ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল

ব্রাজিল জাতীয় পুরুষ ফুটবল দল

ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল (পর্তুগিজ: Seleção Brasileira de Futebol, ইংরেজি: Brazil national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ব্রাজিলের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্রাজিলীয় ফুটবল কনফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৩ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯১৬ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনমেবলের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯১৪ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর তারিখে, ব্রাজিল প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার কাছে ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।

ব্রাজিল
দলের লোগো
ডাকনামসেলেসাও (জাতীয় দল)
কানারিনিয়ো (ছোট ক্যানারি)
ভের্দে-আমারেলা (সবুজ–হলুদ)
এস্কুয়াদ্রাও দে ঔরো (সোনালী দল)
অ্যাসোসিয়েশনব্রাজিলীয় ফুটবল কনফেডারেশন
কনফেডারেশনকনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা)
প্রধান কোচফার্নার্দো দিনিজ[১]
অধিনায়ককাজিমিরো[২]
সর্বাধিক ম্যাচকাফু (১৪২)[৩][৪]
শীর্ষ গোলদাতানেইমার (৭৯) গোল [৫]
মাঠবিভিন্ন
ফিফা কোডBRA
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমানঅপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[৬]
সর্বোচ্চ(১৫৯ বার[৭])
সর্বনিম্ন২২ (৬ জুন ২০১৩)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমানহ্রাস ৪ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[৮]
সর্বোচ্চ(৮,৬৪০ দিন[৯])
সর্বনিম্ন২০ (৭ নভেম্বর ২০০১)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 আর্জেন্টিনা ৩–০ ব্রাজিল 
(বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা; ২০ সেপ্টেম্বর ১৯১৪)[১০]
বৃহত্তম জয়
 ব্রাজিল ১০–১ বলিভিয়া 
(সাও পাওলো, ব্রাজিল, ১০ এপ্রিল ১৯৪৯)[১১]
 ব্রাজিল ৯–০ কলম্বিয়া 
(লিমা, পেরু, ২৪ মার্চ ১৯৫৭)
বৃহত্তম পরাজয়
 উরুগুয়ে ৬–০ ব্রাজিল 
(বিনিয়া দেল মার, চিলি; ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯২০)
 ব্রাজিল ১–৭ জার্মানি 
(বেলু ওরিজোঁতি, ব্রাজিল; ৮ জুলাই ২০১৪)
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ২২ (১৯৩০-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২)
কোপা আমেরিকা
অংশগ্রহণ৩৭ (১৯১৬-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯১৯, ১৯২২, ১৯৪৯, ১৯৮৯, ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৭, ২০১৯)
প্যানআমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ৩ (১৯৫২-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৫২, ১৯৫৬)
কনফেডারেশন্স কাপ
অংশগ্রহণ৭ (১৯৯৭-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৯৭, ২০০৫, ২০০৯, ২০১৩)

সেলেসাও নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ব্রাজিলের রিউ দি জানেইরুর আটলান্টিক মহাসাগর তীরবর্তী বরা দা তিজুকা এলাকায় অবস্থিত।[১২] বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন তিতে এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় কাজিমিরো

ব্রাজিল ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দল, যারা এপর্যন্ত ৫ বার (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ এবং ২০০২) বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে। ব্রাজিল ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে সবগুলো আসরে অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া কোপা আমেরিকায়ও ব্রাজিল অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ৯টি (১৯১৯, ১৯২২, ১৯৪৯, ১৯৮৯, ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৭ এবং ২০১৯) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, ব্রাজিল ৪ বার ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ (১৯৯৭, ২০০৫, ২০০৯ এবং ২০১৩) জয়লাভ করেছে; যা উক্ত প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ।

পেলে, গ্যারিঞ্চা, কাফু, রোনালদো, রোনালদিনহো, নেইমার,কাকা এবং রবার্তো কার্লোসের মতো খেলোয়াড়গণ ব্রাজিলের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।[১৩] ফুটবলের ব্যাপারে একটি সাধারণ উক্তি রয়েছে, যা হচ্ছে: ইংরেজি: The English invented it, the Brazilians perfected it.[১৪] অর্থাৎ, [ফুটবল] ইংল্যান্ড আবিষ্কার করেছে, তবে ব্রাজিল তা পরিপূর্ণতা দান করেছে।

