয় কাতার।

১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এশিয়ান জোনের মূল পর্বে তারা চীন ও ইরানকে হারায়। পরের ম্যাচে সৌদিকে হারাতে পারলেই তারা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারত। কিন্তু সৌদি আরব ১-০ তে ম্যাচ জিতে নিজেরাই বিশ্বকাপে চলে যায়। ১৯৯৮ সালে কাতার গালফ কাপের আয়োজন করে। সেবার তারা রানার-আপ হয়।[১৯]

২০০০ থেকে ২০১০

২০০০ সালের এশিয়ান কাপে গ্রুপে ৩য় হওয়ার পরও কাতার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে চীনের কাছে হেরে যায়।[২০] ২০০১ সালে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে খেলে। কিন্তু এবারও চীনের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। বসনিয়ান কোচ জামালুদ্দিন মুসোভিচের অধীনে ২০০৪ সালে দলটি গালফ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং এশিয়ান গেমস ফুটবলে স্বর্ণ পদক জেতে। কিন্তু ২০০৭ এশিয়ান কাপে কাতার ৩ ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট পেলে জামালুদ্দিন বরখাস্ত হন। ২০১০ বিশ্বকাপে কাতারকে বাছাইপর্ব পার করানোর দায়িত্ব পান কোচ জর্জ ফোসাতি। কিন্তু পাকস্থলিতে অস্ত্রপোচারের কারণে তিনি শেষ পর্যন্ত দলের সাথে টিকতে পারেন নি।[২১] দলটিও শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে জায়গা পায়নি।

২০১১ সালে ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে কাতার জাতীয় দল

২০১০ থেকে বর্তমান

২০১০ সালের ডিসেম্বরে কাতারকে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[২২] ২০১১ সালে তারা এশিয়ান কাপের আয়োজন করে। এ বছর তারা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে। জাপানের কাছে ২–৩ গোলে হেরে বিদায় নেয়।

২০১৪ সালে দেশটি ডাব্লিউএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে। ফাইনালে জর্ডানকে ২-০ গোলে হারিয়ে তারা এ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়।[২৩] সে বছর গালফ কাপেও তারা সৌদি আরবকে ২–১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।[২৪] তবে ২০১৫ সালের এশিয়া কাপে তারা খারাপ ফল করে এবং গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। ২০১৭ তে কুয়েতে অনুষ্ঠিত গালফ কাপেও তারা গ্রুপ পর্ব পার হতে পারে নি।

২০১৯ সালে দলটি ঘুরে দাঁড়ায় এবং এশিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়।[২৫] তারা কোপা আমেরিকায় অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ পায়। কিন্তু সেখানে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় তাদের।[২৬]

পৃষ্ঠপোষক

কর্মকর্তা

প্রধান প্রশিক্ষক ফেলিক্স সানচেজ (জানুয়ারি ২০১৯)

জানুয়ারি ২০১৯ এ সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে[২৭]

প্রযুক্তিগত
প্রধান কোচ ফেলিক্স সানচেস বাস
সহকারী কোচ সের্হিও আলেগ্রে
গোলরক্ষক কোচ ইয়ুলিউস বুশার
রেফারি দাবিদ রদ্রিগেস
ফিটনেস কোচ আলবের্তো মেন্দেস
ফিটনেস কোচ কার্লোস দোমিনিক মোনফোর্তে
চিকিৎসা
শারীরবৃত্তীয় প্রশিক্ষক শেমিস্লাভ তোকারেক
শারীরবৃত্তীয় প্রশিক্ষক আহমেদ আল শারাইরি
চিকিৎসক জন ম্যাকগিনেস
প্রশাসনিক
প্রশাসক মুহাম্মদ সালিম আল ইতাউই
গণমাধ্যম সমন্বয়ক আলি হাসান আল-সালাত

কোচের তালিকা

কাতার দলের কোচ হিসেবে এ পর্যন্ত যারা কাজ করেছেন তাদের অধিকাংশই বিদেশি। দলটিতে হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন:

