সের্হিও আগুয়েরো
সের্হিও লেওনেল ‘‘কুন’’ আগুয়েরো দেল কাস্তিয়ো (স্পেনীয়: Sergio Leonel Agüero del Castillo, স্পেনীয় উচ্চারণ: [ˈseɾxjoaˈɣweɾo]; জন্ম: ২ জুন ১৯৮৮) একজন সাবেক আর্জেন্টাইন পেশাদার ফুটবলার যিনি স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন। ২০০৩ সালের ৫ জুলাই, মাত্র ১৫ বছর এবং ৩৫ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে আর্জেন্টাইন প্রিমেরা দিভিসিওনে তার অভিষেক হয়। এর মাধ্যমে তিনি ১৯৭৬ সালে মারাদোনার গড়া রেকর্ডটি ভেঙ্গে ফেলেন।[৩] ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর তিনি স্বাস্থ্যজনিত কারণে ডাক্তারের পরামর্শে ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সের্হিও লেওনেল আগুয়েরো দেল কাস্তিয়ো[১] | |||||||||||||
জন্ম | ২ জুন ১৯৮৮ | |||||||||||||
জন্ম স্থান | কিলমেস, আর্জেন্টিনা | |||||||||||||
উচ্চতা | ১.৭২ মিটার (৫ ফুট ৭+১⁄২ ইঞ্চি)[২] | |||||||||||||
মাঠে অবস্থান | ফরোয়ার্ড | |||||||||||||
যুব পর্যায় | ||||||||||||||
১৯৯৭–২০০৩ | ইন্দিপেন্দিয়েন্তে | |||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||
২০০৩–২০০৬ | ইন্দিপেন্দিয়েন্তে | ৫৪ | (২৩) | |||||||||||
২০০৬–২০১১ | আতলেতিকো মাদ্রিদ | ১৭৫ | (৭৪) | |||||||||||
২০১১–২০২১ | ম্যানচেস্টার সিটি | ২৭৫ | (১৮৪) | |||||||||||
২০২১ | বার্সেলোনা | ৪ | (১) | |||||||||||
মোট | ৫০৮ | (২৮২) | ||||||||||||
জাতীয় দল‡ | ||||||||||||||
২০০৪ | আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ১৭ | ৫ | (৩) | |||||||||||
২০০৫–২০০৭ | আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ২০ | ১১ | (৬) | |||||||||||
২০০৮ | আর্জেন্টিনা অলিম্পিক দল | ৫ | (২) | |||||||||||
২০০৬–২০২১ | আর্জেন্টিনা | ১০১ | (৪১) | |||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ৩০ অক্টোবর ২০২১ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ৩ জুলাই ২০২১ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
ক্লাব কর্মজীবন
ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তে
৯ বছর বয়সে আগুয়েরো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে’র যুব প্রকল্পে যোগদান করেন। ২০০৩ সালের ৫ জুলাই, মাত্র ১৫ বছর এবং ৩৫ দিন বয়সে আর্জেন্টাইন লিগের প্রথম বিভাগের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় তার অভিষেক হয়। আগের রেকর্ডটি ছিল দিয়েগো মারাদোনার। এরপর অনেক দিন যাবত্ তাকে আর মাঠে নামতে দেখা যায়নি। সাত মাস পর, ২০০৪ কোপা লিবেরতাদোরেস-এর গ্রুপ পর্বের খেলায় প্যারাগুয়ের ক্লাব সিনসিআনোর বিপক্ষে আগুয়েরো প্রথম দলে জায়গা পান। খেলায় ইন্দিপেন্দিয়েন্তে ৪–২ ব্যবধানে জয় লাভ করে। এক মাস পর, ইকুয়েডরের ক্লাব এল ন্যাসিওনালের বিপক্ষে কোপা লিবেরতাদোরেসের খেলায় আবারও মাঠে নামেন তিনি। ২০০৪ সালের ১৯ জুন, তরেনো ক্লাউসুরাতে রাফায়েলার বিপক্ষে ইন্দিপেন্দিয়েন্তের হয়ে তিনি সম্পূর্ণ ৯০ মিনিট খেলেন।[৪] ২০০৪ সালের ২৬ নভেম্বর, ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তের হয়ে আগুয়েরো তার প্রথম গোল করেন। এস্তুদিয়ান্তেসের বিপক্ষে খেলার ২২তম মিনিটে পেনাল্টি এরিয়ার বাহিরে থেকে গোলটি করেন তিনি। খেলাটি শেষ হয় ২–২ সমতায়।[৫][৬] ২০০৫ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের জন্য আজেন্টিনা অনূর্ধ্ব ২০ দলে তিনি ডাক পান। আর্জেন্টিনা এই শিরোপা জেতে। আগুয়েরো ক্লাবের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিনত হন। ২০০৫–০৬ মৌসুমে তিনি ৩৬টি খেলায় মাঠে নামেন এবং ১৮টি গোল করেন। সাসপেনশনের কারনে তিনি দুইটি খেলায় নামতে পারেননি। ১১ সেপ্টেম্বর, রেসিং-এর বিপক্ষে খেলায় মাঠের অর্ধেকেরও বেশি পরিমান বল কাটিয়ে বাম পায়ের শটে তিনি দলের হয়ে খেলার চতুর্থ গোলটি করেন। খেলাটিতে ইন্দিপেন্দিয়েন্তে ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৬][৭]
আতলেতিকো মাদ্রিদ
২০০৬–০৭ মৌসুম
২০০৬ সালের মে মাসে, প্রায় ২৩ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে স্পেনীয় ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দেন আগুয়েরো।[৮][৯] ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, অ্যাথলেতিক বিলবাও এর বিপক্ষে লা লিগায় আগুয়েরো তার প্রথম গোল করেন। খেলায় আতলেতিকো মাদ্রিদ ৪–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে। ১৪ অক্টোবর, হুয়েলভার বিপক্ষে তিনি হাত দিয়ে গোল করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন।[১০] আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৭ গোল নিয়ে মৌসুম শেষ করেন আগুয়েরো।
২০০৭–০৮ মৌসুম
২০০৭ সালের গ্রীষ্মে ফের্নান্দো তোরেসের প্রস্থানের পর তিনি দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত হন এবং মাত্র ১৯ বছর বয়সেই তিনি দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হন। ২০০৭–০৮ মৌসুমে তিনি ১৯ গোল নিয়ে লা লিগার তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে মৌসুম শেষ করেন এবং ত্রফিও আলফ্রেদো দি স্তিফানো পুরস্কারে রানার-আপ হন।[১১]