ইতিহাস

প্রারম্ভিক ইতিহাস

অধিকাংশ ব্যক্তি মনে করেন যে, ব্রাজিল জাতীয় দলটি তাদের প্রথম খেলাটি ১৯১৪ সালে খেলেছে। ব্রাজিলের রিউ দি জানেইরুসাও পাওলো দলের মধ্য হতে নির্বাচিত একটি দল ইংল্যান্ডের এক্সিটার সিটি ফুটবল ক্লাবের সাথে একটি খেলায় অংশ নেয়। ফ্লামিনিনেস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত[১৫][১৬] উক্ত খেলায় ব্রাজিল ২–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। ব্রাজিলের পক্ষে দুটো গোল করে ওসওয়াল্ড গোমেজ এবং ওসমান।[১৫][১৬][১৭] অনেকে দাবি করেন যে, উক্ত খেলাটি ৩–৩ গোলে ড্র হয়েছিল।[১৮][১৯] ভবিষ্যতের গৌরবোজ্জল সাফল্যের তুলনায় শুরুর দিকে দলটির উপস্থিতি ছিল খুবই নগণ্য। ব্রাজিলীয় ফুটবলে পেশাদারিত্বের অভাবের কারণে উক্ত সময়ে একটি শক্তিসম্পন্ন দল গঠন করতে ব্রাজিলীয় ফুটবল ফেডারেশন ব্যর্থ হয়েছিল।

সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৫৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপে ব্রাজিল দল পূর্ণাঙ্গভাবে আত্মপ্রকাশ করে। পূর্ববর্তী আসরে মারাকানায় পরাজিত হওয়ার বেদনা ভুলে নিলতন সান্তোস, দালমা সান্তোস, দিদির ন্যায় একগুচ্ছ প্রতিভাবান ফুটবলারদের নিয়ে উক্ত আসরে অংশগ্রহণ করে ব্রাজিল। কিন্তু, দলটি খুব বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেনি। কোয়ার্টার-ফাইনালে শক্তিশালী হাঙ্গেরির কাছে ৪–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে তারা উক্ত আসর হতে বিদায় নেয়। এই খেলাটি ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে কদর্যপূর্ণ খেলারূপে বিবেচিত হয় ও অমর্যাদাকরভাবে বার্নের যুদ্ধ নামে পরিচিতি লাভ করে।[২০]

স্বর্ণযুগ এবং পেলে (১৯৫৮–১৯৭০)

১৯৫৮ সালে সুইডেনে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কোচ ভিসেন্তে ফিওলা দলে কিছু কঠোর নিয়ম আরোপ করেন। খেলোয়াড়দের চল্লিশটি কাজ না করার আদেশ একটি তালিকা আকারে প্রদান করা হয়। এসব নিয়মের মধ্যে ছিল মাথায় হ্যাট পরিধান বা ছাতা ব্যবহার করা যাবে না, জার্সি পরিহিত অবস্থায় ধূমপান করা যাবে না, দল বহির্ভূত পত্রিকা অথবা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা যাবে না ইত্যাদি। সেসময় ব্রাজিল ফুটবল দলই ছিল একমাত্র দল, যাদের নিজস্ব একজন মনোবিজ্ঞানী (কারণ ১৯৫০ সালের ফাইনালের দুঃসহ স্মৃতি তখনও কিছু খেলোয়াড়কে মানসিকভাবে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল) ও দন্তচিকিৎসক (কারণ জাতিগত কারণে অনেক খেলোয়াড়েরই দাঁতের সমস্যায় ভুগতেন, এর ফলে দাঁতের সংক্রমণের কারণে তাদের মাঠের নৈপূণ্যতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলত) ছিলো। সেসময় বাছাইপর্বের খেলাগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য ব্রাজিল দলের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধিকে ইউরোপে পাঠানো হয়েছিল।

ধারাবাহিক সাফল্য (১৯৯৪–২০০২)