ব্রুনো, কাতার দলের সাবেক ম্যানেজার
  • তহা তৌকি (১৯৬৯)[২৮]
  • মোহাম্মদ হাসান খায়েরি (১৯৬৯ – ৭২)[২৮]
  • হেলমি হুসেইন মাহমুদ (১৯৭৪)[২৮]
  • ফ্র্যাঙ্ক উইগনাল (১৯৭৫–৭৭)[২৮]
  • জন কার্ডন (১৯৭৭–৭৮)[২৮]
  • হাসান ওসমান (১৯৭৯)[২৮]
  • এভারিস্তো ডি ম্যাসেডো (১৯৭৯–৮৪)[২৮]
  • রোনাল্ড ডি কারভালহো (১৯৮৪)[২৯]
  • এভারিস্তো ডি ম্যাসেডো (১৯৮৪–৮৫)[২৮]
  • দানিও সানি ও জুলিও এসপিনোসা (১৯৮৫–৮৬)[৩০][৩১][৩২][৩৩]
  • প্রোকোপিও কার্দোসো (১৯৮৭–৮৮)[৩৪]
  • অ্যানাটোলি প্রোকোপেনকো (১৯৮৮)[২৮]
  • মোহাম্মদ দাহাম (১৯৮৮)[৩৫]
  • কার্লোস রবার্তো ক্যাবারাল (1989)[৩৪]
  • ডিনো সানি (১৯৮৯–৯০)[৩৪]
  • উলি মাসলো (১৯৯০)[৩৬]
  • ডিনো সানি (১৯৯০)[৩৪]
  • লুইস ফার্নিন্দেজ (১৯৯২)[৩৪]
  • এভারিস্তো ডি ম্যাকেডো (১৯৯২)[৩৪]
  • ইভো ওর্টম্যান (১৯৯২)[৩৪]
  • সেবাস্তিয়াও ল্যাপোলা (১৯৯২–৯৩)[৩৪]
  • আব্দুল মাল্লালাহ (১৯৯৩)[২৮]
  • সেবাস্তিয়াও ল্যাপোলা (১৯৯৩–৯৪)[৩৪][৩৭]
  • এভারিস্তো ডি ম্যাকেডো (১৯৯৪)[৩৬]
  • ডেভ ম্যাকে (১৯৯৪–৯৫)[২৮]
  • ডরগেন ই লারসেন (১৯৯৫–৯৬)[৩৮]
  • জো বনফ্রেরে (১৯৯৬–৯৭)[৩৮][৩৯]
  • জেমাল হাজিআবদিক (১৯৯৭–৯৮)[৩৮]
  • জে মারিও (১৯৯৮)[৩৮]
  • লুইজ গনজাকা মিলিওলি (১৯৯৮)[৩৮]
  • জো বনফ্রেঁতে (১৯৯৮–৯৯)[৩৮][৩৯]
  • জেম্যাল হ্যাজিয়্যাবডিক (১৯৯৯–০১)[৩৮][৪০]
  • পাওলো লুইজ ক্যামপোস (২০০১)[৪১]
  • পিয়েরে লেকান্ত্রে (২০০২–০৩)[২৮]
  • ফিলিপে ট্রোউসিয়ার (২০০৩–০৪)[২৮]
  • সাঈদ আল মিসনাদ (২০০৪)[২৮]
  • জেমালুদ্দিন মুসোভিচ (২০০৪–০৭)[২৮]
  • জর্জ ফোসাতি (২০০৮–০৮)[২৮]
  • ব্রুনো মেস্তু (২০০৮–১১)[২৮]
  • মিলোভান রাজেভাক (২০১১)[২৮]
  • সেবাস্তিও ল্যাজারোনি (২০১১–১২)[২৮]
  • পাওলো অতোরি (২০১২–১৩)[২৮]
  • ফাহাদ থানি (২০১৩–১৪)[২৮]
  • জামেল বেলমাদি (২০১৪–15)[২৮]
  • জোসে ড্যানিয়েল ক্যারেনো (২০১৫–১৬)[২৮]
  • জর্জ ফোসাতি (২০১৬–১৭)[২৮]
  • ফেলিক্স সানচেস বাস (২০১৭–)[৪২]