২০০৮ সালের মার্চে, বার্সেলোনার বিপক্ষে আতলেতিকো মাদ্রিদ ৪–২ ব্যবধানে জয় লাভ করে। খেলায় আগুয়েরো জোড়া গোল করেন, একটি গোলে সহায়তা করেন এবং একটি পেনাল্টি জেতেন। খেলায় তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়।[১২][১৩] এছাড়া তিনি রিয়াল মাদ্রিদ, ভালেনসিয়া, সেভিয়া এবং ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ গোল করেন। আতলেতিকো মাদ্রিদ লা লিগায় চতুর্থ স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে এবং দশ বছরেরও বেশি সময় পর চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করে।[১৪] মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় আগুয়েরো ২৭টি গোল করেন।
২০০৮–০৯ মৌসুম
এই মৌসুমে আতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার দিয়েগো ফরলান। ফলে দলের আক্রমনভাগ সজ্জিত হয় আগুয়েরো এবং ফরলানকে নিয়ে। ২০০৮–০৯ মৌসুমেও আগুয়েরো নিজেকে দলের নিয়মিত গোলদাতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। ২০০৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসভি এর বিপক্ষে তার প্রথম গোল করেন। খেলায় আতলেতিকো মাদ্রিদ ৩–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে এবং দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করে।[১৫]
২০০৯ সালের মার্চে, বার্সেলোনার বিপক্ষে আগুয়েরো এবং ফরলান উভয়েই জোড়া গোল করেন। খেলায় আতলেতিকো মাদ্রিদ ৪–৩ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[১৬] মৌসুমে লা লিগায় তিনি ১৭ গোল করেন এবং পিচিচি ট্রফির দশজন দাবিদারের মধ্যে তিনিও ছিলেন, যা তার ক্লাব সতীর্থ ফরলান জেতেন। লা লিগায় চতুর্থ স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
২০০৯–১০ মৌসুম
বেশি গোল করতে না পারলেও, আগুয়েরোর এই মৌসুম মোটামুটি ভালভাবেই কাটে। এটি ছিল এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্য আতলেতিকো মাদ্রিদের সেরা মৌসুম।[১৭] ২০০৯ সালের ৩ নভেম্বর, চেলসির বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন। খেলাটি ২–২ সমতায় শেষ হয়। অ্যাটলেটিকো প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নিলেও, তারা উয়েফা ইউরোপা লিগে স্থান করে নেয় এবং ফাইনালে পৌছায়। ফুলহ্যামের বিপক্ষে খেলাটি ১–১ সমতায় শেষ হলে, অতিরিক্ত সময়ে ফরলানের গোলে ২–১ ব্যবধানে জয় পায় অ্যাটলেটিকো। প্রথম গোলটিও করেন ফরলান এবং উভয় গোলেই সহায়তা করেন আগুয়েরো।[১৮] এছাড়া তিনি দলকে কোপা দেল রে’র ফাইনালে পৌছাতেও সাহায্য করেন, যদিও ১৯ মে ক্যাম্প ন্যুতে ফাইনালে সেভিয়ার বিপক্ষে হেরে শিরোপা হাতাছাড়া হয় তাদের।[১৯]
২০১০ সালের ২৭ আগস্ট, ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ইউরোপীয়ান সুপার কাপের ফাইনালে ২–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে আতলেতিকো। আগুয়েরো একটি গোল করেন এবং একটি গোলে সহায়তা করেন।[২০] ২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি, আতলেতিকো মাদ্রিদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে ক্লাবের সাথে আগুয়েরোর নতুন চুক্তি নিশ্চিত করা হয়, যার মেয়াদ ছিল ২০১৪ সাল পর্যন্ত।[২১] এর পরের দিনই তাকে দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।[২২]
২০১০–১১ মৌসুম
২০১০–১১ মৌসুম আতলেতিকোতে আগুয়েরোর সবচেয়ে সফল মৌসুম ছিল। এই মৌসুমে লিগে তিনি ২০ গোল করেন। ২০১১ সালের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত টানা ৭টি লিগের খেলায় তিনি গোল করেন। যা ঐ মৌসুমে ইউরোপের কোন লিগের খেলোয়াড়ই করতে পারেননি। ২১ মে মায়োর্কার বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন আগুয়েরো এবং দলকে ৪–৩ ব্যবধানের জয় এনে দেন। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাট্রিক এবং হ্যাট্রিকের দ্বিতীয় গোলটি ছিল আতলেতিকোর হয়ে তার ১০০তম গোল।[২৩]
২০১১ সালের ২৩ মে, আগুয়েরো তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন যে তিনি আতলেতিকো থেকে চলে যেতে চান।[২৪][২৫] ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে আগুয়েরো বলেন যে তিনি আর আতলেতিকোতে ফিরবেন না।[২৬] ঐ দিনই আগুয়েরো অফিসিয়ালভাবে ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়ে পরিণত হন। তার স্থানান্তর ফী প্রকাশ না করা হলেও তা প্রায় ৩৮ মিলিয়ন পাউন্ডের কাছাকাছি ছিল। আগুয়েরোর প্রস্থানের পর তার স্থান পূরণের জন্য ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রাদামেল ফ্যালকাওকে ক্রয় করে আতলেতিকো মাদ্রিদ।[২৭]
ম্যানচেস্টার সিটি
২০১১–১২ মৌসুম
২০১১ সালের ২৮ জুলাই, ম্যানচেস্টার সিটি আগুয়েরোর পাঁচ বছরের চুক্তি নিশ্চিত করে।[২৮] তার স্থানান্তরণ ফী ছিল প্রায় £৩৮ মিলিয়ন (€৪৫ মিলিয়ন)।[২৯][৩০][৩১] সিটিতে তাকে ১৬ নম্বর শার্ট দেওয়া হয়[২৮] এবং শার্টে তার নাম লেখা হয় “Kun Agüero”।
২০১১ সালের ১৫ আগস্ট, সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে আগুয়েরোর অভিষেক হয়। খেলার ৬৯তম মিনিটে তিনি বদলি হিসেবে নামেন এবং নয় মিনিটের মধ্যেই একটি গোল করেন। এরপর ইনজুরি সময়ে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে তিনি আরো একটি গোল করেন। খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৩২] অনেক ফুটবল সাংবাদিকের মতে তার ৩০ মিনিটের এই অভিষেক ছিল ইংরেজ ফুটবলে সেরা অভিষেকগুলোর একটি।[৩৩][৩৪][৩৫]