১৯৯৪ বিশ্বকাপ

অনেকের কাছে আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, ব্রাজিল দল আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৯৭০ সালের পর দীর্ঘ ২৪টি বছর বিশ্বকাপ জয় করতে পারেনি, এমন কী ফাইনালেও উঠতে পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে তারা সেই খরা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিল। সে সময় বিশ্বের সেরা আক্রমণভাগের খেলোয়াড়গণ ব্রাজিলের আক্রমণভাগে খেলতেন; তাদের মধ্যে ছিলেন রোমারিও, বেবেতো, দুঙ্গা, তাফারেল, এবং জোরগিনহো। ১৯৯৪ সালেই ব্রাজিল রেকর্ড চতুর্থবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ জয়লাভ করে। এই আসরে ব্রাজিল শুরু থেকেই অত্যন্ত সাফল্যের সাথে খেলতে থাকে। গ্রুপ পর্ব থেকে উত্তোরণের পর ১৬ দলের পর্ব থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ১–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করে তারা কোয়ার্টার ফাইনালের ওঠে। সেখানে নেদারল্যান্ডের সাথে উত্তেজনাপূর্ণ এক খেলায় ৩–২ গোলে জয়লাভ করে সেমিফাইনালের জন্য উত্তীর্ণ হয় (এই খেলাটিকে ঐ টুর্নামেন্টের সেরা খেলা হিসেবে বিবেচিত হয়)। এছাড়া সুইডেনকে তারা সেমিফাইনালে ১–০ গোলে পরাজিত করে। অতঃপর ফাইনালে একটি চিরচেনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সৃষ্টি হয় – ব্রাজিল বনাম ইতালি। খেলাটি ০–০ গোলে ড্র হওয়ায় ট্রাইবেকারের মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারিত হয়। শেষ মুহুর্তে ইতালির আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রবের্তো বাজ্জোর শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে গেলে, ব্রাজিল চতুর্থবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই সাথে পুনরায় ফিরে আসে বিশ্ব ফুটবলে ব্রাজিলের আধিপত্যের যুগ।

১৯৯৮ বিশ্বকাপ

ব্রাজিল ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপে রানার-আপ হয়। সেমিফাইনালে ব্রাজিল নেদারল্যান্ডের সাথে ড্র করে। এই ম্যাচে রোনালদো এবং প্যাট্রিক ক্লুভার্ট প্রত্যেকেই নিজ নিজ দলের পক্ষে একটি করে গোল করে। ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ৩–০ গোলে পরাজিত হয়। এই ম্যাচে ব্রাজিলের রক্ষণভাগ খুবই দুর্বল ছিল। উক্ত ম্যাচে জিনেদিন জিদান কর্নার কিক থেকে হেডের মাধ্যমে দুই গোল করেন। ফাইনাল ম্যাচের কিছু পূর্বেই রোনালদো স্নায়ুরোগে ভুগছিলেন। উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে না পারায় অনেকেই রোনালদোকে প্রথম লাইন-আপে রাখার ব্যাপারে সমালোচনা করেছিলেন।

২০০২ বিশ্বকাপ

বাছাইপর্বের মাত্র পাঁচটি খেলা হাতে রেখে ঐসময় বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন নিয়ে ব্রাজিল বিরাট সংশয়ে ছিল। ২০০১ সালে লুইজ ফেলিপে স্কলারি কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রথম ম্যাচেই ব্রাজিল উরুগুয়ের কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হওয়ার পর এই সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয়। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল মূলপর্বে উত্তীর্ণ হতে সমর্থ হয়।

বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করার পূর্বে প্রবল জনমত উপেক্ষা করে তিনি বর্ষীয়ান স্ট্রাইকার রোমারিওকে দলে নিতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি রোমারিও নিজেও কান্নাজড়ানো কন্ঠে আবেদন জানালে স্কলারি তা নাকচ করে দেন।[২১] বিশ্বকাপ শুরুর আগে ব্রাজিলকে তুলনামূলকভাবে দুর্বল দল হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছিল। কিন্তু একে-একে তুরস্ক, চীন, কোস্টা রিকা, বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড এবং সেমি-ফাইনালে পুনরায় তুরস্কের বিরুদ্ধে জয় ব্রাজিলকে ফাইনালে পৌঁছে দেয়। ফাইনালে রোনালদোর জোড়া গোলের বিনিময়ে ব্রাজিল জার্মানিকে পরাজিত করে পঞ্চমবারের মত বিশ্বকাপ শিরোপো নিজেদের করে নেয়।[২২]