র‌্যাঙ্কিং

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৩ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে কাতার তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (৫১তম) অর্জন করে এবং ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১১৩তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে কাতারের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২৪ম (যা তারা ২০১৯ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৩৫। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থানপরিবর্তনদলপয়েন্ট
৬৮  মন্টিনিগ্রো১৫৫০
৬৯  ঘানা১৫৪৪
৭০  কাতার১৫৩৩
৭১ ১৩  হন্ডুরাস১৫৩২
৭২  নিউজিল্যান্ড১৫২৬

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ

ফিফা বিশ্বকাপবাছাইপর্ব
সালপর্বঅবস্থানম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগোম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগো
১৯৩০অংশগ্রহণ করেনিঅংশগ্রহণ করেনি
১৯৩৪
১৯৩৮
১৯৫০
১৯৫৪
১৯৫৮
১৯৬২
১৯৬৬
১৯৭০
১৯৭৪প্রত্যাহারপ্রত্যাহার
১৯৭৮উত্তীর্ণ হয়নি
১৯৮২
১৯৮৬
১৯৯০১১১২
১৯৯৪২২
১৯৯৮১১২১১০
২০০২১৪২৪১৩
২০০৬১৬
২০১০১৬১৬২০
২০১৪১৪১৮১৪
২০১৮১৬৩৫১৪
২০২২অনির্ধারিতআয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ
মোট১/২২১০৮৫০২২৩৬১৭৮১১০

এশিয়ান কাপ

এএফসি এশিয়ান কাপএএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব
সালফলঅবস্থানখেলাজয়ড্রহারগোল প্রদানগোল হজমখেলাজয়ড্রহারগোল প্রদানগোল হজম
১৯৫৬অংশ নেয়নিঅংশ নেয়নি
১৯৬০
১৯৬৪
১৯৬৮
১৯৭২
১৯৭৬কোয়ালিফাই করেনি
১৯৮০গ্রুপ পর্ব৮ম১০
১৯৮৪গ্রুপ পর্ব৫ম১১
১৯৮৮গ্রুপ পর্ব৫মস্বাগতিক হিসেবে কোয়ালিফাই
১৯৯২গ্রুপ পর্ব৬ষ্ঠ
১৯৯৬কোয়ালিফাই করেনি
২০০০কোয়ার্টার ফাইনাল৮ম১১
২০০৪গ্রুপ পর্ব১৪তম১০
২০০৭গ্রুপ পর্ব১৪তম১৪
২০১১কোয়ার্টার ফাইনাল৭মস্বাগতিক হিসেবে কোয়ালিফাই
২০১৫গ্রুপ পর্ব১৩তম১৩
২০১৯চ্যাম্পিয়ন১ম১৯২৯
২০২৩নির্ধারণ হয়নি
মোটসেরা: চ্যাম্পিয়ন১১/১৭৩৯১৩১১১৫৫২৪৭৫৩৩৬১০১২৪৩৬

এশিয়ান গেমসের ফুটবল ইভেন্ট

২০০০২ সাল থেকে এশিয়ান গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দলগুলোর মধ্যে ফুটবল খেলা হয়। এর আগে জাতীয় দলেগুলোই এ ইভেন্টে খেলত। তাই এখানে ২০০২ সালের আগের পরিসংখ্যান দেয়া হল:

এশিয়ান গেমস পরিসংখ্যান
সালফলখেলাজয়ড্রহারগোল প্রদানগোল হজম
১৯৫১অংশ নেয়নি
১৯৫৪
১৯৫৮
১৯৬২
১৯৬৬
১৯৭০
১৯৭৪
১৯৭৮গ্রুপ পর্ব
১৯৮২অংশ নেয়নি
১৯৮৬গ্রুপ পর্ব
১৯৯০অংশ নেয়নি
১৯৯৪গ্রুপ পর্ব
১৯৯৮কোয়ার্টার ফাইনাল
২০০২ থেকে বর্তমানঅনূর্ধ্ব-২৩ দল অংশগ্রহণ করে
মোট৪/১৩১৫১৯১৯