২৮ আগস্ট, টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে আগুয়েরো তার তৃতীয় লিগ গোল করেন। খেলায় সিটি ৫–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৩৬] ১০ সেপ্টেম্বর, উইগান অ্যাথলেটিকের বিপক্ষে সিটির হয়ে আগুয়েরো তার প্রথম হ্যাট্রিক করেন এবং দলকে ৩–০ ব্যবধানের জয় এনে দেন।[৩৭] ১৮ সেপ্টেম্বর, ফুলহ্যামের বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন, কিন্তু খেলাটি ২–২ সমতায় শেষ হয়।[৩৮] ১ অক্টোবর, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষে খেলার ২৯তম মিনিটে ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে আগুয়েরোকে মাঠ ছাড়তে হয়।
ইনজুরি সারিয়ে ১৮ অক্টোবর চ্যাম্পিয়নস লিগে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলার ৬২তম মিনিটে দি জং এর বদলি হিসেবে নামেন এবং ৯৩ মিনিটে দলের হয়ে জয়সূচক গোল করেন আগুয়েরো।[৩৯] ২৩ অক্টোবর আগুয়েরো ম্যানচেস্টার ডার্বিতে অংশগ্রহণ করেন এবং খেলার ৬৯তম মিনিটে একটি গোল করেন। খেলায় সিটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৬–১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে।[৪০] ১ নভেম্বর, ফিফা ব্যালোন দি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আগুয়েরোর নামও ঘোষণা করা হয়।
এমিরেট্স স্টেডিয়ামে আর্সেনালের বিপক্ষে খেলায় লিগ কাপে আগুয়েরোর অভিষেক হয়। খেলার ৮৩তম মিনিটে তিনি একটি গোল করেন। ২১ ডিসেম্বর, স্টোক সিটির বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন এবং দলকে ৩–০ ব্যবধানের জয় এনে দেন।[৪১] ২০১২ সালের ৩ জানুয়ারি, লিভারপুলের বিপক্ষে তিনি খেলার প্রথম গোলটি করেন এবং দলকে ৩–০ ব্যবধানের জয় এনে দেন।[৪২] ১৬ ফেব্রুয়ারি, ইউরোপা লিগে পোর্তোর বিপক্ষে রাউন্ড অব ৩২ এর ১ম লেগের খেলায় ৭৮তম মিনিটে মারিও বালোতেল্লির বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আগুয়েরো। ৮৫তম মিনিটে তিনি সিটির হয়ে জয়সূচক গোল করেন। এটি ছিল ইউরোপা লিগে তার প্রথম গোল।[৪৩] ২২ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় লেগে খেলা শুরুর মাত্র ১৯ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করেন আগুয়েরো। খেলায় সিটি ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষে সিটির ৩–০ ব্যবধানে জয়ের খেলায় আগুয়েরো লিগে তার ১৬তম গোল করেন।[৪৪] ১৫ মার্চ, ইউরোপা লিগে রাউন্ড অব ১৬ এর দ্বিতীয় লেগের খেলায় স্পোর্তিং ক্লাব দু পর্তুগালের বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলকে ৩–২ ব্যবধানে জয় এনে দেন আগুয়েরো। কিন্তু দুই লেগ মিলিয়ে মোট গোলে ৩–৩ সমতা থাকলেও এওয়ে গোলে এগিয়ে থাকার কারনে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পায় স্পোর্তিং ক্লাব। ২১ মার্চ, চেলসির বিপক্ষে লিগে নিজের ১৭তম গোল করেন আগুয়েরো। খেলায় সিটি ২–১ ব্যবধানে জয় পায়।[৪৫] ২৯ মার্চ, পায়ের সমস্যার কারনে আগুয়েরোকে ১০ থেকে ১৫ দিনের জন্য মাঠের বাহিরে থাকতে হয়।[৪৬][৪৭][৪৮]
১১ এপ্রিল, ওয়েস্ট ব্রমউইচের বিপক্ষে আগুয়েরো জোড়া গোল করেন এবং দেভিদ সিলভা ও কার্লোস তেবেসের গোলে সহায়তা করেন। খেলায় সিটি ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৪৯] ১৪ এপ্রিল, নরউইচ সিটির বিপক্ষে তিনি পুনরায় জোড়া গোল করেন। খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ৬–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে এবং লিগে আগুয়েরোর মোট গোল সংখ্যা হয় ২১।[৫০] পরের খেলায় উল্ভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে তিনি একটি গোল করেন এবং দলকে ২–০ ব্যবধানে জয় এনে দেন।[৫১] ৪ মে, আগুয়েরোকে ম্যানচেস্টার সিটির বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করা হয় এবং নরউইচের বিপক্ষে তার করা প্রথম গোলটি মৌসুমের সেরা গোল নির্বাচিত হয়।[৫২]
মৌসুমের শেষ খেলা: ম্যানচেস্টার সিটি ৩–২ কিউপিআর
টানা পাঁচ খেলায় জয় লাভের ফলে সিটির আট পয়েন্টের ঘাটতি পূরণ হয়। ফলে সিটি এবং ইউনাইটেডের পয়েন্ট সমান হলেও, গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থানে ছিল সিটি। এমন অবস্থায় লিগের শেষ খেলায় সিটি মুখোমুখি হয় অবনমন শঙ্কায় থাকা কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের। সিটির প্রয়োজন ছিল ইউনাইটেডের সমান বা তার চেয়ে ভাল ফলাফল। খেলায় ৩৯তম মিনিটে পাবলো জাবালেতা গোল করে সিটিকে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান। অন্যদিকে ইউনাইটেড বনাম সান্ডারল্যান্ডের খেলায় ২০তম মিনিটে ওয়েইন রুনির গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড এবং খেলার প্রথমার্ধ ১–০ তেই শেষ হয়। কিন্তু এদিকে কুইন্স পার্ক খেলার ৪৮তম মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে। এর কিছুক্ষন পরই কুইন্স পার্কের জোয়ি বার্টনকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়। তা সত্ত্বেও খেলার ৬৬তম মিনিটে জেইমি ম্যাকির গোলে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় কুইন্স