২০০৬ বিশ্বকাপ পরবর্তী যুগ

২০০৬ সালের ২৪শে জুলাই তারিখে , ১৯৯৪ সালের ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য দুঙ্গাকে ব্রাজিলের নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।[২৩] সহকারী কোচ হিসেবে দুঙ্গা তার প্রাক্তন সহকর্মী জোরগিনহোকে বেছে নেন। সেই বছরের আগস্টের ১৬ তারিখ নরওয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের খেলা দিয়ে কোচ হিসেবে দুঙ্গার অভিষেক হয়। উক্ত ম্যাচটি ১–১ গোলে ড্র হয়েছিল।[২৪] কোচ হিসেবে দুঙ্গার দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল অপেক্ষাকৃত কঠিন। ৩রা সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এই খেলায় ব্রাজিল মুখোমুখি হয় তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনারলন্ডনে এমিরেটস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই খেলায় ব্রাজিল ৩–০ গোলে আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করে।[২৫] ৫ই সেপ্টেম্বর তারা টটেনহ্যাম হটস্পারের হোয়াইট হার্ট মাঠে ওয়েলসকে ২–০ গোলে পরাজিত করে। পরবর্তীতে তারা কুয়েতের ক্লাব আল-কুয়েতকে ৪–০, ইকুয়েডরকে ২–১, ও সুইজারল্যান্ডকে ২–১ গোলে পরাজিত করে।

দুঙ্গা কোচ হিসেবে ২০০৭ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি তারিখে প্রথম পরাজয়ের মুখোমুখি হন। পর্তুগালের বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিল পরাজিত হয়। সে সময় পর্তুগালের কোচ ছিলেন ব্রাজিলের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইজ ফেলিপে স্কলারি[২৬] পরবর্তীতে সুইডেনে ব্রাজিল তাদের প্রথম পরাজয় থেকে ঘুরে দাঁড়ায় এবং মার্চের ২৪ ও ২৭ তারিখ যথাক্রমে চিলি (৪–০) ও ঘানাকে (১–০) পরাজিত করে।[২৭]

২০০৯ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ

২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে ব্রাজিল শিরোপা জয় করে। এই টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের শুরুটা খুব একটা স্বাচ্ছন্দপূর্ণ ছিল না। প্রথম খেলায় তারা মিশরের সাথে হারতে হারতে ৪–৩ গোলে জয়লাভ করে। খেলার শেষ মিনিটে এসে মিশরের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে একটি গোল করার মাধ্যমে ব্রাজিলের এই জয় আসে। ব্রাজিলের বিপক্ষে আফ্রিকার কোনো ফুটবল দলের এক ম্যাচে তিন গোল করার ঘটনা সেটিই প্রথম ছিল। পরবর্তীতে অবশ্য দলটি খুব ভালোভাবে ইতালি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করে। উভয়কেই ব্রাজিল ৩–০ গোলে পরাজিত করে। এছাড়া ব্রাজিল সেমিফাইনালে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করার পর, ফাইনালে তারা পুনারায় যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়। উত্তেজনাপূর্ণ এই ফাইনালের প্রথমার্ধে ব্রাজিল ২–০ গোলে পিছিয়ে থাকলেও, দ্বিতীয়ার্ধে তারা পুরোপুরিভাবে খেলায় ফিরে আসে ও দুইটি গোলই পরিশোধ করে। পরবর্তীতে খেলা শেষের ছয় মিনিট আগে লুসিওর শিরোপাজয়ী গোলের সুবাদে ব্রাজিল ৩–২ গোলে তাদের তৃতীয় ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ জয়লাভ করে।[২৮] এই আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ব্রাজিলের কাকা এবং সবচেয়ে বেশি গোল করেন লুইস ফ্যাবিয়ানো। তিনি ৫ ম্যাচে মোট ৫টি গোল করেন।

২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ

২০০৯ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে, রোজারিওতে আর্জেন্টিনার নিজেদের মাঠে, আর্জেন্টিনাকে ৩–১ গোলে পরাজিত করার মাধ্যমে ব্রাজিল ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপের মূলপর্বে উত্তীর্ণ হয়।[২৯]

২০০৯ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ে ব্রাজিল জি গ্রুপে স্থান পায়। অনেকের মতে এটিই হচ্ছে এ বিশ্বকাপের গ্রুপ অফ ডেথ। এই গ্রুপের হয়ে ২০১০ সালের ১৫ই জুন তারিখে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে সেলেসাওরা তাদের প্রথম খেলাটি খেলে। এরপর ২০শে জুন তারিখে তারা কোত দিভোয়ারের বিরুদ্ধে খেলে এবং গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২৫শে জুন তারিখে তারা খেলে অপর শক্তিশালী দল পর্তুগালের বিরুদ্ধে।