অলিম্পিক গেমস

১৯৯২ সাল থেকে এ গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দল (সর্বোচ্চ ৩ জন ব্যতীত) অংশগ্রহণ করে। এর আগের পরিসংখ্যান নিম্নরূপ:

গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস পরিসংখ্যান
স্বাগতিক/সালফলঅবস্থানখেলাজয়ড্রহারগোল প্রদানগোল হজম
১৯৭২কোয়ালিফাই করেনি
১৯৭৬
১৯৮০
১৯৮৪গ্রুপ পর্ব১৫ তম
১৯৮৮কোয়ালিফাই করেনি
১৯৯২ থেকে বর্তমানঅনূর্ধ্ব-২৩ দল অংশগ্রহণ করে
মোটগ্রুপ পর্ব১/১৭

গালফ কাপ

গালফ কাপ
সালফলখেলাজয়ড্রহারগোল প্রদানগোল হজম
১৯৭০৪র্থ
১৯৭২৪র্থ১০
১৯৭৪সেমিফাইনাল
১৯৭৬৩য়১১
১৯৭৯৫ম১৩
১৯৮২৫ম
১৯৮৪রানার-আপ১০
১৯৮৬৪র্থ
১৯৮৮৬ষ্ঠ
১৯৯০]রানার-আপ
১৯৯২চ্যাম্পিয়ন
১৯৯৪৪র্থ
১৯৯৬রানার-আপ
১৯৯৮৬ষ্ঠ
২০০২রানার-আপ
২০০৩৩য়
২০০৪চ্যাম্পিয়ন১০
২০০৭গ্রুপ পর্ব
২০০৯সেমিফাইনাল
২০১০গ্রুপ পর্ব
২০১৩গ্রুপ পর্ব
২০১৪চ্যাম্পিয়ন
২০১৭গ্রুপ পর্ব
মোট২৩/২৩১০৩৩৯২৫৩৯১১৯১২৪

প্যান আরব গেমস

প্যান আরব গেমস পরিসংখ্যান
সালRoundপর্বখেলাজয়ড্রহারগোল প্রদানগোল হজম
১৯৫৩অংশ নেয়নি
১৯৫৭
১৯৬১
১৯৬৫
১৯৭৬
১৯৮৫
১৯৯৭
১৯৯৯১ম গ্রুপ পর্ব১০ম
২০০৭অংশ নেয়নি
২০১১গ্রুপ পর্ব৬ষ্ঠ
মোট২/১০৬ষ্ঠ

ডাব্লিউএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ

ডাব্লিউএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ
সালফলখেলাজয়ড্রহারগোল প্রদানগোল হজম
২০০০অংশ নেয়নি
২০০২
২০০৪
২০০৭
২০০৮সেমিফাইনাল
২০১০অংশ নেয়নি
২০১২
২০১৪চ্যাম্পিয়ন১০
২০১৯অংশ নেয়নি
মোট২/৯১২১০

আরব ন্যাশনস কাপ

আরব ন্যাশনস কাপ
সালফলাফলখেলাজয়ড্রহারগোল প্রদানগোল হজম
১৯৬৩অংশ নেয়নি
১৯৬৪
১৯৬৬
১৯৮৫৪র্থ
১৯৮৮অংশ নেয়নি
১৯৯২
১৯৯৮রানার্স-আপ
২০০২অংশ নেয়নি
২০১২
মোট২/৯১০

কোপা আমেরিকা

কাতার আমেরিকার বাইরের ২য় দেশ হিসেবে কোপা আমেরিকায় খেলার সুযোগ পায়। ২০১৯ সালে আমন্ত্রিত দল হিসেবে তারা কোপা আমেরিকায় অংশগ্রহণ করে।

কোপা আমেরিকা পরিসংখ্যান
স্বাগতিক/সালফলাফলঅবস্থানখেলাজয়ড্রহারগোল প্রদানগোল হজম
২০১৯গ্রুপ পর্ব১০ম
২০২০আমন্ত্রিত
মোটগ্রুপ পর্ব২/৪৭

অর্জন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