পার্ক। ফলে সিটির শিরোপা স্বপ্ন হ্রাস পেতে শুরু করে এবং কুইন্স পার্ক রক্ষনশীল কায়দায় খেলতে শুরু করে। ম্যানেজার রবের্তো মানচিনি গোলের আশায় স্ট্রাইকার মারিও বালোতেল্লি এবং এডিন ডেকোকে মাঠে নামান। খেলার ৯০মিনিট শেষ হলে পাঁচ মিনিটের ইনজুরি সময় দেওয়া হয় এবং সিটির দুই গোলের সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ৯১তম মিনিটে দাভিদ সিলভার কর্ণার থেকে গোল করেন ডেকো। ফলে একটি ক্ষীণ আশার সৃষ্টি হয়। ৯৪তম মিনিটে গোলপোস্টের ৩৫গজ দূর থেকে আগুয়েরো কুইন্স পার্কের পেনাল্টি বক্সের বাহিরে থাকা বালোতেল্লিকে পাস দেন এবং পেনাল্টি বক্সের দিকে নিজের দৌড় অব্যহত রাখেন। বালোতেল্লি পুনরায় আগুয়েরোকে পাস দেন এবং আগুয়েরো দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দূর্দান্ত গোল করেন এবং সিটির প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করেন।[৫৩] আগুয়েরোর গোল এতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি করে। গোল উদ্যাপনের সময় তার সতীর্থরা তাকে মাটিতে টেনে নেয়। তার সতীর্থ ভিনসেন্ট কোম্পানি পরবর্তীতে বলেন যে আগুয়েরো তখন কাঁদছিলেন।[৫৪] ম্যানচেস্টার সিটি প্যারেডে, আগুয়েরোকে গোল উদ্যাপনের সময় তিনি কেঁদেছিলেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, সামান্য একটু”।[৫৫]
২০১২–১৩ মৌসুম
আগুয়েরো ২০১২–১৩ মৌসুম শুরু করেন ২০১২ এফএ কমিউনিটি শিল্ডে চেলসির বিপক্ষে খেলার মাধ্যমে, যেখানে সিটি ৩–২ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৫৬] সাউদ্যাম্পটনের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির প্রথম লিগ খেলার ১৩তম মিনিটে হাঁটুর ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আগুয়েরোকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হয়।[৫৭] ইনজুরি থেকে ফিরে আর্সেনালের বিপক্ষে প্রথম মাঠে নামেন আগুয়েরো। ২৯ সেপ্টেম্বর, ফুলহ্যামের বিপক্ষে আগুয়েরো মৌসুমে তার প্রথম গোল করেন। খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ১–২ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৫৮][৫৯] ৬ অক্টোবর, সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে সিটির ৩–০ ব্যবধানে জয়ের খেলায়ও তিনি একটি গোল করেন।[৬০] এরপর তিনি গোল করেন ১১ নভেম্বর টটেনহামের বিপক্ষে সিটির ২–১ গোলে জয়ের খেলায়।[৬১] পরের সপ্তাহে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন, খেলায় সিটি ৫–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৬২] এছাড়া আগুয়েরো ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলায় আয়াক্স এবং রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষেও গোল করেন।[৬৩][৬৪] এরপর তিনি গোল করেন ১৫ ডিসেম্বর নিউকাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে, খেলায় সিটি ৩–১ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৬৫] ২৯ ডিসেম্বর, নরউইচের বিপক্ষে সিটির ৪–৩ গোলে জয়ের খেলায়ও তিনি গোল করেন।[৬৬] ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি, স্টোক সিটির বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে একটি গোল দেওয়ার পর খেলার ৭৩তম মিনিটে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে আক্রান্ত হন আগুয়েরো।[৬৭]
১৯ জানুয়ারি ইনজুরি থেকে ফিরে ফুলহামের বিপক্ষে খেলার ৮১তম মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আগুয়েরো।[৬৮] ৩ ফেব্রুয়ারি, লিভারপুলের বিপক্ষে তিনি সমতাসূচক গোল করেন।[৬৯] ১৭ ফেব্রুয়ারি, এফএ কাপে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলায় তিনি জোড়া গোল করেন। খেলায় সিটি ৪–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৭০] ২৪ ফেব্রুয়ারি, চেলসির বিপক্ষে ২–০ গোলে জয়ের খেলায় হাঁটুর ইনজুরিতে আক্রান্ত হন আগুয়েরো।[৭১] এই ইনজুরি কারণে ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বলিভিয়া এবং ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলায় আর্জেন্টিনা দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।[৭২] ৩০ মার্চ, ইনজুরি থেকে ফিরে নিউকাসলের বিপক্ষে উষ্ণ অভ্যর্থনার সাথে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। খেলায় সিটি ৪–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৭৩]
৮ এপ্রিল, ম্যানচেস্টার ডার্বিতে খেলার ৭১তম মিনিটে সামির নাসরির বদলি হিসেবে নামেন আগুয়েরো। ৭৮তম মিনিটে তার একমাত্র গোলেই জয়ের দেখা পায় ম্যানচেস্টার সিটি।[৭৪] ১৪ এপ্রিল, চেলসির বিপক্ষে এফএ কাপের সেমিফাইনালে হেডে গোল করে দলকে ফাইনালে পৌছাতে সাহায্য করেন আগুয়েরো।[৭৫] খেলার ৮২তম মিনিটে তিনি ডেভিড লুইজকে দুই পায়ে অত্যন্ত বাজেভাবে ট্যাকল করেন, এর আগে অবশ্য লুইজও তাকে ট্যাকল করেছিলেন।[৭৬] এই ঘটনা সত্ত্বেও তাকে লাল কার্ড দেখানো হয়নি। বরং এফএ ঘোষণা করে যে আগুয়েরোকে কোনো প্রকার শাস্তি প্রদান করা হবেনা, যেহেতু রেফারি ক্রিস ফয় ঘটনাটির অন্তত কোনো অংশ প্রত্যক্ষ করেছেন এবং সে অনুযায়ী খেলা চলাকালে তার দায়িত্বও পালন করেছেন। তবে অনেকেই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি এবং তারা মনে করেন যে এফএ এক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে।[৭৭] ১৭ এপ্রিল আগুয়েরো প্রকাশ করেন যে তিনি লুইজের কাছে তার ঐ কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।[৭৮]