পোশাক

প্রথম পোশাক

১৮৯৯–১৯১৪
১৯১৪–১৯১৭
১৯১৭
১৯১৭
১৯১৭
১৯১৮–১৯১৯
১৯১৯–১৯৩৮
১৯৪৫–১৯৫০
১৯৫৪–১৯৭৪
১৯৭৮
১৯৮৬–১৯৯০
১৯৮৮ অলিম্পিক
১৯৯৪
১৯৯৪–১৯৯৭
১৯৯৭
১৯৯৮–২০০০
২০০০–২০০২
২০০২–২০০৪
২০০৪–২০০৬
২০০৬–২০০৭
২০০৭–২০১০
২০১০–২০১১
২০১১–২০১২
২০১২–২০১৩
২০১৩–২০১৪
২০১৪–২০১৬
২০১৬–২০১৭
২০১৮–২০১৯
২০১৯–বর্তমান

দ্বিতীয় পোশাক

১৯৩৮–১৯৪৮
১৯৪৯–১৯৫৩
১৯৫৮
১৯৯৫
১৯৯৭
২০০২–২০০৪
২০০৪–২০০৬
২০০৬–২০০৭
২০০৮–২০১০
২০১০–২০১১
২০১১–২০১২
২০১২–২০১৩
২০১৩–২০১৪
২০১৪–২০১৬
২০১৬–২০১৭
২০১৮–বর্তমান

খেলোয়াড়

বর্তমান দল

নিম্নলিখিত খেলোয়াড়গণ ২০২১ সালের ৯ই জুন তারিখে ২০২১ কোপা আমেরিকার জন্য ঘোষিত দলে স্থান পেয়েছেন।[৩০][৩১]
সকল ম্যাচ এবং গোল সংখ্যা ৫ই জুলাই ২০২১ তারিখে পেরুর বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ম্যাচপর্যন্ত হালনাগাদকৃত।

0#0অব.খেলোয়াড়জন্ম তারিখ (বয়স)ম্যাচগোলক্লাব
1গোআলিসন (1992-10-02)২ অক্টোবর ১৯৯২ (বয়স ২৮)৪৫ লিভারপুল
2দানিলো (1991-07-15)১৫ জুলাই ১৯৯১ (বয়স ২৯)৩১ ইয়ুভেন্তুস
2থিয়াগো সিলভা (1984-09-22)২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪ (বয়স ৩৬)৯৩ চেলসি
2মার্কিনিয়োস (1994-05-14)১৪ মে ১৯৯৪ (বয়স ২৭)৫৩ পারি সাঁ-জেরমাঁ
3কাজিমিরো (অধিনায়ক) (1992-02-23)২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ (বয়স ২৯)৫০ রিয়াল মাদ্রিদ
2আলেক্স সান্দ্রো (1991-01-26)২৬ জানুয়ারি ১৯৯১ (বয়স ৩০)২৫ ইয়ুভেন্তুস
4রিচার্লিসন (1997-05-10)১০ মে ১৯৯৭ (বয়স ২৪)২৫ এভার্টন
3ফ্রেদ (1993-03-05)৫ মার্চ ১৯৯৩ (বয়স ২৮)১৩ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
4গাব্রিয়েল জেসুস (1997-04-03)৩ এপ্রিল ১৯৯৭ (বয়স ২৪)৪৩১৮ আর্সেনাল
১০4নেইমার (1992-02-05)৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ (বয়স ২৯)১০৫৬৬ পারি সাঁ-জেরমাঁ
১১3এভের্তোন রিবেইরো (1989-04-10)১০ এপ্রিল ১৯৮৯ (বয়স ৩২)১০ ফ্লামেঙ্গো
১২1গোওয়েভের্তোন (1987-12-13)১৩ ডিসেম্বর ১৯৮৭ (বয়স ৩৩) পালমেইরাস
১৩2এমের্সন (1999-01-14)১৪ জানুয়ারি ১৯৯৯ (বয়স ২২) রেয়াল বেতিস
১৪2এদের মিলিতাও (1998-01-18)১৮ জানুয়ারি ১৯৯৮ (বয়স ২৩)১০ রিয়াল মাদ্রিদ
১৫3ফাবিনিয়ো (1993-10-23)২৩ অক্টোবর ১৯৯৩ (বয়স ২৭)১৩ লিভারপুল
১৬2রেনান লোদি (1998-04-08)৮ এপ্রিল ১৯৯৮ (বয়স ২৩) আতলেতিকো মাদ্রিদ
১৭3লুকাস পাকেতা (1997-08-27)২৭ আগস্ট ১৯৯৭ (বয়স ২৩)১৫ লিওঁ
১৮4ভিনিসিউস জুনিয়র (2000-07-12)১২ জুলাই ২০০০ (বয়স ২০) রিয়াল মাদ্রিদ
১৯4এভের্তোন (1996-03-22)২২ মার্চ ১৯৯৬ (বয়স ২৫)১৯ বেনফিকা
২০4রোবের্তো ফিরমিনো (1991-10-02)২ অক্টোবর ১৯৯১ (বয়স ২৯)৫০১৬ লিভারপুল
২১4গাব্রিয়েল বারবোসা (1996-08-30)৩০ আগস্ট ১৯৯৬ (বয়স ২৪) ফ্লামেঙ্গো
২২2ফেলিপে (1989-05-16)১৬ মে ১৯৮৯ (বয়স ৩২) আতলেতিকো মাদ্রিদ
২৩1গোএদেরসন (1993-08-17)১৭ আগস্ট ১৯৯৩ (বয়স ২৭)১২ ম্যানচেস্টার সিটি
২৫3দোগলাস লুইস (1998-05-09)৯ মে ১৯৯৮ (বয়স ২৩) অ্যাস্টন ভিলা