১৭ এপ্রিল, উইগানের বিপক্ষে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিং-এ টান অনুভব করেন আগুয়েরো, ফলে প্রথমার্ধ্ব শেষে তাকে উঠিয়ে নেওয়া হয়।[৭৯] ২১ এপ্রিল, টটেনহামের বিপক্ষে সিটি ১–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়, সে খেলায় তিনি অব্যবহৃত বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন।[৮০] আগুয়েরো মৌসুমে তার শেষ গোল করেন রিডিং-এর বিপক্ষে, সে খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ০–২ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৮১]
ইংরেজ সংবাদ মাধ্যম দাবী করে যে গ্রীষ্মকালীন স্থানান্তর মৌসুমে স্পেনীয় ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের মূল লক্ষ্য ছিলেন আগুয়েরো।[৮২][৮৩][৮৪] কিন্তু আগুয়েরো বলেন যে, “আমি সিটিতে খুবই সুখী এবং আমি এখানে অনেক প্রশংসা ও ভালোবাসা পেয়ে থাকি যা আমার কাছে অনেক কিছু।”[৮৫] ম্যানচেস্টার সিটির প্রধান নির্বাহী ফেরান সরিয়ানো স্থানান্তরের পরিকল্পনা অস্বীকার করেন এবং বলেন যে আগুয়েরো সিটিতেই থাকবেন।[৮৬][৮৭] কিন্তু আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনা তাকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার জন্য উত্সাহিত করেন। কারণ, তিনি মনে করেন আগুয়েরোর উপস্থিতিতে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আরও বেশি কিছু করতে পারবেন।[৮৮] ২০১৩ সালের ২৫ মে, আগুয়েরো ম্যানচেস্টার সিটির সাথে তার চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে নেন (২০১৭ সাল পর্যন্ত)।[৮৯][৯০] ২০১৩ সালের ২৮ মে, আগুয়েরো ম্যানচেস্টার সিটির কাছে তার প্রতিশ্রুতির কথা বিবৃত করে বলেন, “আমি ম্যানচেস্টার সিটির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, এটি একটি মহান ক্লাব।”[৯১]
২০১৩–১৪ মৌসুম
হাঁটুর ইনজুরির কারণে ক্লাবের হয়ে প্রাক-মৌসুমের কোনো খেলাতেই মাঠে নামতে পারেননি আগুয়েরো।[৯২] ইনজুরি থেকে ফিরে মৌসুমের প্রথম খেলায় নিউকাসলের বিপক্ষে তিনি একটি গোল করেন। খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ৪–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৯৩] ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন এবং দলকে ৪–১ গোলের ব্যবধানে জয় এনে দেন।[৯৪] এভারটনের বিপক্ষে খেলায় তিনি একটি গোল করেন এবং দলকে ৩–১ গোলের ব্যবধানে জয় এনে দেন।[৯৫] ১৯ অক্টোবর, ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে তিনি ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। খেলায় তিনি জোড়া গোল করেন এবং দাভিদ সিলভার গোলে সহায়তা করেন এবং সিটিকে ৩–১ গোলের ব্যবধানে জয় এনে দেন।[৯৬] ২৩ অক্টোবর, চ্যাম্পিয়নস লিগে সিএসকেএ মস্কোর বিপক্ষেও তিনি জোড়া গোল করেন। খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ২–১ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৯৭] ২৭ অক্টোবর, তিনি চেলসির বিপক্ষে গোল করেন, অবশ্য খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়। এই প্রথমবারের মত প্রিমিয়ার লিগের কোন খেলায় আগুয়েরো গোল করার পরও ম্যানচেস্টার সিটি পরাজিত হয়।[৯৮] ২ নভেম্বর, নরউইচের বিপক্ষে তিনি একটি গোল করেন। খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ৭–০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৯৯] ৫ নভেম্বর, চ্যাম্পিয়নস লিগে সিএসকেএ মস্কোর বিপক্ষে আগুয়েরো জোড়া গোল করেন এবং আলভারে নেগ্রেদোর একটি গোলে সহয়তা করেন। খেলায় সিটি ৫–২ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[১০০] ১৪ ডিসেম্বর, আর্সেনালের বিপক্ষে সিটির ৬–৩ গোলে জয়ের খেলায় আগুয়েরো পায়ের ইনজুরিতে আক্রান্ত হন। এবং ধারণা করা হয় যে তাকে এক মাস মাঠের বাহিরে থাকতে হবে।[১০১] ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর, ইনজুরি থেকে ফিরে এফএ কাপের খেলায় ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আগুয়েরো। খেলার ৭২তম মিনিটে মাঠে নেমে ৭৩তম মিনিটেই একটি গোল করেন তিনি।[১০২][১০৩]
২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারী, ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে এফএ কাপের খেলায় আগুয়েরো হ্যাট্রিক করেন, এবং সিটিকে ৪–২ গোলের জয় এনে দেন। এটি তার ২০১৪ সালের প্রথম হ্যাট্রিক।[১০৪] ২৯ জানুয়ারী, টটেনহাম হটস্পারের বিপক্ষে খেলায় আগুয়েরো পুনরায় হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে আক্রান্ত হন। এই ইনজুরি তাকে এক মাস মাঠের বাহিরে রাখবে বলে ধারণা করা হয়।[১০৫][১০৬]
২০১৩–১৪ মৌসুম
আন্তর্জাতিক কর্মজীবন
আর্জেন্টিনার সিনিয়র দলের হয়ে আগুয়েরোর অভিষেক হয় ২০০৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের বিপক্ষে একটি প্রীতি খেলায়।[১০৭] একজন টিনএজার হিসেবে তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে ফিফা যুব চ্যাম্পিয়নশিপগুলোতেও অংশগ্রহণ করেন। লিওনেল মেসি এবং ফেরন্যান্দো গ্যাগোর সাথে তিনি ২০০৫ ফিফা যুব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন। এছাড়া ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকেও তারা বিজয়ী হয়।
২০০৪ দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব ১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ
২০০৪ দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব ১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করার জন্য আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ১৭ দলে ডাক পান আগুয়েরো। গ্রুপ পর্বের সবকয়টি খেলায়ই তিনি মাঠে নামেন। যুক্তরাষ্ট্র (২–১) এবং ইকুয়েডরের (২–১) বিপক্ষে খেলায় তিনি গোল করেন। কোয়ার্টার ফাইনালে পেরুর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আগুয়েরো। কিন্তু সেমি ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২–০ ব্যবধানে হেরে আর্জেন্টিনাকে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয়।
২০০৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ
কানাডায় অনুষ্ঠিত ২০০৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত আর্জেন্টিনা দলে জায়গা পান আগুয়েরো। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় খেলায় পানামার বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন এবং তিনটি গোলে সহায়তা করেন। তৃতীয় খেলায় উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে তিনি ফ্রি কিক থেকে একটি গোল করেন। রাউন্ড অব ১৬ এর খেলায় পোল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন এবং দলকে ৩–১ ব্যাবধানের জয় এনে দেন। আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনালে মেক্সিকো এবং সেমি ফাইনালে চিলিকে হারায়। ফাইনালে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয় চেক রিপাবলিকের, যাদের সাথে গ্রুপ পর্বে তারা ০–০ গোলে ড্র করেছিল। আগুয়েরো খেলায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। খেলার ৬২তম মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে সমতাসূচক গোল করেন আগুয়েরো। ৮৬তম মিনিটে জারাতের গোলে ২–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে আর্জেন্টিনা। প্রতিযোগিতায় ৭ খেলায় ৬ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেন আগুয়েরো এবং প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বলের পুরস্কারও জিতেন তিনি।
২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক
২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন আগুয়েরো। সেমি ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন এবং দলকে ৩–১ ব্যবধানের জয় এনে দেন।[১০৮] ফাইনালে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণপদক জেতে আর্জেন্টিনা।
২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ
২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনা দলে জায়গা পান আগুয়েরো। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় খেলায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে তার অভিষেক হয়। খেলার ৭৫তম মিনিটে কার্লোস তেবেসের বদলি হিসেবে নামেন তিনি। খেলায় গঞ্জালো হিগুয়েইনের তৃতীয় গোলে তিনি সহায়তা করেন। আর্জেন্টিনা খেলায় ৪–১ ব্যবধানে জয়লাভ করে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে হেরে যাবার ফলে আর্জেন্টিনাকে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয়।
২০১১ কোপা আমেরিকা
২০১১ কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা দলে ডাক পান আগুয়েরো। আর্জেন্টিনা গ্রুপ ভাগাভাগি করে কলম্বিয়া, বলিভিয়া এবং কোস্টা রিকার সাথে সাথে। ১ জুলাই, গ্রুপ পর্বের প্রথম খেলায় ৭১তম মিনিটে ইজেকুয়েল ল্যাভেজ্জির বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আগুয়েরো এবং ৭৬তম মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে সমতাসূচক গোল করেন। খেলাটি ১–১ সমতায় শেষ হয়।[১০৯][১১০][১১১][১১২] ৬ জুলাই, কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলায় ৬৪তম মিনিটে ল্যাভেজ্জির বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। খেলাটি ০–০ সমতায় শেষ হয়।[১১৩] গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার তৃতীয় খেলায় কোস্টা রিকার বিপক্ষে আগুয়েরো জোড়া গোল করেন এবং দলকে ৩–০ ব্যবধানের জয় এনে দেন।[১১৪] ফলে আর্জেন্টিনা গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছায়। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে পেনাল্টিতে ৫–৪ ব্যবধানে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে তাদের বিদায় নিতে হয়।
খেলার ধরন