সাম্প্রতিক অন্তর্ভুক্তি

নিম্নলিখিত খেলোয়াড়গণ গত ১২ মাসে ব্রাজিল দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

অব.খেলোয়াড়জন্ম তারিখ (বয়স)ম্যাচগোলক্লাবসর্বশেষ ম্যাচ
1গোসান্তোস (1990-03-17) ১৭ মার্চ ১৯৯০ (বয়স ৩৪) আতলেতিকো পারানায়েন্সেবনাম  পেরু, ১৩ অক্টোবর ২০২০

2ফেলিপে (1989-05-16) ১৬ মে ১৯৮৯ (বয়স ৩৪) আতলেতিকো মাদ্রিদ২০২১ কোপা আমেরিকা
2রদ্রিগো কাইয়ো (1993-08-17) ১৭ আগস্ট ১৯৯৩ (বয়স ৩০) ফ্লামেঙ্গোবনাম  প্যারাগুয়ে, ৮ জুন ২০২১
2দানি আলভেস (1983-05-06) ৬ মে ১৯৮৩ (বয়স ৪০)১১৮ সাও পাওলোবনাম  ইকুয়েডর, ৪ জুন ২০২১
2লুকাস ভেরিসিমো (1995-07-07) ৭ জুলাই ১৯৯৫ (বয়স ২৮) বেনফিকাবনাম  ইকুয়েডর, ৪ জুন ২০২১
2আলেক্স তেলেস (1992-12-15) ১৫ ডিসেম্বর ১৯৯২ (বয়স ৩১) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডবনাম  উরুগুয়ে, ১৭ নভেম্বর ২০২০
2গিয়ের্মে আরানা (1997-04-14) ১৪ এপ্রিল ১৯৯৭ (বয়স ২৭) আতলেতিকো মিনেইরোবনাম  উরুগুয়ে, ১৭ নভেম্বর ২০২০
2দিয়েগো কার্লোস (1993-03-15) ১৫ মার্চ ১৯৯৩ (বয়স ৩১) সেভিয়াবনাম  উরুগুয়ে, ১৭ নভেম্বর ২০২০
2গাব্রিয়েল মেনিনো (2000-09-29) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০০ (বয়স ২৩) পালমেইরাসবনাম  ভেনেজুয়েলা, ১৩ নভেম্বর ২০২০ প্র