আগুয়েরো মুলত একজন স্ট্রাইকার। তবে তাকে সম্পূর্ণরূপে একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবেও অ্যাখ্যায়িত করা হয়।[১১৫] তিনি একজন দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবেও খেলতে পারেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে থাকাকালে দিয়েগো ফরলানের সাথে তিনি প্রায়ই এই দায়িত্ব পালন করতেন।[১১৬] আগুয়েরো কিছুটা বলিষ্ঠ এবং খাটো গঠনের অধিকারী। ফলে তাকে আরেক সিটি স্ট্রাইকার কার্লোস তেবেসের সাথে তুলনা করা হয়।[১১৭] এছাড়াও তাকে মারাদোনা এবং রোমারিওর মত প্রাক্তন স্ট্রাইকারদের সাথেও তুলনা করা হয়। কেউ কেউ মনে করেন আগুয়েরো সিটিতে তেবেসের যোগ্য উত্তরসূরি[১১৮] এবং তার চেয়ে অধিকতর ভাল।[১১৯] ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার রবের্তো মানচিনি আগুয়েরোকে প্রাক্তন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার রোমারিওর সাথে তুলনা করেছেন।[১২০] তার আন্তর্জাতিক সতীর্থ লিওনেল মেসি মনে করেন, আগুয়েরো অপরিমেয় ক্ষমতা, শক্তি এবং অবিশ্বাস্য কার্য নীতির অধিকারী।[১২১] বল নিয়ন্ত্রণ এবং ধরে রাখার দূর্দান্ত ক্ষমতার কারণে তাকে ডি বক্সে প্রতিপক্ষ দলের জন্য হুমকি সরূপ দেখা যায়।[১১৬]
ব্যক্তিগত জীবন
আগুয়েরো জিনিনা মারাদোনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনার কনিষ্ঠ কন্যা। ২০০৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, জিনিনা মাদ্রিদে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন এবং তার নাম রাখেন বেনজামিন।[১২২] প্রথম দৌহিত্রের জন্মের জন্য মারাদোনা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আগুয়েরো অ্যাটলেটিকোর ঐ দিনের প্রশিক্ষন সেশনে উপস্থিত থাকতে পারেননি। অ্যাটলেটিকো তাদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতির মাধ্যমে অভিনন্দন জানায়।[১২৩] ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে, আগুয়েরো এবং হিন্নিনা আলাদা হয়ে যান।[১২৪][১২৫] আগুয়েরোর পুত্র তার মা’র সাথে স্থায়িভাবে আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসে থাকে।
আগুয়েরোর বাম হাতে একটি ট্যাটু রয়েছে, যাতে তার পুত্রের নাম এবং জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে।[১২৬]
ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান
ক্লাব
ক্লাব | মৌসুম | লিগ | কাপ[১২৭] | লিগ কাপ | মহাদেশীয়[১২৮] | অন্যান্য[১২৯] | মোট | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বিভাগ | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | ||
ইন্দিপেন্দিয়েন্তে | ২০০২–০৩ | আর্জেন্টিনীয় প্রিমেরা দিভিসিওন | ১ | ০ | — | — | ০ | ০ | — | ১ | ০ | |||
২০০৩–০৪ | ৫ | ০ | — | — | ২ | ০ | — | ৭ | ০ | |||||
২০০৪–০৫ | ১২ | ৫ | — | — | ০ | ০ | — | ১২ | ৫ | |||||
২০০৫–০৬ | ৩৬ | ১৮ | — | — | ০ | ০ | — | ৩৬ | ১৮ | |||||
মোট | ৫৪ | ২৩ | — | — | ২ | ০ | — | ৫৬ | ২৩ | |||||
আতলেতিকো মাদ্রিদ | ২০০৬–০৭ | লা লিগা | ৩৮ | ৬ | ৪ | ১ | — | ০ | ০ | — | ৪২ | ৭ | ||
২০০৭–০৮ | ৩৭ | ১৯ | ৪ | ২ | — | ৯ | ৬ | — | ৫০ | ২৭ | ||||
২০০৮–০৯ | ৩৭ | ১৭ | ১ | ০ | — | ৯ | ৪ | — | ৪৭ | ২১ | ||||
২০০৯–১০ | ৩১ | ১২ | ৭ | ১ | — | ১৬ | ৬ | — | ৫৪ | ১৯ | ||||
২০১০–১১ | ৩২ | ২০ | ৪ | ৩ | — | ৪ | ৩ | ১ | ১ | ৪১ | ২৭ | |||
মোট | ১৭৫ | ৭৪ | ২০ | ৭ | — | ৩৮ | ১৯ | ১ | ১ | ২৩৪ | ১০১ | |||
ম্যানচেস্টার সিটি | ২০১১–১২ | প্রিমিয়ার লিগ | ৩৪ | ২৩ | ১ | ১ | ৩ | ১ | ১০ | ৫ | — | ৪৮ | ৩০ | |
২০১২–১৩ | ৩০ | ১২ | ৪ | ৩ | ০ | ০ | ৫ | ২ | ১ | ০ | ৪০ | ১৭ | ||
২০১৩–১৪ | ২৩ | ১৭ | ৩ | ৪ | ২ | ১ | ৬ | ৬ | — | ৩৪ | ২৮ | |||
২০১৪–১৫ | ৩৩ | ২৬ | ১ | ০ | ১ | ০ | ৭ | ৬ | ০ | ০ | ৪২ | ৩২ | ||
২০১৫–১৬ | ৩০ | ২৪ | ১ | ১ | ৪ | ২ | ৯ | ২ | — | ৪৪ | ২৯ | |||
২০১৬–১৭ | ৩১ | ২০ | ৫ | ৫ | ১ | ০ | ৮ | ৮ | — | ৪৫ | ৩৩ | |||
২০১৭–১৮ | ২৫ | ২১ | ৩ | ২ | ৪ | ৩ | ৭ | ৪ | — | ৩৯ | ৩০ | |||
২০১৮–১৯ | ৩৩ | ২১ | ২ | ২ | ৩ | ১ | ৭ | ৬ | ১ | ২ | ৪৬ | ৩২ | ||
২০১৯–২০ | ২৪ | ১৬ | ২ | ২ | ৩ | ৩ | ৩ | ২ | ০ | ০ | ৩২ | ২৩ | ||
২০২০–২১ | ১২ | ৪ | ০ | ০ | ১ | ০ | ৭ | ২ | — | ২০ | ৬ | |||
মোট | ২৭৫ | ১৮৪ | ২২ | ২০ | ২২ | ১১ | ৬৯ | ৪৩ | ২ | ২ | ৩৯০ | ২৬০ | ||
বার্সেলোনা | ২০২১–২২ | লা লিগা | ৪ | ১ | ০ | ০ | — | ১ | ০ | ০ | ০ | ৫ | ১ | |
ক্যারিয়ারে সর্বমোট | ৫০৮ | ২৮২ | ৪২ | ২৭ | ২২ | ১১ | ১১০ | ৬২ | ৩ | ৩ | ৬৮৫ | ৩৮৫ |
জাতীয় দল
আর্জেন্টিনা জাতীয় দল | ||
---|---|---|
সাল | উপস্থিতি | গোল |
২০০৬ | ২ | ০ |
২০০৭ | ৪ | ১ |
২০০৮ | ৯ | ৪ |
২০০৯ | ৬ | ২ |
২০১০ | ৫ | ২ |
২০১১ | ৮ | ৫ |
২০১২ | ৭ | ২ |
২০১৩ | ৮ | ৫ |
২০১৪ | ১০ | ১ |
২০১৫ | ১০ | ১০ |
২০১৬ | ১১ | ১ |
২০১৭ | ৪ | ২ |
২০১৮ | ৫ | ৩ |
২০১৯ | ৮ | ৩ |
২০২০ | ০ | ০ |
২০২১ | ৪ | ০ |
মোট | ১০১ | ৪১ |
আন্তর্জাতিক গোল
আর্জেন্টিনার গোলের হিসাব প্রথমে
# | তারিখ | ভেন্যু | প্রতিপক্ষ | স্কোর | ফলাফল | প্রতিযোগিতা |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১৭ নভেম্বর ২০০৭ | এল মনুমেন্তাল, বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা | বলিভিয়া | ১ – ০ | ৩–০ | ২০১০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব |
২ | ২৬ মার্চ ২০০৮ | কায়রো আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, কায়রো, মিশর | মিশর | ১ – ০ | ২–০ | প্রীতি খেলা |
৩ | ৪ জুন ২০০৮ | কোয়ালকম স্টেডিয়াম, স্যান ডিয়েগো, যুক্তরাষ্ট্র | মেক্সিকো | ৪ – ১ | ৪–১ | |
৪ | ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | এল মনুমেন্তাল, বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা | প্যারাগুয়ে | ১ – ১ | ১–১ | ২০১০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব |
৫ | ১১ অক্টোবর ২০০৮ | উরুগুয়ে | ২ – ০ | ২–১ | ||
৬ | ২৮ মার্চ ২০০৯ | ভেনেজুয়েলা | ৪ – ০ | ৪–০ | ||
৭ | ১২ আগস্ট ২০০৯ | লোকোমটিভ স্টেডিয়াম, মস্কো, রাশিয়া | রাশিয়া | ১ – ১ | ৩–২ | প্রীতি খেলা |
৮ | ২৪ মে ২০১০ | এল মনুমেন্তাল, বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা | কানাডা | ৫ – ০ | ৫–০ | |
৯ | ৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ | স্পেন | ৪ – ১ | ৪–১ | ||
১০ | ২০ জুন ২০১১ | আলবেনিয়া | ৩ – ০ | ৪–০ | ||
১১ | ১ জুলাই ২০১১ | ইস্তাদিও সিউদাদ দি লা প্লাতা, লা প্লাতা, আর্জেন্টিনা | বলিভিয়া | ১ – ১ | ১–১ | ২০১১ কোপা আমেরিকা |
১২ | ১১ জুলাই ২০১১ | ইস্তাদিও মারিও আলবের্তো কেম্পেস, কর্দোবা, আর্জেন্টিনা | কোস্টা রিকা | ১ – ০ | ৩–০ | |
১৩ | কোস্টা রিকা | ২ – ০ | ||||
১৪ | ১৫ নভেম্বর ২০১১ | ইস্তাদিও মেত্রোপলিতানো, বারানকুইলা, কলম্বিয়া | কলম্বিয়া | ২ – ১ | ২–১ | ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব |
১৫ | ২ জুন ২০১২ | এল মনুমেন্তাল, বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা | ইকুয়েডর | ১ – ০ | ৪–০ | |
১৬ | ১২ অক্টোবর ২০১২ | ইস্তাদিও মালভিনাস আর্জেন্টিনাস, মেনদোজা, আর্জেন্টিনা | উরুগুয়ে | ২ – ০ | ৩–০ | |
১৭ | ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ | ফ্রেন্ডস এরিনা, সলনা, সুইডেন | সুইডেন | ২ – ১ | ৩–২ | প্রীতি খেলা |
১৮ | ১১ জুন ২০১৩ | ইস্তাদিও অলিম্পিকো আতাহুয়ালপা, কুইতো, ইকুয়েডর | ইকুয়েডর | ১ – ০ | ১–১ | ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব |
১৯ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ইস্তাদিও দিফেন্সরেস দেল কাকো, আসুনসিয়ন, প্যারাগুয়ে | প্যারাগুয়ে | ২ – ১ | ৫–২ | ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব |
২০ | ১৮ নভেম্বর ২০১৩ | বুশ স্টেডিয়াম, সেন্ট লুইস, যুক্তরাষ্ট্র | বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | ১ - ০ | ২-০ | প্রীতি খেলা |
২১ | ২ - ০ |
অলিম্পিক গোল
# | তারিখ | ভেনু | প্রতিপক্ষ | স্কোর | ফলাফল | প্রতিযোগিতা |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১৯ আগস্ট ২০০৮ | বেইজিং ওয়ার্কার্স স্টেডিয়াম, বেইজিং, চীন | ব্রাজিল | ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক | ||
২ | ব্রাজিল |
সম্মাননা
ক্লাব
- অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
- উয়েফা ইউরোপা লিগ: ২০০৯–১০
- ইউরোপীয়ান সুপার কাপ: ২০১০
- কোপা দেল রে রানার আপ: ২০০৯-১০
- ম্যানচেস্টার সিটি
- প্রিমিয়ার লিগ: ২০১১–১২, ২০১৩–১৪, ২০১৭–১৮, ২০১৮–১৯, ২০২০–২১
- এফএ কাপ: ২০১৮–১৯, রানার আপ: ২০১২–১৩
- ফুটবল লিগ কাপ: ২০১৩–১৪, ২০১৫–১৬, ২০১৭–১৮, ২০১৮–১৯, ২০১৯–২০, ২০২০–২১
- এফএ কমিউনিটি শিল্ড: ২০১২, ২০১৮, ২০১৯
- উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: রানার আপ: ২০২০–২১
আন্তর্জাতিক
- আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০
- ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ: ২০০৫, ২০০৭
- আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩
- অলিম্পিক স্বর্ণপদক: ২০০৮
- আর্জেন্টিনা
- কোপা আমেরিকা: ২০২১; রানার আপ: ২০১৫, ২০১৬
- ফিফা বিশ্বকাপ: রানার আপ: ২০১৪
একক
- ফিফা বর্ষসেরা যুব খেলোয়াড়: ২০০৭
- ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ শীর্ষ গোলদাতা: ২০০৭
- ফিফা অনূর্ধ্ব -২০ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়: ২০০৭
- লা লিগা আইবেরো-আমেরিকান বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০০৮
- ডন ব্যালোন পুরস্কার: ২০০৭–০৮
- টুট্টোস্পোর্ট গোল্ডেন বয়: ২০০৭[১৩০][১৩১]
- ওয়ার্ল্ড সকার বর্ষসেরা যুব খেলোয়াড়: ২০০৯
- প্রিমিয়ার লিগ শীর্ষ গোলদাতা: ২০১৪–১৫
- ইতিহাদ বর্ষসেরা খেলোয়াড় : ২০১১–১২, ২০১৪–১৫
- ইতিহাদ মৌসুমের সেরা গোল: ২০১১–১২
- দক্ষিণ আমেরিকান বর্ষসেরা দল: ২০০৫
- এফএসএফ বর্ষসেয়া খেলোয়াড়: ২০১৪
- আইএফএফএইচএস কনমেবল দশকসেরা দল: ২০১১–২০
- পিএফএ বর্ষসেরা দল: ২০১৭–১৮, ২০১৮–১৯
- প্রিমিয়ার লিগ মাসসেরা খেলোয়াড়: অক্টোবর ২০১৩, নভম্বর ২০১৪, জানুয়ারি ২০১৬, এপ্রিল ২০১৬, জানুয়ারী ২০১৮, ফেব্রুয়ারি ২০১৯, জানুয়ারী ২০২০
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- ম্যানচেস্টার সিটি এফসি প্রোফাইল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে
- ইএসপিএন প্রোফাইল
- Transfermarkt প্রোফাইল
- সের্হিও আগুয়েরো – ফিফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (ইংরেজি)
- সের্হিও আগুয়েরো – উয়েফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (আর্কাইভ) (ইংরেজি)
- ন্যাশনাল-ফুটবল-টিমস.কমে সের্হিও আগুয়েরো (ইংরেজি)
পুরস্কার ও স্বীকৃতি | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী লিওনেল মেসি | ফিফ অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল ২০০৭ | উত্তরসূরী দমিনিক আদিয়াহ |