3আর্থার (1996-08-12) ১২ আগস্ট ১৯৯৬ (বয়স ২৭)২১ ইয়ুভেন্তুসবনাম  উরুগুয়ে, ১৭ নভেম্বর ২০২০
3আলান (1991-01-08) ৮ জানুয়ারি ১৯৯১ (বয়স ৩৩)১০ এভার্টনবনাম  উরুগুয়ে, ১৭ নভেম্বর ২০২০
3ব্রুনো গিমারায়েস (1997-11-16) ১৬ নভেম্বর ১৯৯৭ (বয়স ২৬) লিওঁবনাম  উরুগুয়ে, ১৭ নভেম্বর ২০২০
3ফিলিপি কৌতিনিউ (1992-06-12) ১২ জুন ১৯৯২ (বয়স ৩১)৬৩১৮ বার্সেলোনাবনাম  ভেনেজুয়েলা, ১৩ নভেম্বর ২০২০

4তিয়াগো গালির্দো (1989-07-20) ২০ জুলাই ১৯৮৯ (বয়স ৩৪) ইন্তেরনাসিওনালবনাম  উরুগুয়ে, ১৭ নভেম্বর ২০২০
4পেদ্রো (1997-06-20) ২০ জুন ১৯৯৭ (বয়স ২৬) ফ্লামেঙ্গোবনাম  উরুগুয়ে, ১৭ নভেম্বর ২০২০
4রদ্রিগো (2001-01-09) ৯ জানুয়ারি ২০০১ (বয়স ২৩) রিয়াল মাদ্রিদবনাম  পেরু, ১৩ অক্টোবর ২০২০
4মাতেউস কুনিয়া (1999-05-27) ২৭ মে ১৯৯৯ (বয়স ২৪) হের্টা বিএসসিবনাম  পেরু, ১৩ অক্টোবর ২০২০

  • খেলোয়াড়কে আহত হওয়ার কারণে দল থেকে অপসারণ করা হয়েছে
  • স্থ ম্যাচটি স্থগিত হয়েছে
  • প্র খেলোয়াড়কে আহত হওয়া ব্যতীত অন্য কারণে দল থেকে অপসারণ হয়েছে

র‌্যাঙ্কিং

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্রাজিল তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (১ম) অর্জন করে এবং ২০১৩ সালের জুন মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ২২তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১ম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯৫৮ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২০। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[৮]
অবস্থানপরিবর্তনদলপয়েন্ট
 ইংল্যান্ড২০১৫
 ব্রাজিল২০১২
 উরুগুয়ে২০০৭
 বেলজিয়াম১৯৯০

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ

ফিফা বিশ্বকাপবাছাইপর্ব
সালপর্বঅবস্থানম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগোম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগো
১৯৩০গ্রুপ পর্ব৬ষ্ঠআমন্ত্রণের মাধ্যমে উত্তীর্ণ
১৯৩৪১৬ দলের পর্ব১৪তমস্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ
১৯৩৮৩য় স্থান নির্ধারণী৩য়১৪১১স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ
১৯৫০ফাইনাল২য়২২আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ
১৯৫৪কোয়ার্টার-ফাইনাল৫ম
১৯৫৮ফাইনাল১ম১৬
১৯৬২ফাইনাল১ম১৪পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ
১৯৬৬গ্রুপ পর্ব১১তমপূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ
১৯৭০ফাইনাল১ম১৯২৩
১৯৭৪৩য় স্থান নির্ধারণী৪র্থপূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ
১৯৭৮৩য় স্থান নির্ধারণী৩য়১০১৭
১৯৮২দ্বিতীয় পর্ব৫ম১৫১১
১৯৮৬কোয়ার্টার-ফাইনাল৫ম১০
১৯৯০১৬ দলের পর্ব৯ম১৩
১৯৯৪ফাইনাল১ম১১২০
১৯৯৮ফাইনাল২য়১৪১০পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ
২০০২ফাইনাল১ম১৮১৮৩১১৭
২০০৬কোয়ার্টার-ফাইনাল৫ম১০১৮৩৫১৭
২০১০কোয়ার্টার-ফাইনাল৬ষ্ঠ১৮৩৩১১
২০১৪৩য় স্থান নির্ধারণী৪র্থ১১১৪আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ
২০১৮কোয়ার্টার-ফাইনাল৬ষ্ঠ১৮১২৪১১১
২০২২কোয়ার্টার-ফাইনাল৭ম--চলমান
মোট৫টি শিরোপা২১/২১১১৪৭৬১৮২০২৩৭১০৮১১০৬৮৩০১২২৪০৭০

অর্জন

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